পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ○象 দিকে ঝুলিয়া পড়িয়াছে। তাহতে পথটির অপুৰ্ব্ব শোভা হইয়াছে। বড়লাটের প্রাসাদ, ধবল মৰ্ম্মর-প্রস্তরে গঠিত—উদ্ভিদ উদ্যানের একেবারে পাশ্বদেশে অধিষ্ঠিত। উদ্যানের ঘোর শু্যামলতার মধ্যে প্রাসাদের শুভ্রতা যেন আরও ফুটিয়া উঠিয়াছে । উস্তানে অনেকক্ষণ বেড়াইয়া, তাহার পর বড়লাটের সেক্রেটারির সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলাম। এই উচ্চপদস্থ রাজপুরুষ আমাকে খুব আদর অভ্যর্থনা করিলেন ; ‘জোকৃজকৰ্ত্তা’ ও 'সিয়াকৰ্ত্তা’– এই দুই দেশীয়-সুলতানের এলাকার মধ্যে প্রবেশ করিবার অধিকার আমাকে প্রদান করিলেন এবং অনেক গুলি শাসনকৰ্ত্তার নামে পরিচয়-পত্র ও দিলেন । বড়লাট বড় চাপ লোক ; আমি তাহদের জাভা-উপনিবেশ-রাজ্যের শাসনপদ্ধতি সম্বন্ধে প্রশ্ন করায়, তিনি তাহার ঠিক উত্তর না দিয়া, বাজে কথায় কথা চাপা দিলেন। তিনি বলিলেন – বড় দুঃখের বিষয়, যে সকল ফরাসী, রাষ্ট্রনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ের অনুশীলন করিবার জন্ত এদেশে আসেন, র্তাহার। ওলন্দাজিভাষা একেবারেই জানেন না । মধ্যাহ্ল ভোজনের পূৰ্ব্বে, হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারীগণের সহিত আমার বাক্যালাপ হইল। এই ছোটেলের ফরাসী নাম “Hotel du chemin de fer”–sets (Hzołgosz হোটেল । মনে হয়, যে সকল ফরাসী পুরুষ ও রমণী এদেশে আসিয়া অtডড গাড়িয়াছে, তাহার। সকলেই নিজ নিজ কাজে বেশ সফলতা লাভ করিয়াছে। "qorf Fatīt gast ( Samarang ) ritaiরঙ্গের দর্জি ও বেশবিদ্যাস-শিল্পিদিগের মধ্যে डांब्रडौ । জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ একজন প্রধান বলিয়া পরিগণিত ; এদেশে আসিবার সময় তিনি একটি ফরাসী সহকারিণীকে তাহার সঙ্গে আনিয়াছিলেন । “বুনো লোকদিগের সহিত একত্র বাস করিতে হইবে।” এই মনে করিয়া তাহার সেই সহকারিণী একেবারে বিস্ময়বিহবল হইয়াছিল। —জাভার ফরাসীরা, না জানে ওলন্দাজি ভাষা, না জানে মালাই ভাষা । সৌভাগ্যের বিষয়, অধিকাংশ ওলন্দাজ ফরাসী ভাষায় কথা কহিতে পারে। তাহাতেই একরূপ কাজ চলিয়া যায় । ওলন্দাজের অধিকৃত জtভাদেশকে ফরাসীভাষার দেশ বলিলে अड्राक्लि झ्म्न न । অপরাহ্লে, য়ুরোপীয় অঞ্চলটা পৰ্য্যটন করিলাম। বড় বড় গাছের মধ্যে বাড়ীগুলি অধিষ্ঠিত—মনে হয় যেন উদ্ভিদ উদ্যানটি আরও দীর্ঘাকৃতি হইয়া তাহারই মধ্যে বাড়ীগুলি প্রচ্ছন্ন রাখিয়াছে । উদ্যানের দেশীয় মজুরদিগের গ্রাম দেখিতে গেলাম। খোটার উপরে স্থাপিত, চুনকাম করা ছোট ছোট কতকগুলি কাঠের বাড়ী । চীনে অঞ্চলের মধ্য দিয়া গেলাম ; ভয়ানক দুৰ্গন্ধ। চীনের আসিয়ার যে দেশেই থাকুক্‌, তাহাদের অঞ্চলটা দুৰ্গন্ধ না হইয়া যায় না । অপরাহের শেষভাগে, বৈজ্ঞানিক উদ্যানে আবার ফিরিয়া গেলাম। একটা ঝড়ের বাতাস উঠিল । ঝড়ে গাছগুল ঢুলিতে লাগিল । তাহার মধ্য হইতে ভীষণ সে সে শব্দ হইতে লাগিল । তালগাছগুল যেন কি-এক যাতনা ভরে আর্বনাদ করিতে লাগিল । তাছাদের এই আৰ্ত্তনাদ শুনিলে, হৃদয়ে কেমন একটা অহেতুকী মৰ্ম্মবেদন