পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা । সাফ করে ফেলাযাকৃ; তার পর প্রিচার মশাই তোমার বক্তৃতা শোনা যাবে।” নীরদ মাথা নাড়িয়া মৃদু হাসিল । “সে পাঠ উঠিয়ে দিয়েছি চী পাচ্চে না” । যোগেন্দ্র ইহা শুনিয়া এমনি চোখ বিস্তার করিয়া চাহিল যে, এমন অদ্ভূত কথা জীবনে সে যেন এই প্রথম শুনিল । ‘বলোকিহে ! তুমি যে আমায় একেবারে অবাক করে দিলে । চ খেলে কি সাধুত্বও ভাল জমবেন না কি ?” “তা কেন ? তবে ও জিনিষটার অভ্যাসটা "অনাবশ্বক’ বিদেশী।” যোগেন এবার আর ক্রোধ সম্বরণ করিতে পারিল না ; চটিয়া বলিল “অত বাড়াবাড়ি করতে যে ও না । অতোটা সহ ও হবে না লোকে ও ভণ্ড বলবে । স্বাস্থ্য হানি করে ও চিরকেলে অভ্যাস গুলো গোড়ামির জন্তে ত্যাগ করবে ?” নীরদ সংযতভাবে উত্তর করিল “ন! বিদেশী বলে কোন ভাল অভ্যাস ছাড়তে আমি কোনদিন বলবো না বরং কিছু কিছু ধরতে বলতে চাই। এটা ঠিক ভাল অভ্যাস নয় অজীর্ণ রোগী বাঙ্গালীর পক্ষে ‘চ-টা ঠিক খাটেন । ওটা ঔষধের মতন ব্যবহারের জষ্ঠ রাখলে বরং তারচেয়ে উপকারে লাগে । অনেকগুলো জিনিষ আছে যা আমরা অমুকরণপ্রিয় স্বভাবের বশেই চাই তার ফলাফলট ভেবেও দেখি না ! শীতপ্রধান দেশের লোকের সহিত একই ভাবে শরীর পালন করতে গেলে তাকে ঠিক পালন করা বলা যায় না।” যুক্তিটা যদিও যোগেন্দ্রের ঠিক মনে লাগিল না তথাপি সে অভ্যালানুযায়ী বন্ধুর গম্ভীর মতবাদের বিরুদ্ধে আর তর্ক করিল না। সেদিন মধ্যাহ্ন ভোজনের নিমন্ত্রণে কদলী পোষ্যপুত্র । > • ዓ পত্রে নিরামিষ ভোজন মুখরোচক না হইলেও নিগুঢ় অভিমানে এমনি আগ্রহের সহিত সে সমুদয় চাটিয়া খাইল যে নীরদকে বিপন্নভাবে বলিতে হইল তাইতে যোগেনের যে ভাত কম পড়লো ! আর যে নেই বলছে ! তাইতে করা शांग्न कि ?” ミ○ সেদিন যখন খুব ঘটা করিয়া মেঘ করিল, এবং দেখিতে দেখিতে মুষলধারে বৃষ্টি আরম্ভ হইয়া গেল, তখনে পৰ্য্যন্ত শাস্তি তাহার শয়নগৃহের দক্ষিণধীরের জানালার নিকট লৌহ গরাদে ধরিয়া দাড়াইয় ছিল, বৃষ্টির সহিত অল্প ঝড় ও ছিল, গাছগুলার উচ্চ মস্তক বাতাসে কুষ্টয় মুছয়া পড়িতেছিল, এবং প্রথমে মুক্তাবিন্দুর মতন বৃষ্টি বিন্দু তারপর জলের ঝাট, জানলার মধ্য দিয়া শান্তির গায়ে আসিয়া লাগিতেছিল। বুষ্টির একঘেয়ে পতনশবদ শুনিতে শুনিতে বাহিরের দিকে চাহিয়া অন্ত একটা জানালীর ধারে হেমেন্দ্র ও বহুক্ষণ হইতে শাস্তির মত দাড়াইয়া ছিল । আজকাল সিদ্ধেশ্বরীই বাড়ীর একরকম সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব । বাড়ীর সকলেই প্রায় তাহাকে মানিয়া চলে—এবং স্পষ্ট করিয়া নাহোক সকলকারই কথার ভঙ্গিতে হেমেন্দ্র ও শাস্তির প্রতি অল্প বিস্তর তাচ্ছিল্য প্রকাশ পায় । হেমেন্দ্রের আচরণে কেহই তো বিশেষ সন্তুষ্ট ছিল না এখন সুযোগ ছাড়িবে কেন ? হেমেন্দ্র ও সে সমস্ত অপমানের শোধ তাহার পালক পিতার উপর তুলিতে ছাড়ে না তাহ বলা বাহুল্য। কিন্তু আজ আর মুধু দূরে দঁাড়াইয়। শরক্ষেপ চলিল না, সিদ্ধেশ্বরী ও র্তাহার বৈবাহিকদলের