পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలిy डांब्रडौ । আষাঢ়, ১৩১৭ বিবিধ । রমণীর অধিকার । আমরা গতবর্ষের বৈশাখের ভারতীতে ইংলণ্ডের রমণীগণের রাজনৈতিক অধিকারলাভের জন্য সংগ্রাম ও আত্মোৎসর্গের একটা সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দিয়াছিলাম । এই এক বৎসরে উহাদের আদর্শে ইয়ুরোপের অন্যান্য দেশের রমণীকে ও রাষ্ট্রীয় অধিকারলাভে উত্তেজিত করিয়াছে । ফরাসীদেশের প্রায় প্রত্যেক স্থান হইতেই শিক্ষিত রমণীগণ শাসন-সমিতির সভ্য হইবার জন্ত অগ্রসর হইতেছেন । ইইারা অনেকেই ডাক্তার, ব্যবহারজীবি বা অপর কোন শিক্ষিতক্ষেত্রে অধোপার্জনে নিযুক্ত। ই হাদের মধ্যে আবার নানাপ্রকার রাজনৈতিক দল আছে, কেহ উদারনৈতিক, কেহ সোসিয়ালিষ্ট, কেহ বা অপর কোন প্রচলিত দলভূক্ত। অপরাপর বিষয়ে ফরাসী রমণীর। পুরুর্যের সহিত প্রায় তুলাসনেই অধিষ্টিতা । এক্ষণে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রেও তাহার তুলা (ধিকার লাভের জন্য পুরুষজাতির সহিত সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। ইংলণ্ডের রমণীরা এই রাষ্ট্রীয় অধিকার পাইবার জন্য যেরূপ আয়োজন, চেষ্টা ও কষ্ট স্বীকার করিতেছেন তাহার কতকটা অভিtয আমরা লেডি লিটনের দৃষ্টান্ত হইতেই বুঝিতে পারি। লর্ডের কন্যা হইয়া, কুলশীলমলে উচ্চপদস্থ হইয়া, চিরসুখপালিতা লেডি লিটন যেরূপ অম্লানবদনে সুখসম্মান ও সংসারকে উপেক্ষা করিয়া কারাগৃহে সামান্তা দুষ্কৃত নারীর দ্যায় কালাতিপাত করিয়াছিলেন ত{হা পাঠ করিলে তাহার বীরত্বে, একাগ্রতায় ও আত্মত্যাগে मब्रनाङ्गो मरुलएकई भूझ इझेरठ इञ्च । ॐांशग्न ७ई কারণকাহিনী আমরা তাহার নিজের কথাতেই বর্ণনা করিলাম। বিলাতের প্রসিদ্ধ টাইমস্ পত্রিকায় তিনি এই পত্রটি প্রকাশিত করেন— “গতবর্ধে অক্টোবর মাসে বিলাতের স্বদেশসচিব পালামেন্টের সাধারণ সভা সমক্ষে বলেন যে —আড়াই দিন অনাহারের পরেও যে তাহারা আমাকে বলপূর্বক অ হার না করাইয়া কারাগার হইতে মুক্তি প্রদান করিয়াছিলেন, আমার হৃৎপিণ্ডের দুৰ্ব্বলতাই তাহুর কারণ। তিনি ইহাও বলেন যে, আমার পদের বা সীমাজিক মৰ্য্যাদার জন্ত যে আমাকে মুক্তিদান করা হইয়াছিল একথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কিন্তু আমার বিচার ও মুক্তি সংক্রান্ত ঘটনাবলী সমালোচনা করিয়া দেখিলে, অন্যান্য কারাবাসিনীর তুলনায় আমার প্রতি যে বিশেষ পক্ষপাত ব্যবহার হইয়ছিল তাহ স্পষ্টই বুঝা যায়। “আজ পর্য্যস্ত গবমেণ্ট নারীগণের রাষ্ট্রীয় অধিকার লাভের প্রস্তাবকে সমভাবেই উপেক্ষা করিয়া আসিতেছেন, এবং এই সম্প্রদায়ভুক্ত বন্দিনীগণের ও তি দুৰ্ব্ব্যবহার দিন দিমই বুদ্ধি পাইতেছে। এইরূপ কতকগুলি বন্দিনীর প্রতি অত্যাচারের কাহিনীতে উত্তেজিত হইয়। আমি গত ১৪ই জানুয়ারি শুক্রবারে লিভারপুলের কারাগারের সম্মুখে ইহার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিবার জন্য এক সভায় যোগদান করি । পুৰ্ব্ব অভিজ্ঞত হইতে এবারে আমি সাবধান হইয়াই উপস্থিত হইয়াছিলাম । আমি ছদ্মবেশে ঘাইয় আপনাকে জেন ওয়াট" নামে প্রকাশ করিয়াছিলাম । আমি শ্রোতৃবৃন্দকে গবর্ণরর বাটী পর্য্যন্ত আমাকে অনুসরণ করিতে উত্তেজিত করিয়া ছিলাম বলিয়। পরদিন আমার প্রতি চতুর্দশ দিবস সশ্রম কারাবাসের দণ্ডাজ্ঞা হইল । "কারাগারে যাইয়া অffম প্রায় দুই দিন ( ৮০ ঘণ্ট; ) কিছুই অহার কfরলাম না । অবশেষে আমাকে বলপূর্বক আহার করান হ’ল । এবারেআর আমার হৃৎপিণ্ড বা নাড়ী কেহই পরীক্ষা করিয়া দেখিল না। সেইদিন হইতে আর আমার মুক্তির দিন পৰ্য্যন্ত আমাকে এইভাবে বলপুৰ্ব্বক আহার করাইয়াছিল। সে যে কি কষ্ট তাহ ৰল! श!ग्न न| । अ|भि श्रृङलिन सोदिङ १|किरु उडमििन সে যন্ত্রণার কথা ভুলিতে পারিব না। প্রথম দিন আহারে অসম্মত হওয়ায় ডাক্তার আমার গালে চপেটাঘাত করিতেও কুষ্ঠিত হন নাই। প্রতিদিনই