পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা । মুহূর্তের ভুলে স্খলিত নারী অনুতাপে দগ্ধ হইতেছে, তাহাকে উদ্দেশ করিয়া কবি করুণ সুরে সকলকে ডাকিয়া বলিতেছেন, “বর্তৃিক লইয়। হাতে, চলেছিলে একসাথে, পথে নিবে গেছে আলো, পড়িয়াছে তাই, তোমরা কি দয়া করে, তুলিবে না হাত ধরে, অৰ্দ্ধদও তার লাগি থামিবে না ভাই ? তোমাদের বাতি দিয়া প্রদীপ জালির নিয়া, তোমাদেরি হাত ধরি হোকু অগ্রসর ; পঙ্ক মাঝে অন্ধকারে, ফেলে যদি যাও তারে, আঁধার রজনী তার রবে নিঃস্তর ?” আবাব বলিতেছেন, “দিনেলের অবহেলা, দিনেকের ঘৃণাক্রোধ, একটি জীবন তোর হারাবি জনমশোধ । তোরা ন জীবন দিবি ? উপেক্ষ যে বিষবাণ দুঃগভর ক্ষমা লয়ে, অন ওরে ডেকে আন ।” আলো ও ছায়া’র পরিশিষ্ট অংশে “মহাশ্বেতা” ও “পুণ্ডরীক” থওকাব্য। এ দুটি তং বাজীতে অতুবাদিত হইয়া গিয়াছে। “পৌরাণিকী’তে “একলব্য” নাটিক ভিন্ন “খৃষ্টছায়ের প্রতি দ্রোণ” ও “রামের প্রতি অহল্য।” শীর্ষক দুইটি কবিতা আছে । “রামের প্রতি অহল্যা” কবিতাটি অপূৰ্ব্ব । অহল্য বণিতে ছেন, নয়দেব, কিছু ভুলি নাই, কাল যাহ। পাপ ছিল, আজো আছে তাই, শুধু সেই পাপী নাই। পাপী চিরদিন থাকে ন পাপের পঙ্কে বিকৃত, মলিন, অস্পশু। প্রভাতালোকে ধরণ ভেয়াগি যায় যথা অন্ধকার, পুণালোক লাগি দুকুতি কালিম হয় চির অস্তৰ্হিত ; তাই অহল্যার নাম রমণী ঘৃণিত, হবে না ঘৃণিত আর ।”

  • 尊 象 豪 *

মাষ্ট্ৰীয় সতীত্ব যায় মানৰ ভাষায় আলো ও ছায়া রচয়িত্রী। ১৬৫ শোনা ছিল, নারী কভু সতীত্ব যে পায় তুমি তা দেখালে প্ৰভু, সে কারণে রাম চিরস্মরণীয় হবে অহল্যার নাম ।” এ কয় ছত্রের মধুরতা ও গভীরতা ব্যাখ্যার প্রয়োজন নাই । “গুঞ্জন” পুস্তকে যে কবিতাগুলি আছে, তাহা শিশুরাজ্যের। ছড়ার সহজ সুরটুকু কবিতা গুলির মধ্যে দিব্য ফুটিয়াছে ! শিশুর কল্পনা বিকাশের পক্ষে কবিতা গুলি অদ্বিতীয় সহচর সে গুলি শিশুদিগের মতই চঞ্চল, সজীব! এক্ষণে আমরা শ্ৰীমতী কামিনী দেবীর জীবনীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিব | ১৮৬৪ পৃষ্টাব্দের ১২ই অক্টোবর বাখরগঞ্জ জেলার অস্তগত বাসস্তাগ্রামে এক মধ্যবিত্ত বৈদ্যপরিবরে কামিনী দেবীর জন্ম হয়। তাহার পিত! স্বনাম*্যাত গ্রন্থকার ঢণ্ডীচরণ সেন । কামিনীদেবীর পিতামহ ও পিতামহী অতিশয় ধৰ্ম্মপ্রাণ ও ভাবুক প্রকৃতির লেtক ছিলেন । র্তfহাদের জীবনের প্রভাব তাঙ্কাদের পুত্রের ও কিয়ৎ পরিমাণে পৌত্রীর জীবনে অমুরঞ্জিত হইয়ঃছে। - শিশুর কথা ফুটবার পর হইতেই পিতামহ তাহার fনকট নানা প্রকার শ্লোক আবৃত্তি করিতেন । প্রতিদিন শুঞ্জিয় শুনিয়। ইহার অধি গুtংশই শিশুর মুখস্ত হইয়া গিয ছিল । কেহ বাড়ীতে অসিলে পিতামন্থের আদেশে সেগুলি নানাপ্রকার ভঙ্গিসহকারে তিনি পুনরাবৃত্তি করিতেন । এই সকল বtঙ্গল ও সংস্কৃত মিশ্রিত শ্লেকে সকল সময়ে পরের মিল না থাকিলেও প্রায় - শেষভাগে একটি করিয়া নীতি উপদেশ থাকিত । যেমন "না করিব হিংসা না করিব রোষ সভার মধ্যে পড়িব শ্লোক।” "ওহে গোরা কালা কেন নিন্দ ? কাল রজনী সভা করে ছন্দ, কাল অক্ষর জপয়ে পণ্ডিত, কাল। কৃষ্ণ জগৎ পুজিত,