পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা। গৃহ আজ কি উল্লাস-সঙ্গীতে সহুল ভরিয়া উঠিল । চারিধারে আননা, কোলাহল, সজীবতা, তাহার মধ্যে নিরানন্দ উদাস, শুধু , আমি ! দ্বারের পাশ দিয় একটা প্রহরী চলিয়t গেল। তাকে ডাকিয়া জিজ্ঞাস করিলাম, *এত গোলমাল, কেন ? এত আহলাদ কিসের ?” প্রহরীট উত্তর দিল, “ওঃ, আজ যে কয়েদীগুলার পীয়ে বেড়ি দেওয়া হচ্ছে— কাল ওরা তুলোয় যাবে, তুমি দেখিবে न कि ?” नग्नाॉनौब्र भङ, ७ई 8द5िङ्गाशैन, श्र धमन्न, নিঃসঙ্গ জীবন, ত, আর বহা যtয় ন! ! আমি দেখিবার লোভ সম্বরণ করিতে পারিলাম না। প্রহরী অামাকে অতিরিক্ত সতর্কভাবে একটা ঘরে লইয়া চলিল। ঘরটায় বসিবার জন্য একখানি আসনও ছিল না, শুধু একটা প্রকাণ্ড জানাল ছিল ! মুক্ত জানালা ! তাহারি গরীদের মধ্য দিয়া, আজ, কতদিন পরে অনেকখানি আকাশ দেখিয়া বাচিলাম ! প্রহরীটা কহিল, “এখীন হইতে দেখিতে পাইবে! রাঙ্গার মত বসিয়া দেখ, কাহারে বেস সহিতে হুইবে না !” কথাটা শেষ করিয়া বিরাট শব্দে সে দ্বারে उांश शtश्रृंtश्छ। दाश्ब्रि इहेग्रां cशंण ! জানাল দিয়া বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণ-ভূমি দেখা যাইভেছিল ! প্রাঙ্গণের সীমা উচ্চ প্রাচীর দিয়া ঘেরা ! পায়রার থোপের মত জানালা-ভর প্রকাও দালান, তারি মাঝে মাঝে দেয়াল ! छांनांशां७ञ श्रम् ११; ममेणिcद्र छद्भिन्न গিয়াছে ! সকলেই কৌতুক দেখিতে छब्रन-तृनैौ । ૨8 ૧ দাড়াইয়া ! মুখে-চোখে একটা আগ্রহের চিহ্ন-কৌতুহলের বিরাট রেখা ! নরকের প্রেত গুলা, যেন, একটু ফাক পাইয়া, আজ বাহিরের মুক্ত বায়ু ও আলো দেখিয়া, আনন্দে মতোয়ার হইয়া উঠিয়াছে ! প্রাঙ্গণের দিকেই সকলে চাহিয়াছিল। আর কিছু দেখিবার কাহারে অবসর ছিল না । বারোটা বাজিল । কোণের ফটক খুলিয়া গেল । কত নুতন মূৰ্ত্তি আসিয়া রঙ্গস্থলে দেখা দিল । নিমেষে যেন সেই মুক, মেীন কারাগৃহ বিচিত্র কলরবে চঞ্চল হইয়া উঠিল। চারিদিকে একটা জীবনের স্পন্দন দেখা দিল । উচ্চ হাস্য ও চীৎকার, মুহূর্বেই স্থানটকে আনন্দপরিপূর্ণ ক্রীড়া-ভূমিতে পরিণত করিল। যেন, দৈত্যের দল, আজ, ছুটি পাইয়া, আনন্দে সাড়া দিয়া উঠিয়াছে । বন্দীদলের নতদৃষ্টি, প্রহরীগুলার বীরদীপ সমস্ত মিলিয়া একটা বৈচিত্রোর সৃষ্টি করিয়াছিল । বন্দীদিগের নাম-ডাক হইল ৷ কি তাদের অপরাধ, দণ্ডের পরিমাণই বা কি ? যাদের দণ্ডের পরিমাণ অধিক, তাদের নাম-ডাকের সহিত উচ্চ জয়ধ্বনি উঠিতে লাগিল । উৎসুক উদগ্রীব দর্শকের দল মনের আবেগ যেন ধরিয়া রাখিতে পারিতেছিল না ! বন্দীর দল, যেন, সৈন্তের মত, আজ যুদ্ধ জয় করিয়া ফিরিয়াছে, তাই এ বিরাট উল্লাসের উন্মাদ চীৎকার! জুই একজন দর্শক আনন্দে ডিগবাজী খাইয়া ফেলিল ! তার পর, বন্দীর দলে পরস্পরে আলাপ পরিচয় অাছে কি না, তাহারি সন্ধান হইতেছিল ! যদি থাকে, তবে তাহাদিগকে স্বতন্ত্র