পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bసి శి ছিল । সে কেন আলিল না ? সেও কি আজ র্তাহার স্নেহে সন্দিহান হইয়াছে ? ন অভিমান করিয়া আসে নাই ? কয়দিন যে তিনি হেমের নিষ্ঠুর আঘাতে অবসন্ন হইয়া পড়িয়াছেন ! সেও বুঝি বা স্বামীর অবিবেচনার নিদারুণ আঘাতে লুটাইয় পড়িয়াছে ! এখনি তিনি সেখানে গিয়া দুই হাতে তাহার লুষ্ঠিত মাথাটা কোলে তুলিয়া লইয়া ডাকিবেন "মা, কেন মা ছেলের ওপোর আজ রাগ করেছিস্ ? কুপুত্র হলেও কুমাত তো হবার ষে নেই ।” শুiমাকান্ত স্পষ্ট দেখিতে পাইলেন, শান্তির সজল বিশালনেত্রের মেঘান্ধকার বিদারণ করিয়া স্নিগ্ধ বিদ্যুৎফুরণ হইল। তাড়াতাড়ি উঠিয় বসিয়া সে মধুর কলহাস্তের সহিত উত্তর দিল “আমি আবার রাগ করলুম কখন জ্যেঠামশাই ?” কিন্তু কে জানে মানুষের কেমন সঙ্কীর্ণ সভয়চিত্ত সে সহজ কথাটা মনে করিতে গিয়া ও হাজারবার পিছাইয়া আসে। মুহমূহ চকিত বিদ্যুতালোকে শুামাকাস্তের ক্রোড়স্থ মুখখানাকে দশরথ রাজার স্বহস্তবিদ্ধ ঋষিকুমার সিন্ধুর মরণাহত শুভ্ৰমুখের মতন বলিয়া মনে হইল, তিনি শিহরিয়া দেবীপ্রতিমার পানে চাহিয়া নিশ্বাস ফেলিলেন “দুর্গে !” অল্প পরেই ভূত্য বিস্ময়চকিত ভাবে ফিরিয়া আসিয়া খবর দিল, “তারিণী বল্পে একটুখানি আগে ছোটবাবু ছোটমাকে নিয়ে, গাড়ি করে কোথায় চলে গেছেন, আর বড়ম। তার ঘরে বসে কান্‌চেন ?” শুনিয়া শুামাকাস্তের চোখের উপর চাইতে অকস্মাৎ সমুদয় আলোকদীপ্তি নিম্প্রভ হইয়া उtब्रडौ । আষাঢ়, ১৩১৭ গেল। তিনি নিশ্চলভাবে প্রস্তরপ্রতিমাদের মতই অন্ধকার বাহিরের দিকে চাহিয় দীড়াইয়া রহিলেন । অনেকক্ষণ পরে যখন প্রস্থানোদ্যত ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় সাহস করিয়া মূচ্ছিত প্রায় স্তব্ধ বৃদ্ধ জমাদারের নিকটত্তী হইয়া ধীরে ধীরে সসঙ্কোচে র্তাহার বাহুস্পর্শ করিলেন, তখন চমকিয় উঠিয় প্রথমট শুামাকান্ত ভাল করিয়া বুঝিতে পারিলেন ন}, যে তিনি ঘুমাইয়া একটা ঘোরতর দুঃস্বপ্নের দ্বারা এতক্ষণ পীড়িত হইতেছিলেন কিনা ? পুরোহিতের দিকে চাহিয়া বলিcলন “সত্যি কি ম, আমায় ছেড়ে চলে গেছেন ?” “একি কথা বলছেন ? মা জগদম্বা আপনার ভক্তি ডোরে বাধা, আপনার মত ভেদবোধহীন সাধক কি এ কলিকালে দ্বিতীয় আছে ? মার প্রসন্নমুখে অপ্রসন্নতার ছায়াটিও পড়ে নাই। ঐ দেখুন বরাভয়দায়িণী আপনার পানে চেয়ে অভয় হাস্ত কচ্চেন ।” মাতৃহীন শিশু যখন মা বলিয়া আবার ধরে তখন যদি তাহার বিমাতাকে দেখাইয়া কেহ বলে এই তোমার মা তাহা হইলে যেমন হয় তেমনিভাবে বুদ্ধ জমীদার হতাশার সহিত একমুহূৰ্ত্ত দেবীমূৰ্ত্তির প্রসন্নমুখে দৃষ্টিপাত করিয়া রুদ্ধপ্রায় কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন “মাগো জগদম্বে ! যদি অপ্রসন্ন হোসনি তবে কেন আমার মাকে কেড়ে নিলি মা ? অামার মাকে আমায় ফিরিয়ে দেমা, আমার শাস্তিকে আমায় ফিরিয়ে দে ।” আচাৰ্য্য অদ্ভুতভাবে গুমোকাস্তের পানে তাকাইলেন “মালক্ষ্মীর কি হয়েছে । তিনিতে ভালই ছিলেন –