পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা । থাকিয়া আদর্শ গৃহীর দ্যায় জীবন যাপন তাহার একমাত্র লক্ষ্য ছিল। প্রকৃত মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশে রামতনুর চরিত্র সমুজ্জল । ১৮১৩ খৃষ্টাব্দে নদীয়ার অন্তঃপাতী বারুইহুদা গ্রামে, মাতুলালয়ে রামতনু বাবু জন্মগ্রহণ করেন । তাহার পিতা রামকৃষ্ণ লাহিড়ী সন্ত্রান্ত কুলীনবংশোদ্ভব ও সাতিশয় ধৰ্ম্মপরায়ণ ছিলেন । রামতনুর পুৰ্ব্বপুরুষগণ সহস্র প্রলোভনের মধ্য দিয়া কৰ্ত্তব্যপরায়ণতা, সত্যনিষ্ঠ ও পরোপকারিতার পরিচয় দিয়াছেন । র্তাহার মাতা জগদ্ধাত্রী দেবী পিতৃগৃহের অতুল সুখস্বচ্ছন্য তুচ্ছ করিয়া দরিদ্র স্বামীর মর্য্যাদা রক্ষার নিমিত্ত পতিগৃহে হৃষ্টচিত্তে অনভ্যস্ত শারীরিক শ্রমের দ্বারা সমুদয় গৃহকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাচ করিতেন। তঁtহার গুণে মুগ্ধ হইয়া প্রতিবেশীবর্গ তাছাকে সাক্ষাৎ লক্ষ্মী নামে অভিহিত করিতেন । এই মহৎ কুলে জন্মগ্রহণই রামতমুর আদর্শ চরিত্র লাভের কারণ । দ্বাদশবর্ষ বয়ঃ ক্রমকালে পাঠশালার পৈশাচিক নিৰ্য্যাতন হইতে রামতনু মুক্তিলাভ করেন । কৃষ্ণনগরের তদানীন্তন পঙ্কিল সমাজ এবং বিশেষতঃ স্থানীয় কলুষিত চরিত্র বালকদিগের কুপ্রভাব হইতে পুত্রকে বিচ্ছিন্ন রাখিবার জন্য রামতনুর পিতামাত অত্যুন্ত চিন্তিত হইলেন । ১৮২৬ খৃষ্টাব্দে রামতনুর অগ্রজ কেশবচন্দ্র জনক জননীর ব্যগ্রত দেখি কনিষ্ঠকে কৰ্ম্মস্থল আলিপুরের সন্নিকটস্থ চেতলার বাসীতে আনিলেন। চেৎলীর নিকটে ইংরাজী বিদ্যালয় না থাকাতে কেশবচন্দ্র প্রাতে ও সন্ধ্যtয় তাহাকে আরবী পারসী ও ইংরাজী হস্তলিপি লিখন প্রণালী শিখাইতেন। অবশেষে প্রাতঃস্মরণীয় মহাত্ম। রামতনু লাহিড়ী శిevని ডেভিড হেয়ার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের পণ্ডিত গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার মহাশয়ের আমুকুল্যে হেয়ার সাহেব রামতনুকে বিনা বেতনে স্কুলে ভৰ্ত্তি করিয়া লন । রামতনু কখনও হেয়ারের এই মহানুভবতা বিস্কৃত হন নাই। উত্তরকালে তিনি সৰ্ব্বদাই তাহার পরিচিত বন্ধুবৰ্গকে হেয়ারের স্কৃতি রক্ষার জন্ত অনুরোধ করিতেন। বৃদ্ধাবস্থায় চলংশক্তিহীন হইলেও কলেজস্কোয়ারে মৃতগুরুর বার্ষিক স্মরণসভায় শিবিকারোহণে উপস্থিত হইতেন । কেশবচন্দ্র রামতনুকে গৌরমোহনের তত্ত্বাবধানে রাখিয়া চেতলায় ফিরিয়া আসিলেন । কিন্তু তথায় তাহার বন্ধুবর্গের কুরুচিপূর্ণ আলাপ বালকের নীতিশিক্ষার পক্ষে যথেষ্ট অন্তরীয় ছিল । তদ্ভিন্ন রামতমুকে সৰ্ব্বদা রন্ধন কার্য্যে ব্যাপৃত থাকিতে হইত বলিয়া তিনি পাঠের প্রতি সবিশেষ মনোযোগ দিতে পারিতেন না । এই সকল অসুবিধা কেশবচন্দ্রের শ্রবণগোচর হইবামাত্র তিনি কনিষ্ঠকে শুiমপুকুরে তাহার সম্পৰ্কীয় রামকান্ত খ মহাশয়ের ভবনে রাখিয়া দিলেন । খাঁ মহাশখের পত্নী রামতনুকে যথেষ্ট স্নেহ করিতেন। এখানে আসিয়া রামতনু তাহার সহপাঠী দিগস্বর মিত্রের ভবনে যাতায়ীত করিতেন । ভবিষ্যতে দিগম্বর বাবু রাজা ও C. S. I উপাধি পাইয়া যশস্বী হইয়াছিলেন। দিগম্বরের জননী তাছার পুত্রের সহtধ্যায়ীকে সম্বেহে সন্ধুপদেশ প্রদান করিতেন । ১৮২৮ খ্ৰীষ্টাব্দে হেয়ার সাহেবের স্কুল হইতে বৃত্তি লাভ করিয়া রামতনু হিন্দু কলেজের চতুর্থ শ্রেণীতে প্রবেশ করেন। এখানে সুপ্রসিদ্ধ রামগোপাল ঘোষ,