পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা । শ্রদ্ধা করিতেন । এই উদারতাটুকু রামতনু চরিত্রের বিশেষত্ব এবং ইহাই তাহাকে অপর সাধারণ হইতে স্বতন্ত্র করিয়া রাখিয়াছে। ভগবানের করুণার প্রতি র্তাহার অবিচলিত বিশ্বাস ছিল। ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে পেনসন গ্রহণ করিবার পর তিনি সাংসারিক মুখোপভোগে সম্পূর্ণ বঞ্চিত ছিলেন। উপযুক্ত কষ্ঠা ও পুত্রদ্বয়ের অকাল মৃত্যু, জামাতার আত্মহত্য, প্রাণপ্রিয় কনিষ্ঠের তিরোধান কিছুই তাহার বিশ্বাসকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করিতে সক্ষম হয় নাই। র্তাহার কস্তার মৃত্যুতে তিনি লিথিয়াছিলেন, “তোমরা শুনিয়া মুখী হবে যে ইন্দুমতীর রোগযন্ত্রণ আর নাই, সে এখন বেশ সুখে আছে।” যদি কেহ তাহার পুত্রকন্যাবিয়োগের জন্ত দুঃখ প্রকাশ করিতেন, তাহা হইলে তিনি বলিয়া উঠিতেন, “এর জন্ত বর্ষাগমে | ミ?) আপনার দুঃখ কচ্ছেন কেন ? ভগবান যে এই কয়টি রাখিয়াছেন, তাহাই কি যথেষ্ট নয় ?” ভগবানের প্রতি কি অপুৰ্ব্ব অসাধারণ বিশ্বাস । রামতনুর জীবনী আলোচনা করিলে এই শিক্ষাটি আমাদের হৃদয়ে জাগরূক থাকে যে পৃথিবীর শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিতে হইলে অসাধারণ প্রতিভা বা অর্থের কোন প্রয়োজন হয় না। অনাড়ম্বর জীবন যাপন করিয়৷ চরিত্রবলে মনুষ্য আপনাকে ও স্বজাতিকে কতদূর উন্নীত করিতে পারে রামতন্থ লাহিড়ীর জীবন তাহারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ! রামতন্ত্র বাবুর জীবনের ছোট ছোট অনেক গল্পে তাহার চরিত্র-মাহাত্ম্য পরিস্ফুট হইয় উঠে । বাহুল্যভয়ে আমরা এস্থলে তাহার আবৃত্তি হইতে বিরত রহিলাম ! ভবিষ্যতে তাহ প্রকাশের ইচ্ছ। রহিল ! ত্র রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়। বর্ষাগমে । পরিব্যাপ্ত নীলিমায় সম্মুখ আকাশে নিৰ্ম্মল প্রসন্ন-দৃষ্টি স্বৰ্য্যরশ্মি হাসে বরদাত্রী অভয়ার মত ; দূরতর দিগন্ত সীমায় বনকৃষ্ণ মেঘস্তর নেমেছে প্রাস্তরে, যেন স্থান নাহি তার অপার আকাশে ; চমকিছে চপলার বিহবল প্রলয় দীপ্তি ত্রস্ত ক্ষণে ক্ষণে, উঠিতেছে, পড়িতেছে মত্ত আন্দোলনে দ্ৰুমদল, পবনের ভৈরব আক্রোশে । চেয়ে আছি ব্যাকুল আগ্রহে, রুদ্ররোষে মেঘপুঞ্জ আবরিবে মঙ্গল কিরণ ? অথবা আনিবে বর্ষা করুণ প্লাবন, হবে ইন্দ্ৰধনু মিশি হাসি অশ্ৰুজল ব্যাপি সীমাহীন নভ স্পর্শি ধরাতল ! ঐপ্রিয়ম্বদা দেবী ।