পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা । অবরোধের মধ্যে কতগুলি হৃদয় অtমার আগমন প্রতীক্ষায় বসিয়া আছে। সেই সঙ্গে অীমার ‘অন্ধকার’ ও হয়ত পথ চাহিয়া আছে ! আবার মনে হইল, কেন সে থাকিতে যাইবে ? আমা দ্বারা সে কতটুকু মুখী झझेब्रtिछ् ? ফ্লোরীকে ভালবাসি আর যtষ্ট করি তাহাকে আর ব্যথা দিল না এইট। একরকম ঠিক করিয়াছিলাম। কিন্তু বাড়ি আসিয়া ‘তাহীকে" দেখিতে পাইলাম না । রাত্রি আসিল, কিন্তু আমার অন্ধকার কৈ ! আমার নিকট আসিল না ত! ভাবিলাম একবার শ্বশুর বাড়ি যাই! কিন্তু মনে একটু অভিমান হইল! তিন বৎসর পরে বিদেশ হইতে আসিলাম, এখন কি না তিনি’ বাপের বাড়ি বসিয়া রছিলেন । কিন্তু আমি ত, তাহার প্রার্থনামত তাঙ্কাকে জানাই নাই যে, আমি বাট যাই তেছি ! ইচ্ছা করিলে সে কি জানিতে পারিত না, আমি কবে আসিব ? আমার রাগ-অভিমান হইতে পারে আর তাহারি কি হইতে পারে না ? তবু কেমন রাগ হইল—শ্বশুর বাড়ী যাওয়া স্থগিত রাখিলাম । তার পর এক সপ্তাহ কাটিয়া গেল। ৰাটীর কাহারও নিকট তাহার সম্বন্ধে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলাম না— কেহ উপযাচক হইয়াও আমাকে কিছু বলিতে আসিল না । ইহার কিছুদিন পরেই ঘটকঠাকরুণ দশহাজার টাকার এক সম্বন্ধ লইয়া উপস্থিত ! আবার আমার বিবাহ! এবার মেয়ে নিখুঁত সুন্দরী ! বাড়ীর মেয়েদের বড় আহলাদ । এবার আদেশ পালন । २४ ॐ র্তার কালো-কুৎসিত বউ ফেলিয় আলো-করা বউ ঘরে তুলিবেন! আর আমি ! শুভসংবাদ যেমন অগ্রহে মানুষ মানুষকে জানায়, বাড়ীর মেয়ের তেমনি অগ্রহভরে আমাকে জানাইলেন যে, সেই ‘কালো বেী' আজ দু’মাস হইল, মারা গিয়াছে ! র্তারা ভাবিয়ছিলেন এ সংবাদে আমি সুখী বই অমুখী হুইব না—নিজে ও আমি তাহা মনে করিতাম–কিন্তু কই সুখী হইতে পারিলাম ন তো ! আমার মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে একটা আঘাত বেদন জাগিল ; তাহার প্রতি আমার নিষ্ঠুর ব্যবহার স্মরণ করিয়া আমি এক মুহূর্তে জাগরিত, সন্তপ্ত, অমৃতপ্ত হইয়া উঠিলাম । তাহার প্রতি নিমেষের জন্ত আমার যে করুণ। জাগিয়া উঠিয়াছিল এই মৃত্যুসংবাদে তাহ জলন্ত প্রেম রূপে হৃদয় দগ্ধ করিয়া তুলিল । জীবনে আমার জন্য যে সতত লীলায়িত হইয়া থাকিত মৃত্যুতে তাহারই জন্ত আমার হৃদয় চির লালায়িত হইয়া উঠিল। একদিন যে আমার নয়নে অসুন্দর, ধ্যানে অপ্রিয়, জীবনে অভিশম্পতিস্বরূপ ছিল, মৃত্যু আজ তাহাঁকে আমার অন্তরনয়নে চিরসুন্দর, ধ্যানে চিরপ্রিয়, পরজন্মের আকাঙ্খিত বস্তু করিয়া তুলিল! কেন এমন झ्झेल ? छांनिन ! একমাস পরে অনেক ডাকঘরের ছাপ পড়া একটী পার্সেল আমার নিকট পৌছিল। দেখিলাম, পার্সেলটি কলিকাতা হইতেই পাঠান হইয়াছিল। তারপর স্বদেশে ফিরিবার সময় আমি যে যে দেশ ভ্রমণ করিতে গিয়াছিলাম পার্সেলটিও সেই সেই দেশ ঘুরিয়া শেষে এখtuন আলিয়াছে। কিন্তু উহার ভিতর