পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੲੋਵੇ। ৩৪শ বর্ষ ] আষাঢ়, ১৩১৭ [ ৩য় সংখ্যা প্রাচীন ভারতের পূজা। সে এক মিঞ্চ উষায় সকলে যখন নিদ্রাবিষ্ট, তখন তরুণ তাপস ভারতবর্ষ অপেন যোগাসনে জাগ্রত থাকিয়া স্বপ্তবিশ্বের শিয়রে দাড়াইয়া, মেঘমন্দ্রস্বরে উচ্চারণ করিয়াছিল, “হে অমৃতের অধিকারি’ তোমরা জাগ, শাশ্বত জ্ঞানের যে অক্ষয় স্বধাধার –নিখিল লোকের যাহাতে সম বিভক্তস্বত্ব, তাহা প্রত্যেকে গ্রহণ কর।” দিকৃ দিগন্তরে লোক লোকাস্তরে তাহার সেই বার্তা প্রচারিত হইল ; যে জাগিয়াছিল সে উঠিয়া দাড়াইল, যে নিরাশ ছিল সে অশান্বিত হইল, যে সন্ত্রালিত ছিল সে নির্ভয় প্রাপ্ত হইল ;–এই একটি মহা আমন্ত্রণ বিশ্বমানবের পৌরোহিত্য গ্রহণ করিয়া নিখিলের মাঝখানে তাহার আবাহন ঘোষণা করিয়া দিল,“অমুতের অধিকারী, তোমরা জাগ!” প্রকৃতি লোক-জননী। শিশু-চিত্ত যেমন আপনার অজ্ঞাতসারে মাতৃপ্রভাবের দ্বারা বিকসিত হয়, ভারতবর্ষ তেমনি এই চির-নীল মুক্তাম্বরের নীচে থাকিয়া, এই শশি-স্বৰ্য্যতারার অবাধ আলোকে বাস করিয়া একটি অপূৰ্ব্ব উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হইয়াছিল। এই ঋতু-বৈচিত্র্য, এই শোভা-বৈচিত্র্য --অfকাশে, বাতাসে, ফুল-পুল্লবে বা সৌরভে এমন করিয়া তাছার মনকে প্রীতিময় গীতিময় করিয়া তুলিয়াছিল, এমন করিয়া তাহাকে উদার ও বিশাল করিয়া গড়িয়াছিল যে, সে নিখিল লোকের মাঝখানে পরিপূর্ণ শতদলের মত ফুটিয়া উঠিয়াছিল ! প্রজাপতি যেমন সমস্ত বিশ্বের শোভা লইয়। তাহীর মানস-কস্তাকে স্বষ্টি করিয়াছিলেন, তেমনি ভারতবর্ষের চিত্ত তাহার চারিদিকৃকার সমস্ত মহান বৈভবের অংশ লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিল ! মহাসমুদ্রের তরঙ্গ-কল্লোল যখন তাহার ঘুম পাড়াইবার গান গাহিয়াছিল, তখন দক্ষিণ পবন তাহার ক্রীড়া-সাহচৰ্য্য লইয়া তাহার পাশে দাড়াইয়াছিল । এমনি করিয়া রূপশালিনী জননীর রূপ তাহার অঙ্গে অঙ্গে সঞ্চারিত হইয়া গিয়াছিল । অনন্ত তারকা-খচিত আকাশে একটা তারাই সীমন্ত-মণির মত দীপ্তি পায় । ভারতবর্ষের ললাটে এই রকম যে তারাটি উদিত হইয়াছিল, उांशंद्र नांभ उख् ि--ौनडांद डांशंङ्ग खानक, আত্মলোপ তাহার জননী । অহং জিনিসটা বাবলার মত, একবার স্থান পাইলে ক্রমশঃ সে নিজের অধিকারের সীমা ছাড়াইয়া সমস্ত দিককে গ্রাস করিয়া ফেলে, তখন তাহাকে উৎপাটন করিবার কোন পথ থাকে না, তাই ভারতবর্ষ ধৰ্ম্ম জীবনের প্রথম সোপানে দাড়াইয়া আপনাকে পদতল-দলিত তৃণের মত দেখিতে উপদেশ দিয়াছে। ‘Self.respect