পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

من ما وج প্রতিফলিত করিতেছে । পশ্চিম দিগন্ত এখনও শ্বেত-কুয়াসায় আবৃত, এখনও সুপ্ত। বিশ্লেষিত ‘সুর্য্য লেখার’ বর্ণগুলি এখন আকাশে ও বাতাসে ভাসিয়া বেড়াইতেছে। ভারতী । জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ ধূসর মেঘ সরাইয়া স্বৰ্য্য ধীর গম্ভীর মৃত্‌গতিতে জগতে প্রকাশ হইলেন। তখন সেই অাদি জনক জননী সবিতা ও নীলসলিলাকে প্রণাম করিয়া ঘরে ফিরিলাম। ঐধীরেন্দ্রকৃষ্ণ বসু, বি, এ । পোধ্যপুত্র । পূর্বের অনুবৃত্তি। সেই ক্ষণিক স্তব্ধত ভঙ্গ করিয়া নীরদকুমারই প্রথমে কথা কহিল। প্রফুল্লমখে আগ্রহের সঙ্গে দেশের কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, কথা প্রসঙ্গে শাস্তির বিবাহের কথা আসিয়া পড়িল । যোগেন্দ্র বলিল “শাস্তির স্বামী খুব সুন্দর হয়েছে, আর বিয়েতে সমারোহ যতোদূর হতে পারে তা হয়েছিল, গহন এতো দিয়েছে যে পিশেমশাই দেখেই চটে গেছেন, তিনি বলেন ওগুলো অনর্থক অপব্যয় তা এ কথাটা আমিও মানি, তুমি এতে সংস্কার করছে। ঐ জিনিষটার সংস্কার করতে পারে। তবে বলি বাহাদুর ।” বলিয়া স্তব্ধ নীরদের মুখের দিকে চাহিয়া হাসিল ! নীরদ হাসিল না, সে স্তব্ধ হইয়াই বসিয়া রহিল । যোগেন উৎসাহের সহিত বলিয়া যাইতে লাগিল, “যাহোক হেম ছেলে মন নয়, চালটা একটু বড়লোকের মতন অহঙ্কেরে ; তাহোক শাgি অমুখী হ’বেনা। বিশেষ শ্বশুরের যা ভালবাস সে পেয়েছে! আহ! শুমীকান্ত বেচারা বড় কষ্ট পেয়ে এতোদিনে একটু মুখী হলো! লক্ষ্মীছাড়া বিনোদটা কি আহাম্মুকি করলে, কার আর ক্ষতি হলো নিজেই এমন রাজ ঐশ্বৰ্য্যে বঞ্চিত হলেন মাত্র। বাপ পর্য্যন্থ তার নাম মুখে আনেন। অন্তের কথা কি ! তা নীরদ ! এ সব こ8 দেখে অদৃষ্ট মানতে হয় ভাই। হেমের কপালট কিন্তু খুব’— গভীর একটা দীর্ঘ নিশ্বাসের শব্দে যোগেন্দ্র সজাগ হইয়া দেখিল নীরদকুমার দুই করতলের মধ্যে মুখ লুকাইয়া ফেলিয়া একটা দারুণ যন্ত্রণকে যেন সবলে হৃদয়ের মধ্যে চাপিয়া ফেলিবার চেষ্টা করিতেছে। যোগেন্দ্র তাহার পিঠে হাত দিয়া ডাকিল, তাঙ্গর মাথাটা নিজের কঁধের উপর সযত্নে রাখিয়া ছোট ভাইটির মতন দুই হাতে কাছে টানিয়া ঈষৎ অনুযোগের সুরে কহিল “শরীরটাকে একেবারেই মাটি কবে ফেলছ,একি ছেলেমামুধি !” নীরদ ক্লান্তভাবে চোক মুছিয়া আবার একটা নিশ্বাস ফেলিল “ আঃ যোগেন !” “বলেীন নীরদ, তোমার মনে একটা কি হয়েছে, আমায় কেন লুকুচ্চে ভাই ।” নীরদকুমার হঠাৎ সোজা হইয়া বসিয়া উচ্চকণ্ঠে হাসিয়া উঠিল। হাসিতে হাসিতে বলিল, “নিশ্চয়ই একটা কিছু হয়েছে বই কি । কিন্তু সেটা আমি আপাততঃ তোমায় কাছে প্রকাশ করছিনা। আসল কথা হচেম ভাই তোমাকে ও এবার থেকে একটু সংষত হতে হ’চ্চ—” "ওরে বাপরে তবেই অামি গেছি ! আচ্ছ। আগে চা’ টা খেয়ে নিয়ে মাথাটা একটু