পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se হইয়া মরিয়া যায় । কিন্তু এই পত্রিাভ্যন্তরস্থ জলীয় পদার্থের পরিপাক করিবার শক্তি নাই। এই পাত্রে একসঙ্গে অনেক গুলি কীট দেখিতে পাওয়া যায়। পাত্রস্থ জলে পতিত হইয়। এই কীট গুলি শীঘ্রই পচিতে আরম্ভ করে। অনেক কীট ও পতঙ্গ আছে যtহার এই গাছ ভক্ষণ করে এবং অনেক কীট এই পাত্রে ডিম্ব প্রসব করে এবং এই অণ্ডোদগত কীট পত্রস্থ বিকৃত ও গলিত পদার্থ হইতে অtহার্য্য সংগ্রহ করে । সময়ে সময়ে পক্ষীরা চঞ্চুদ্বারা এই পাত্র দ্বিখণ্ডিত করিয়া অণ্ডোগত কীটগুলি ভক্ষণ করে । এই জাতীয় উদ্ভিদগুলি আমেরিক, অষ্ট্রেলিয়া দেশে পাওয়া যায় । Utricularia al Bladder-wort ( বাজি ) এগুলি প্রায়ই জলে ভাসিয়া থাকে। হাজারীবাগে অনেক দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার প্রত্যেক পাতা বহুভাগে বিভক্ত এবং এক একটী পাতায় অনেক গুলি থলি ( bladder ) আছে । এই থলি 2, ইঞ্চি লম্ব এবং প্রত্যেকের মুপে ৬৭টা লম্ব। গুয়া আছে। থলির মুখে একটি অস্তমুখীণ পাতলা স্বচ্ছ পর্দl valve আছে এবং এই পর্দ অনেকগুলি গ্রন্থি দ্বারা এবং থলির আভ্যস্তরীণ পাত্র অনেকগুলি স্বল্প শুয়ার দ্বারা সমাবৃত ৷ ছোট ছোট জলের কীট এই পর্দা ক্তি তরদিকে ঠেলিয় সহজেই থলিয়ার ভিতর প্রবেশ করে । প্রবেশ করার পরই পর্দ বন্ধ হইয়া যায়। এই থলিয়া হইতে কোন প্রকার রস নিঃস্থত হয় না। কীট এই থলিয়াতে প্রবেশ করিয়া পচিতে আরম্ভ করিলে তাহ হইতে এই গাছ কিছু কিছু রস শোষণ করে। ভারতী । জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ (৫ম চিত্র) বাজি কেবলমাত্র উদ্ভিদ বিষয়ে নহে, সকল বিষয়েই পাশ্চাত্য লৈজ্ঞানিক পণ্ডিতগণ কত নূতন তথ্য আবিষ্কার করিয়া, কত বিচিত্র রহস্য উদঘাটন করিয়া জগতের প্রভূত কল্যাণ সাধন করিতেছেন, বিজ্ঞানের বলে বিজ্ঞানের লীলাভূমি জৰ্ম্মাণিতে সামান্ত আলকাতরা হইতে নানা রকম রং,সুমিষ্ট শর্করা এবং এমন কি Tonone { টোনোন ) নামে এক প্রকার সুগন্ধিদ্রব্য উৎপন্ন হইতেছে । এই বিজ্ঞানের সহায়তায় জৰ্ম্মাণি কৃত্রিম নীল আবিষ্কার করিয়া ভারতের নীলের ব্যবসায়ের মূলে কুঠারাঘাত করিতে সমর্থ হইয়াছে। বিজ্ঞানেব প্রসাদে আজ সমগ্র সভ্যজগত মুখসমৃদ্ধি সম্পন্ন । বিজ্ঞানের কল্যাণেই আজ সমস্ত সভ্য জাতির মধ্যে জাপান সমুচ্চস্থান অধিকার করিয়াছে। কিন্তু ভারত যে তিমিরে সে তিমিরে। স্বর্ণ প্রস্থ ভারতভূমি আজ দুর্ভিক্ষপ্রপীড়িত, দারিদ্র্যজর্জরিত। তাই বলি ভারতবাসি ! যদি দেশের কল্যাণ চাও তবে বিজ্ঞানের সেবা কর । বিজ্ঞানের ঐন্দ্রজালিক স্পর্শ ব্যতীত ভারতের লুপ্ত বিদ্যা সঞ্জীবিত হইবে না। বিজ্ঞানের সুপবন প্রবাহিত না হইলে দেশ হইতে দারিদ্র্য-কুঞ্জটিক অপসারিত হইবে না । শ্ৰী শ্ৰীশচন্দ্র সিংহ, এম, এ।