পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা। চলে যাচ্চে ।” আচমকা পিছন হইতে কেহ লাঠির দ্বারা আঘাত করিলে আহত যেমন বিস্ময়ে অস্ফুট গর্জনে একমুহূৰ্ত্ত পরে আঘাতকারীর পানে তীব্র রোষে ফিরিয়া দাড়ায় আঘাত প্রাপ্ত শিবানী তেমনি করিয়া হেমেন্দ্রের প্রতি ফিরিল, “মিথ্যাবাদী ভার অপমান করেন ।” হেমেক্সের মুখখানাও ক্রোধে পাংগু চষ্টয়া গেল, উচ্চকণ্ঠে তীব্ৰ হাসি হাসিয়া সে বলিল “ঘরে এমন চমৎকার অ্যাকূটেস থাকতে থিয়েটার কেন আনিয়ে ছিলুম। এমন সুন্দর অ্যাকটিং আমিতো আর কখনে দেখিনি । কদিন তে৷ কপালকুণ্ডল, তাজবব্যাপারের অভিনয় দেখা গেল, আজ এটা কোন নাটকের অভিনয় হচ্চে বেীঠাকুরুণ!” শিবানীর সমস্ত শরীরের রক্ত অপমানের রুদ্ধ রোধে টগবগ, করিয়া উঠিল । সে আর একটি মাত্র কথা না বলিয়। অকস্মাৎ দ্রুতপদে পাশের একটা থেtল দ্বারের দিকে ছুটিয়া চলিয়া গেল । হেমেন্দ্র ও আর সেখানে দাড়াইল না, সিড়ি দিয়া নামিয়া গেল। শিবানীকে যে দু-একটা কড় কড়া কথা শুনাইয়া দিতে পারিয়াছে ইহা মনে করিয়া ও হেমেন্দ্রের মনট কতক ঠাণ্ড হইয়া আসিল । যাহার কথা মনে করিলেও হাড় মাস জালা করিতে থাকে, তিনিই কিনা পাদরী মহাশয়ের মতন বক্তৃত৷ দিতে আসিলেন। রাগ ধরিলেও হাসি পায় ! দেশে কি আর লোক ছিল ন} । শিবানীর সেই পাণ্ডুমুখ ও আহত হৃদয়ের উদ্ধত রোধকটাক্ষ মনে কবিয়া সে মনে মনে একটু শাস্তি অনুভব করিল। যথার্থই সে পোষ্যপুত্র। Y S S তবে শাস্তিকে ভালবাসে । শান্তি তাহাকে ঘৃণা করে শুনিয়া নহিলে সে এমন শেলাহতের মতন ছটফট করিয়া উঠিত না । হেমেন্দ্র নিজের প্রতি অত্যন্ত খুশী হইল। সে যে বুদ্ধি করিয়া ঠিক পথটি বাহির করিতে পারিয়াছে এবং এমন সব কথাগুলা যথাসময়ে আসিয় তাহার ওষ্ঠাগ্রে যোগাইয়াছিল, তাহাতে নিজের আশ্চৰ্য্য উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় পাষ্টয়া সে বিস্মিত হইল । আবার যখন সে সত্য সত্যই তাহদের নিকট হইতে শাস্তিকে কাড়িয়া লইয়া চলিয়া যাইবে তথনকার জন্ত তাহীদের আঘাত কল্পনায় সে নিষ্ঠুর হাসি হাসিল। শুমাকান্ত চৌধুরী দেখুন একবার তিনিই শুধু গরীবের ছেলের সৰ্ব্বনাশ করিতে পারেন না, সেও তাঁহাকে ইহার শাস্তি দিতে জানে। সে এটুকু বুঝিত যে ছুঁচটি মামুষের কোন থানটিতে বিধাইলে তাহার মৰ্ম্মভেদ করে ; যে শান্তির জন্ত তিনি তাহাকে পোষ্যপুত্ৰ লইয়া তাহাকে দুরাকাজক্ষী করিয়া তুলিয়াছেন, সেই শাস্তিকেই সে র্তাহার নিকট হইতে টানিয়া লইয়। গিয়া বুঝাইয়া দিবে, যে শাস্তিকে পাইতে হইলে তাহাকেও অনেকখানি খুসী রাখিবার প্রয়োজন আছে । শিবানী যখন সেই অমুজ্জল ছায়ালোকের মধ্যে সহসা বিচ্ছুরিত বিদ্যুৎশিখার স্তায় অভ্যন্ত সহসা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিল, তখন ভাঙ্গা ভাঙ্গ মেঘ গুলা নানা আকার ধারণ করিয়া আকাশময় ছুটাছুটি করিয়া আবার একটা ভারি রকম বুষ্টি আসিবার উপক্রম করিতেছিল। সেই উপলক্ষ্যে আকাশের প্রহরীদল তুরি বাজাইয়া, আলো