পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yసి8 কি বাড়ী ঘর সব ত্যাগ করবে না কি ? শাস্তিদের যে ছ এক দিনের মধ্যে লক্ষ্মীপুরে ফেরবার কথা ছিল তার কিছু কি খবর পেলে ? “তাইতে তোমায় বলিনি বুঝি ” রজনীনাথ একটু অপ্রতিভভাবে পত্নীর সাগ্রহ দৃষ্টির উপর সহস্তে দৃষ্টি স্থাপন করিয়া প্রফুল্প মুখে কহিলেন ; “তারা যে এসেছে আজ বিকেলে আমি সেখানে যাব মনে করেছি।” লক্ষ্মীপুর গিয়া সেখানকার প্রকৃত অবস্থা বুঝিতে শুiমাকাস্তের বাকী রহিল না। তাহার প্রতি হেমেন্দ্রের ভক্তি প্রীতিশূন্ত অবিনীত ব্যবহার ; শান্তির প্রতি প্রেমহীন অবহেলা সমস্তই তাহাকে নিদারুণ পীড়িত করিয়া তুলিল। শুমাকান্তও সেই প্রথম দিনেই উইলের কথাটা পাড়িয়া বসিলেন । তাহার ইচ্ছ। বিনোদের পুত্রের সহিত শাস্তিকে তিনি তুল্যাংশে বিষয় ভাগ করিয়া দিবেন। হেমেন্দ্র নিজের হাত খরচের মতন মাসিক কিছু কিছু টাকা পাইবেন মাত্র । রজনীনাথ একটুখানি উত্তেজিত ভাবে মুখ তুলিয়া ঈষৎ তীব্রভাবে বলিয়া উঠিলেন “কেন, আবার কি কৃষ্ণকাস্তের উইলের অভিনয় করাতে চান ? চৌধুরী মশায় মনে কৰ্ব্বেন না আপনার হেম কোনও অংশে গোবিন্দলালের চেয়ে ভাল ।” তার পর একটু লজ্জিত হইয়া নম্রভাবে কহিলেন “আমার পরামর্শ এই যে বিনোদের ছেলের সঙ্গে জমাদারির ভাগ অন্ত কারুকে না দেওয়াই উচিত। এ থেকে চিরকালের জন্ত একটা বিবাদের স্বষ্টি করা ভিন্ন অন্ত কোন লাভই হবে না।” শুiমাকান্ত বৈবাহিকের নিকটে অপরাধशैन श्रण७ निप्छब्र भनएक उांश किछूप्ङहे एछॉब्रडौ । শুনিয়া . আষাঢ়, ১৩১৭ বুঝাইয়া উঠিতে পারিতেছিলেন মা। পাছে রজনীনাথ কিছু মনে করেন সেই জগুই বিষয় ভাগের কথাটা হঠাৎ তাড়াতাড়ি করিয়া তুলিয়াছিলেন। বেহাই এর প্রস্তাবে আনন্দে বিস্ময়ে কিছুক্ষণের জন্ত র্তাহার বাকুরুদ্ধ হইয়া গেল। কিছু পরে রজনীনাথের পিঠে হাত রাখিয়া অবরুদ্ধ কণ্ঠে কহিয়া উঠিলেন “কিবলে আশীৰ্ব্বাদ করব রজনি ! ঈশ্বর তোমার চিরমঙ্গল করুন, মা তোমার সহায় হোন । তোমার কাছে আজ আমার যে মুখ দেখাতে লজ্জ করচে ভাই ; কি বলবো । যাহোক আসল কথাটা হচ্ছে এই,হেমের হাতে বিষয়টা পড়ে এটা আমার মোটেই ইচ্ছা নয়। সত্যি কথা বলতে কি ভাই আমি ওটা সাহসই করচি না । একেতো সে আমার মীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে না তার উপর টাকাকড়ি হাতে যদি পড়ে তাহলে কি আর রক্ষা আছে । আমার মাকে যে অযত্ন করে আমার তার মুখদেখতে ইচ্ছে করে না। বুদ্ধ হয়েছি কোনদিন আছি কোন দিন নেই,— ও সব হাঙ্গামা মিটিয়ে রাখাই ভাল। মাকে আমার অৰ্দ্ধেক সম্পত্তি দেবোই।” শুনিয়া একমুহূর্ত রজনীনাথ স্তন্ধ হইয়৷ রহিলেন। এক মুহূৰ্ত্ত বেদনাদীর্ণ চিত্তে হাহাকার উঠিল ; কিন্তু দুঃথে নিরাশায় অবসর বা হতাশ হওয়া রজনীনাথের স্বভাব নয়। পরমুহুর্তেই ক্রোধ ও বেদনাকে সবলে বক্ষে চাপিয়া জামাতাকে সংশোধন করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়া ধীরভাবে কহিলেন, “কিন্তু ভেবে দেখুন আপনার উইলও তে লতির পক্ষে কিছু মঙ্গলের হবে না। যে প্ল্যানটা আপনি নিচ্চেন সেইটেই যে হেমের পক্ষে সবচেয়ে