পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&スや সহিত অবজ্ঞা করিয়া এক ক্রেীড় মুদ্র দাবী করিয়৷ श्रांलियमाँ७ चौब्र झिालन । यहांब्रांtछेब्र অসন্মত হইলেন । নবীবের দৈন্ত বসিল । এ অপমানকর প্রস্তাবে তিনি কাজেই যুদ্ধ চলিতে লাগিল । ক্রমেই পলায়ন করিতে লাগিল, মহারাষ্ট্রগণও তাহাদিগের অনুসরণ করিতে লাগিল। অবশেষে অনাহারক্লিষ্ট শ্রাস্ত নবাবসৈন্ত কাটোয়tয় যাইয়া আশ্রয় গ্রহণ করিল। মহারাষ্ট্রগণ ইতিপূৰ্ব্বেই কাটোয়। লুণ্ঠন করিয়া নবাবের শস্তাগারগুলিতে অগ্নিদান করিয়া ধ্বংস করিয়াছিল। ক্ষুধিত সৈনিকগণ সেই দগ্ধ শস্যই অগ্রহভরে গ্রহণ করিতে লাগিল এবং যতদিন ন। মুর্শিদাবাদ হইতে শাহমৎ নূতন সৈন্য লইয়া তথায় উপস্থিত হন ততদিন নবাবসৈন্ত কাটোয়াতেই অপেক্ষা করিতে লাগিল। এমন সময়ে সৌভাগ্যবশত: বর্ষ। নামিল এবং ভাস্কর রাও শীতের প্রারম্ভে পুনরাগমন করিবার অভিপ্রায়ে বেরারে যাইবার সংকল্প করিলেম । কিন্তু উড়িষ্যায় সারফ্লাজকে সাহায্য করিবার জন্য যে সৈন্ত প্রেরিত হইয়াছিল তাহাদিগের অধিনায়ক মীর হবিব, এক্ষণে মহারাষ্ট্রের অধীনে কৰ্ম্ম করিতেছিলেন। ভাস্কর রাওকে তিনি নবীবের কাটোয়ায় অবস্থানের অবসরে মুর্শিদ,বাদ অংক্রমণ করিবার পরামর্শ প্রদান করিলেন। মহারাষ্ট্র সেন গোপনে নৈশ অন্ধকারের অন্তরালে যাত্রা করিল। কিন্তু তাহীদের এই গুপ্তযাত্রার সংবাদ নবাবের কর্ণগোচর হইবামাত্র, তিনি অবিলম্বে রাজধানী অভিমুখে যাত্রা করিলেন। দুর্ভাগ্যবশতঃ মহারাষ্ট্রগণ নবাবের একদিন পূৰ্ব্বে আসিয় রাজধানী অধিকার করিয়া বসিয়াছিল। এইদিন মুর্শিদাবাদের ইতিহাসে এক চিরস্মরণীয় দিন। লুন্ঠনকারী শক্রগণ যথাসাধ্য লুণ্ঠন করিয়া ও জগৎ শেঠের ধনাগার ভস্ম করিয়া, নৰাবসৈন্তের আগমনবার্তা শ্রবণ মাত্র নগর ত্যাগ করিয়া পলায়ন করিল এবং হবিবের পরামর্শমতে কাটোয় নগরে শিবির স্থাপন করিল। নবাৰ অবিলম্বে রাজধানী পুনর্গঠনে মনোযোগী इश्रजन। ०१8२ नांप्लन्न वर्षांग्र किरु छांश्ब्र নিক্রিয় ছিলেন না। হৰিবের সাহায্যে তিনি ভারতী । আষাঢ়, ১৩১৭ মেদিনীপুর, বৰ্দ্ধমান, রাজশাহী ও বীরভূম অধিকার করিলেন । ক্রুদ্ধ আলিবন্দী ভীষণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হইবার সংকল্প করিয়| তাহার পত্নীকন্যাকে পরিবারিক ধনরত্নাদির সহিত শাহমতের রক্ষণাবেক্ষণে গোদাগরিতে প্রেরণ করিলেন । রাজধানীর এতাদৃশ নিকটে মহারাষ্ট্রদিগকে দেখিয়া রাজধানীর অনেক অধিবাসী কলিকাতায় ইষ্ট,ইণ্ডিয়া কোম্পানির আশ্রয়ে যাইয়া উপস্থিত হইল। নবাবের অনুমতি ক্রমে কলিকাতার ইংরাজগণ মহারাষ্ট্রের অt ক্রমণ হইতে কলিকাতা রক্ষা করিবার জন্ত নগরীর চতুদিকে দুইশত হস্ত দীর্ঘ এক জলপ্রণালী খনন করিলেন । সেই অবধি এই প্রণালীটি ‘মহারাষ্ট্র খানা’ নামেই খ্যাত.। সমস্ত বর্ষ ধরিয়া আলিবন্দী গোপনে যুদ্ধের আয়োজন করিতে লাগিলেন। এক প্রবলবাহিনী সংগ্ৰহ করিয়৷ শীতের প্রার তুই ভাগীরথী বক্ষে এক নৌসেতু নিৰ্ম্মাণ করিলেন, এবং রাত্রের অন্ধকারে প্রচ্ছন্ন থাকিয়া মহারাষ্ট্রসেনকে সহসা আক্রমণ করিলেন। মহারাষ্ট্র সেন রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়ন করিল, এবং আলিবন্দী কাটোয়ার বহিঃপ্রদেশে তাহাদিগের প্রভূত যুদ্ধদ্রব্যাদি অধিকার করিলেন মহারাষ্ট্রগণ বিষ্ণুপুরে পলায়ন করিল। তথায় গভীর অরণ্যের আশ্রয়ে নবাবের অনুসরণকে ব্যর্থ করিয়৷ মেদিনীপুরে উপস্থিত হইল। ইতিমধ্যে উড়িষ্যার সহকারী শাসনকৰ্ত্ত মহম মহারাষ্ট্র কবল হইতে স্বকীয় প্রজাকে রক্ষা করিবার জন্ত এক ক্ষুদ্র সৈন্তবাহিনী লইয়া অগ্রসর হইয়াছিলেন । মেদিনীপুর হইতে মহারাষ্ট্রসেনার এক অংশ তদভিমুখে অগ্রসর হইল । যুদ্ধে মন্ত্রম পরাজিত হইলেন। আলিবন্দী তখন বৰ্দ্ধমানভিমুখে অগ্রসর হইয়া মেদিনীপুরে মহারাষ্ট্রদিগের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন। এই যুদ্ধে নবাব জয়ী হইলেন এবং মহারাষ্ট্রগণ অবিলম্বে বেরারে পলায়ন করিল। অতঃপর আলিবন্দী কটকে উপস্থিত হইয়া রহুল খাকে তাহার.প্রতিনিধি পদে নিযুক্ত করিয়া স্বকীয় রাজধানীতে প্রত্যাগমন করিলেন । মহারাষ্ট্রের প্রথম বঙ্গাক্রমণ এইভাবে অবসিত হুইল ।