পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা । র্তাহার এই নবাবিস্কৃত যন্ত্র সম্বন্ধে সেদিন এক বক্তৃত৷ করেন। তাছার বক্ততার সারাংশ আমরা নিম্নে সংগ্ৰহ করিয়া দিলাম। মনুষ্য কণ্ঠস্বরের বা অন্ত যাবতীয় শব্দের কম্পন টেলিফোনের তীরের উপর দিয়া প্রবাহিত হইবার কারণ এই যে, সেই তারের মধ্য দিয়া যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ চলিতে থাকে,উক্ত কম্পন সকল সেই বৈদ্যুতিক গতিকে বিক্ষিপ্ত করিয়া সেই বিক্ষেপের সাহায্যে যথাস্থানে আপনাদিগকে প্রকাশ করিতে সমর্থ হয় | টেলিফোনে যে ব্যক্তি শব্দ শ্রবণ করে, যথার্থপক্ষে সে সেই বৈদ্যুতিক প্রবাহের গতি বিক্ষেপ শ্রবণ করে মাত্র । বৰ্ত্তমান অবস্থায় কিন্তু তড়িৎপ্রবাহে বিক্ষেপ ঘটাইবার এবং সেইগুলিকে দূর পথে লইয়া যাইবার একটা সীমা নির্দিষ্ট আছে । সুতরাং স্বাভাবিকভাবে আমাদের কর্ণে যেমন অতি তীর ও অতি মৃদু শব্দ আসিয় আঘাত করে, টেলিফোনেও সেইরূপ এত মৃদু শব্দ আসিয়া উপস্থিত হয়, যে অনেক সময় তাহ অনুভব পৰ্য্যন্ত করা সম্ভব হয়না । ব্রাউন সাহেবের টেলিফোন এরূপভাবে নিৰ্ম্মিত যে ইহার সাহায্যে এই সকল মৃদু শব্দ পর্য্যস্ত স্পষ্ট হইয় প্রকাশিত হইবে । ব্রাউন সাহেবের কৌশলট আর কিছুই নহে । তিনি প্রবাহবtধী তারের একস্থানে এক অতি ক্ষুদ্র ছেদ রাখিয়াছেন মাত্র। এই ছেদের ফলে দুইটি সংযোগ সীমার মধ্যের দূরত্ব প্রবাহের দ্বার। আপনিই রক্ষিত * æTRA (As It" Asmiumiridium (fx* কঠিনতম ধাতুর দুইটি টিপ লাগান আছে। এইরূপ যন্ত্রের সাগষ্যে কিছু কালের মধ্যেই কলিকাতায় বসিয়া লাহোরে কোন বন্ধুর সহিত আলাপ কল্প সম্ভব হইবে বলিয়। আশা করা যায়। তদ্ভিন্ন টেলিফোনের তারগুলি এখনকার शांप्र अभिक cयाप्ले कहिवाब्र थांब्र थांदर्थंक श्प्य ना । চয়ন—বিবিধ । ९ 8* সামান্ত সরু তারেই সহস্র মাইল দূরে শব্দ প্রবাহিত হইবে । সুতরাং ব্যয়ও অনেক লাঘব হইবে সন্দেহ নাই । এই অবিস্ক্রিয়ায় আর একটি উপকার সাধিত হইবে । আজকাল তারবিহীন টেলিগ্রাফে যে সকল সংবাদ প্রেরণ করা হয়, সেগুলি অধিক দূরের হইলে আর কিছুই শুনিতে পাওয়া যায় না। এই যন্ত্রের দ্বারা সেগুলি খুব স্পষ্ট রূপেই শুনা যাইবে। আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্ত হইতে পূৰ্ব্ব প্রান্ত পৰ্য্যস্ত তারবিহীন টেলিগ্রাফে সংবাদ প্রেরণ করিলে এক্ষণে তাহ অনায়াসেই শুনিতে পাওয়া সম্ভব হইবে । টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ সম্বন্ধে ত এই গেল। কিন্তু ংিজ্ঞানের আরও এক দিকে এই যন্ত্র যুগান্তর উপস্থিত করিবে বলিয়া মনে হয় । ষ্টেথোমৃকোপ ("stethoscope ) যন্ত্রের নাম অনেকেই জানেন । ডাক্তারের। এই যন্ত্রের সাহায্যে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের শব্দ পরীক্ষা কবিয়া থাকেন। ব্রাউন সাহেব তাহার এই নবাবিস্কৃত উপায়ে এক অতি হুঙ্কুশক্তি সম্পন্ন বৈদ্যুতিক ষ্টেথোসকোপ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। অর্থাৎ যন্ত্রটি এখনকার স্তায় ভে পুর আকার না হইয়া, একটি স্বাক্ষ টেলিফোনূ ট্রাড়াইবে । ভবিষ্যতে চিকিৎসকগণ রোগীর হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুসের অতি সামান্ত শব্দও এতদ্বারা লক্ষ্য করিতে পরিবেন। আরও এক নূতন ব্যাপার হইবে। রোগীর বুকের উপর যন্ত্র বসাইয় তাহা টেলিফোনের সহিত সংযুক্ত করিয়া দিলে চিকিৎসক বহুযোজন দূয়ে বসিয়াই তাহ শুনিতে পাইবেন এবং আবখ্যক মত ব্যবস্থা করিতে পারিবেন। লগুনে বসিয়া ওয়াইট দ্বীপ হইতে এই প্রকারে হৃৎপিণ্ডের শব্দ শুনা গিয়াছে। বিজ্ঞান দিনে দিনে কি অসম্ভবকেই না সম্ভব করিয়া তুলিতেছে । শ্ৰীহুঃ