পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8b. করিয়া দাও, একসঙ্গে রাখিও না ! দণ্ডের কঠিনতা ভtহাতে হ্রাস হইয়া যাইবে ! এবং তাছা হইলে, তাহারা দিব্য আমোদআহলাদে দিন কাটাইয়া দিবে ! চারিদিকের এই বিচিত্র কলরব আমার কাছে এক অথও রাগিণীর ঝঙ্কারের মত ভাসিয়া আদিতেছিল। যেন কোন মায়ালোকের বিচিত্র সঙ্গীতধ্বনি । কিন্তু অর্থহীন, লক্ষ্যহীন, উদ্দেগুহীন রাগিণী । মৃদ্ধ বায়ু আমার তপ্ত ললাটে আসিয়া লাগিতেছিল— রৌদ্রের মধ্য দিয়া স্নিগ্ধ আশার রশ্মি যেন ছড়াইয়া পড়িতেছিল। মনে হইতেছিল, ইহাই ত জীবন ! এই রৌদ্রকিরণ, মুক্ত বায়ু, উদার আকাশ,—এ সব হইতে দুরে থাকা—সে ত মৃত্যু ! রৌদ্রট যেন বায়ুর মতই সরিয়া গেল ! কে যেন তার উপর দিয়া একটা স্বক্ষা কালে পরদা টানিয়া দিল –বিহঙ্গ-পক্ষের মত, লঘু মেঘ, পৃথিবী ও রৌদ্রের মধ্যে ব্যবধানের স্বস্ট করিল। স্বপ্নের কুহক জালেরি মত, ঈষন্নিবিড় ছায়া আসিয়া আলোটুকুর সম্মুখে দীড়াইল । সহসা দুই এক পসল বৃষ্টি হইয়া গেল! প্রাঙ্গণ হইতে দর্শকের দল সরিয়া পড়িল । নাড়-হারা পার্থীর মত, অসহায়ভাবে বন্দীগুলা ভিজিতে লাগিল ! কু-একজন কঁপিয়া উঠিতেছিল । তবু নিস্তার নাই । কারণ, তার বন্দী, তাদের আবার আরাম-স্বস্তি কি ! বৃষ্টি থামিলে প্রহরীরা শৃঙ্খল টানিয়া আনিল ! পিছনে কামারের দল ! বন্দীগুলাকে বসাইয়া দেওয়া হইলে, শৃঙ্খল আঁটিয়া কামার তাহাতে মুগুরের ঘা দিল । কি পৈশাচিক निश्लेब्रङी ख्छन्नङौ । ולסל,ttRipסי কেহ ভূমে লুটাইল, কেহ কঁদিয়া উঠিল— প্রহরী-দলের গুতায় আদবকীয়দ তখনি রক্ষা পাইল ! নিশ্চল পাষাণের মত, আমি দাড়াইয়৷ দেখিতেছিলাম। তার পর, ডাক্তারের পরীক্ষা ! তখন মেঘ কাটিয়া গিয়াছে। আবার স্বৰ্য্যের আলো ফুটিয়াছে ! কালে পরদাখানি কে যেন দুইহাতে সরাইয়া লইয়াছে ! ভিতর হইতে বন্দীর দলে, কেহ শিষ দিল—কেহ-বা একছত্র গান গাহিয়া উঠিল ! তার পর সারি দিয়া সকলে বসিয়া গেল ! এবার ভোজনের পাল । অtহার আসিল, সঙ্গে বড় বড় বালতি—তাহীর মধ্যে সবুজ রঙের কি একটা জলীয় পদার্থ ! এগুলাতে স্বাদ নাই, গন্ধ নাই, যাহারা ভুক্তভোগী তাহারা জানে, কি এ ভয়ঙ্কর জিনিস ! তৰু তীর-বেচারা ক্ষুধিতের দল—তৃপ্তির সহিত, তাহারি সন্ধ্যবহারে ব্যস্ত ! অগ্রহের সহিত আমি সব দেখিতে ছিলাম, কোন জ্ঞান ছিল না ! কি একটা করুণায় আমার সমগ্ৰ চিত্ত ভরিয়া উঠয়ছিল । চোখে জল আসিয়াছিল। সহসা একটা উচ্চ চীৎকার ধ্বনি-গুনিলাম, “ওঠ, চল—” । বন্দীর দলে কোলাহল পড়িয়া গেল। সকলে দাড়াইয়া উঠিল । ধীরে ধীরে সকলে চলিতে আরম্ভ করিল ! আমারি জানালার পাশ দিয়া তাহার চলিতেছিল ! আমাকে দেখিয়া একবার দাড়াইল ! আমার বুকটা ছাৎ করিয়া উঠিল! আমি কি পশুশালার পঞ্চ যে, এমন করিয়া আমাকে দেখিতে দাড়াইবে ! একজন কহিল, “ফাসির লোক দেখ—