পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yte মৌলবী ক্রুদ্ধচিত্তে হকিকত রায়কে তৎক্ষণাৎ কাজির নিকট পাঠাইলেন । কাজি সবিশেষ শ্রবণ করিয়া অত্যন্ত বিস্মিত ও কুপিত হইলেন, এবং হকিকতের প্রাণদণ্ডের আজ্ঞাদিয়া তদ্বিষয়ে চূড়ান্ত বিচারের জন্ত র্তাহাকে লাহোরের মুবাদারের নিকট পাঠাইলেন । জফর খ৷ নামক একজন পাঠান তথন লাহোরের সুবাদার ছিলেন । হকিকত রায় স্ববাদারের সম্মুখে আনীত হইয়া সমুচিত বিনীতভাবে ও একান্ত অকপটচিত্তে মামুপুৰ্ব্বিক সমস্ত ঘটনা বিবৃত করিলেন, নিজ জীবন রক্ষার জন্ত এক চুলও অসত্য বলিলেন না । সুবাদার এই একাদশবর্ষীয় বালকের প্রবল স্বধৰ্ম্মাহুরাগ, অটল সত্যনিষ্ঠ, ও সুকোমল শাস্ত-স্বভাব নিরীক্ষণ করিয়া একান্ত মুগ্ধ ও দয়ার্ক্স হইলেন ; কিন্তু কাজির আজ্ঞা অমান্ত করিতেও সাহসী না হইয়া বলিলেন—“হকিকত, তুমি নিশ্চিন্ত হও। আমি তোমার প্রাণ রক্ষার এক স্বন্দর উপায় ঠিক করিয়াছি, তুমি পবিত্র ইসলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ কর।” এই কথা শ্রবণমাত্র হকিকত রায় সমুচিত দৃঢ়তার সহিত বলিলেন “আমি মৃত্যুদণ্ড স্বীকার করিতে প্রস্তুত আছি কিন্তু স্বধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিব না ।” হকি কতের পিতামাতার নিকট এই মৰ্ম্মান্তিক সংবাদ বিদ্যুৎবেগে আসিয়া পৌছিল। র্তাহার শোকোত্মত্ত হইয়া পুত্রকে দেখিবার জন্ত লাহোর যাত্রা করিলেন । স্থবাদার তাছাদিগকে যথোপযুক্ত সম্বৰ্দ্ধন ও সাস্বনা করিয়া কহিলেন—“হকিকত যদি ইসলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করে—তবেই সম্পূর্ণ নিরাপদ डांब्रडी । ר לטיל ,לttsfסי হইতে পারে আপনার তাহাকে বুঝাইয়া বলুন।” পুত্রের প্রাণের দায়ে হকিকতের মাতা পর্য্যস্ত র্ত{হাকে ধৰ্ম্মাস্তুর গ্রহণে পরামর্শ প্রদান করিলেন। মাতার নিকট হইতে এইরূপ অপ্রত্যাশিত আদেশ পাইয়া পুত্র বলিলেন, “ম! তুমিই তো আমাকে বরাবর বলিয়াছ যে, এই ক্ষণ-ভক্ষুর শরীরকে কোনো অসার পার্থিব ভোগবিলাসের অধীন না করিয়া সৎকার্য্যে উৎসর্গ করাই মানব জীবনের চরম লক্ষ্য। এখনই ত আমার পরীক্ষার প্রকৃত সময় । এখন আমাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হইতে পরামর্শ না দিয়া আশীৰ্ব্বাদ কর যেন পরমেশ্বরের নাম স্মরণ করিতে করিত্তে হাসিতে হাসিতে এই নশ্বর দেহ পরিত্যাগ করিতে পারি। আজু অবিনশ্বর ও চিরউন্নতিশীল, তাহাকে কেহই বধ করিতে পারে না । সুতরাং যথার্থ হকিকত রায়কে নষ্ট করিবার ক্ষমতা কাহারও নাই ।” তাহার পিতা ও র্তাহাকে অনেক বুঝাইলেন, সুবাদার তাহাকে জামাতা করিবার লোভ পর্য্যন্ত দেখাইলেন। কিন্তু হকি কত স্থির অচঞ্চল ও দৃঢ়সংকল্প। পরিশেষে স্ববাদার উপায়াস্তর না দেখিয় প্রাণবধের জন্ত র্তাহtকে জল্লীদের হস্তে সমর্পণ করিলেন । পিতামাতার হৃদরবিদারক আৰ্ত্তনাদের মধ্যে হকিকত রায় বধ্য-ভূমিতে আনীত হইলেন। ক্ষণকালের মধ্যেই সেস্থান লোকে পূর্ণ হইয়া গেল, সকলের মুখেই হাহাকার ধ্বনি, সকলেরই চক্ষু জলপূর্ণ, কিন্তু হকিকত রায় নিভাক বীরপুরুষের স্তায় প্রশাস্ত ভাবে দণ্ডায়মান ! জল্লাদ ঠাহীর শিরচ্ছেদ করিবার জন্য খড়গ উঠাইল, কিন্তু পারিল না ;