পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> > ● নিঃসঙ্কোচে নিজের কৰ্ত্তব্যভার মাথায় তুলিয়া লইল । সে কেন পরের সুখে ব্যাঘাত দিতে আসে ? কে সে ? সে একজন অবমানিত অনাদৃত, পরিত্যক্তাস্ত্রী ; কেন সে পরের অধিকৃত সিংহাসন জোর করিয়া কাড়িয়া লইবে ? কেন লোক মনে করিতেছে তাহাতেই সে একেবারে বর্ভাইয়া যাইবে ! কিসের এ অধিকার ? কে চায় এ অধিকার ? সে ইহাকে ঘৃণা করে । কেন করে ? এই ঐশ্বর্য্যের জাল তাঁহার অপমানিত হৃদয়কে দ্বিগুণ নিপীড়িত করিতেছিল । সে দরিদ্র তাই তো এত অবহেলা ! সে কেন র্তাহার যোগ্য হয় নাই ? অথবা তিনি কেন দরিদ্র হইলেন না ? যে সমস্ত বন্ধন তাহাদের দুই ভিন্নগামী হৃদয়কে এক হইতে দেয় নাই তাঁহাদের প্রতি তাহার একটা তীব্র বিদ্বেষ ত;হার চিত্তকে দিনরাত খরধার ক্ষুরের মতন কাটিয়া কাটিয়া তুলিতে ছিল, ইহাদের মধ্য হইতে তাহার সেই শান্তি কুটিরে পলায়ন করিতে পারিলে সে যেন বঁচে । কিন্তু শাস্তিকে ছাড়িতেও আর মন 5श्च न । হেমেন্দ্রের কথায় কিন্তু শিবানী রাগ করিল না। সহিষ্ণুতার সহিত অপমানকে স্নেহোপহারের মতন নীরবে গ্রহণ করিয়া প্রসন্ন মুখে কহিল “তুমি রাগ করেন। ঠাকুরপো ! ঠিক তোমায় হয়ত আমি আমার সব কথা বুঝিয়ে বলতে পাৰ্ব্বোন, কিন্তু যেটা আসল কথা সেইটেই বলছি । বাস্তবিকই তো আমি তোমার অংশীদার হতে পারি না। আমি কে ? তবে অমূ! আগে সে মানুষই হোক, তার কথা এখন ছেড়ে দাও । সত্য করে ভারতী । জ্যৈষ্ঠ, లి శి আমি বলছি এখানের একটি কুটিতেও আমার অধিকার নেই। এ সব শাস্তির। তোমরা কিসের দুঃখে যেতে যাও ? আমার জন্য ?” শিবানী তীব্র বিষাদের উথলিত অশ্রু জোর করিয়া বক্ষে মথিত করিয়া ফেলিয়া দুঃখের হাসি হাসিল “আমার জন্ত যাবে কেন ? বরং আমারি কিছু ব্যবস্থা করে দাও, তোমাদের সংসারে দাসীর মতন যদি রাখে। শাস্তির জন্ত বোধ হয় এখন তাও আমি পারি, কে জানে কেনই আমি তাকে এতো ভালবাসি।” আবেগের মুথে আত্মদমন করিতে ন পারিয়া সহসা শিবানী নিজের দুৰ্ব্বলতায় নিজেই লজ্জাকুভব করিল। কিন্তু প্রকাশের যে একটি বিমল আনন্দ তাঙ্কাতে সেই মুহূর্বে তাহার মনটা যেন কুয়াসার আবরণ কাটিয়া নিৰ্ম্মল আকাশের মতন লঘু হইয়া আসিল । নিজেকে জয়ী বেtধ করিয়া সে ঈষৎ গৰ্ব্বোংফুল্ল মুখ ফিরাইয়া পরাজিতের দিকে তাকাইল । বিশ্ব রহস্ত্যের একটি রহস্তদ্বার আজ যে উদঘাটিত হইয়া গেল, ইহার মধ্য হইতে কি আলে, কি আনন্দ সম্মুখে ছড়াইল্প পড়িয়াছে । এ লুকান নিঝর আজ যেন তপ্ত মরু বালুকাকে শীতল করিয়া দিল । কিন্তু শিবানীর সেই অনবনত হৃদয় তাজ তাহার কৃতকর্মের পুরাতন অভিশাপ দও ভোগ করিবার জন্তই এই অস্থানে নত হইয়াছিল। হেমেন্দ্র ক্রুর নিষ্ঠুর শ্লেষের সহিত তাহাকে আক্রমণ করিল “শাস্তির প্রতি আপনার অশেষ দয়া কিন্তু সে দয়া সে ঘৃণা করে ! তার জন্ত আর নিজেকে উৎকণ্ঠিত করিবেন না ; আপনাদের দয়ার মধ্য থেকে সে এখনি