পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*४९ “অশব্দমম্পর্শমরূপমব্যয়ং তথারসংনিত্যমগন্ধবচ্চযৎ অনাদ্যনন্তং মহতঃ পরং ব্রুবং নিচায্য তং মৃত্যু মুখাৎ প্রমুচ্যতে" তিনি অশব্দ অস্পর্শ, অরূপ, অব্যয়, অরস, নিত্য, অগন্ধবৎ, তিনি মহৎ হইতে মহৎ, নিত্য ও নিৰ্ব্বিকার, তাহাকে জানিয়া জীব মৃত্যুমুখ হইতে মুক্ত হয়। ইহা হইতে প্রাণ মন ও সমুদয় ইন্দ্রিয় আকাশ বায়ু জ্যোতি জল ও সকলের আধার পৃথিবী উৎপন্ন হইতেছে, এই অক্ষয় পুরুষের শাসনে ত্রিলোক বিধৃত হইয়া স্থিতি করিতেছে, ইহার ভয়ে অগ্নি প্রজ্জলিত হইতেছে, স্বৰ্য্য উত্তাপ দিতেছে, মেঘ বর্ষণ করিতেছে, বায়ু यश्भांन श्हेcउ८छ्, भूङ्का पांदमान छ्हेंcउ८छ् ! ইনি “পর্যাগাচ্ছক্রম কায়মত্রণমল্লাবিরং শুদ্ধম পাপবিদ্ধমূ, কবিৰ্ম্মনীষী পরিভূস্বয়ম্ভূ: !” শৈশবের খেলা-ধূলা তাহার অঙ্গ হইতে তখন মুছিয়া গিয়াছে, পরিপূর্ণ যৌব নের অপূৰ্ব্ব কান্তির ভিতর তাহার জটাজাল ভূষিত ললাটে তপস্তেজ বিচ্ছুরিত হইতেছে ; মহোল্লাসে তখন সে বলিতেছে, "সোহহং” আমিই তিনি—যিনি এই “নদী গিরিগুহ। পারাবারে জলে স্থলে ব্যাপ্ত” আছেন ! অবশেষে বাৰ্দ্ধক্য ! ভারতবর্ষের মেরুদণ্ড আজ আনত হইয়া গিয়াছে, তাহার শক্তি ও তেজ জলিয়া নিভিয়া গিয়াছে। অবশিষ্ট পড়িয়া আছে শুধু ভস্ম-লোলচৰ্ম্ম ও শুষ্ক পেশী, আর তাহার নীচে একটি অতিশয় শীর্ণ কঙ্কাল! ভারতবর্ষ এখন জরাগ্রস্ত হইয়া ঝিমাইতেছে, যে বাণী একদিন তাহার আপন কণ্ঠ হইতে নিঃস্থত হইয়াছিল, তাহা সে छांब्रडौ । আষাঢ়, ১৩১৭ নিজে এখন বুঝিতে পারিতেছে না, তাহার চক্ষের নেত্রচ্ছদ সমস্ত ঢাকিয়া ফেলিয়াছে ! তাহার মন্ত্র এখন শব্দসমষ্টিতে পরিসমাপ্ত इझेब्रां८छ्, क्विब्रांकां७ ठाकूरछैॉन-भांख श्ब्रां দাড়াইয়াছে, সব যেন প্রাণ-হীন অর্থহীন— অস্তরের যোগসূত্র যে তাহার কখন কোথায় ছিড়িয়া পড়িয়া গিয়াছে, তাহা খুজিয়া বাহির করা যায় না । এই বৃহৎ কঞ্চকটির মধ্য হইতে সেই অতিকায় সৰ্প যে নিঃশব্দে বাহির হইয়া গিয়াছে, তাহ কেহ দেখিতে পায় নাই! জাতবস্তু মাত্রেই জরার অধীন। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর বীজ উপ্ত হয়, এক একটি জাতি ও ধৰ্ম্ম তাহার ফুৎকারে প্রদীপের মত জলিয়া নিভিয়া যাইতেছে! স্বষ্টির নেমিচক্র উদ্ধেও নিম্নে আবহমান কাল উখিত ও পতিত হইতেছে—একের হস্তচু্যত কেতন অপরে লইয়া অগ্রসর হইতেছে, এক একটি জাতি ও দেশকে অবলম্বন করিয়া অনস্ত কালের অনন্ত অভিব্যক্তি শনৈ: শনৈঃ অগ্রসর হইতেছে— তাহা বিশ্বজগতের কেতন, বিশ্বমানবের কেতন, বিশ্ববাসীর কেতন, তাহ জাতি বিশেষের বা ব্যক্তি বিশেষের অধিকৃত নয় ! ভারতবর্ষের প্রাচীন ধারাগুলির সহিত অনেক নূতন ধারা আসিয়া মিলিয়াছে। বর্তমান উপাসনা-পদ্ধতি তাহার অন্ততম । ভগবদ্ভক্তির কয়েকটা স্তর আছে, তাহার এক একটি বিভাগ এক একটি রেখার দ্বারা বিভিন্নীকৃত । প্রথম দাস্য ভাব । মানব-চিত্ত তখন স্রষ্টার বিরাট মহিমার নিকট আপনার দৈন্তে কুষ্ঠিত ভাবে নতশিরে দাড়াইয়া আছে। পরে ঈশ্বরে পিতৃমাতৃত্বের আরোপ এবং পরে আরো নিবিড় হইয়া সে ভাব বাৎসল্যে ও তাছা হইতে