পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা । আপনি তার এমন ঘোরতব বিপক্ষ হয়ে উঠেচেন ?” আমি কিন্তু অপ্রতিভ হইলাম। বলিলাম “তা বলতে পারিনে—কিন্তু তার উপর আমার বড় রাগ হয়।” ঘণ্টাখানেক কথাবাৰ্ত্তার পর গৃহে ফিরিলাম। প্রায় মাসাবধি পরে একদিন সন্ধ্যাকালে fi: Haifra drawing room a afrii দার্জিলিঙ্গ হইতে সন্ত প্রত্যাগত মুখাজি পত্নীর সহিত গল্প করিতেছিলাম-- এবং নিকটে বসিয়া নিরুপমা এলবামে দাৰ্জিলিঙ্গ হইতে সংগৃহীত ফাৰ্বণ সাজাইতেছিলেন। মুখাঞ্জি পত্নী বলিলেন ~-"প্রকাশ প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত ভাবে তোমার পত্র পেতাম বলে দাৰ্জিলিঙ্গে অনেকট সুস্থচিত্তে কাটতে পেরেছিলাম। পরীক্ষার সুফল সেখানে জানতে পেরে মনে অতিশয় আনন্দ বোধ হয়েছিল। বিএল পরীক্ষায় তুমি যে সৰ্ব্বপ্রথম হবে —তাহ আমরা বরাবরি আশা করতাম। কর্তা ত সৰ্ব্বদাই তোমার মুখ্যাতি করতেন যে ক্লাসের মধ্যে তুমিই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ছাত্র।” একজন ভৃত্য আসিয়া টেবিলের উপর একটা কাগজ রাখিয়া গেল । দেখিলাম সন্ধ্যাকাশ। খুশিয়া দেখিলাম “তরু” স্বাক্ষরিত সমালোচক নামে একটা ব্যঙ্গ কবিতা প্রকাশিত। বলা বাহুল্য আমাকেই আক্রমণ করা হইয়াছে। কবিতার মৰ্ম্ম এইরূপ : —কোন এক চিত্রকর একটি সুন্দরী রমণীর চিত্র অঙ্কিত করিয়াছিলেন। চিত্রটি অতি সুন্দর হইয়াছিল। কিন্তু এক মূর্থ সমালোচক সেটিকে উণ্টা করিয়া ধরিয়া বলিয়াছিল “ইহাতে বর্ণের বাহুল্য তোমার সমালোচক |

ፃ>

আছে, তুলি করে চতুর্য আছে কিন্তু অত্যন্ত ভাবের বিপর্ষীয় ঘটয়াছে ; কারণ এই চিত্রটিতে সুন্দরীর পদদ্বয় উৰ্দ্ধদিকে এবং মস্তক নিম্নদিকে অঙ্কি ত হইয়াছে। তাঁহাতে চিত্রটি সৰ্ব্বতোভাবে অস্বাভাবিক হইয়াছে। কবিতা পাঠ করিয়া আমার আপাদমস্তক রাগে জলিয়া উঠিল। চাহিয়া দেখিলাম, গৃহিণী স্থানান্তরে চলিয়া গিয়াছেন—এবং নিরুপমা ফাৰ্বণ, সাজাইতে ব্যস্ত । রুক্ষস্বরে আমি বলিলাম, এসেছে।” নিরূপমা আমার দিকে চাহিয়া বলিলেন *এবার বোধ হয় তরুবালার তিরোভাব ।” আমি বলিলাম “ন--আতিশয় অভদ্র ভাবে আবির্ভাব। এই নিৰ্ম্ম পড়ুন।" অত্যন্ত ব্যস্ততার সহিত আমার হাত হইতে সন্ধ্যাকাশ লইয়া নিরুপম পড়িলেন । পড়িয়া বলিলেন—“অষ্ঠায়, ভারি অন্তায় ! প্রকাশ বাবু আপনি এর একটা প্রতিকার করুন । অত্যন্ত কড়া করে এর একটা উত্তর দিতে হবে। স্ত্রালোকের এতটা অভদ্রতা অত্যন্ত অগৌরবের কথা ।” আমি দেখিলাম নিরুপম সত্যই বিচলিত, বলিলাম—“না এ ব্যাপারটাকে আমি একেবারে লঘু করে দিতে চাই। এ জঘন্য কবিতার উত্তর দিলে নিজেকেই ছোট হতে হবে । কিন্তু আমার মনে হচ্চে যে তরুবাগ স্ত্রীলোক নয়—কোন পুরুষ স্ত্রীলোকের নাম দিয়ে এসকল লিথছে। স্ত্রীলোক এতটা নির্লজ্জ হতে পারে আমার মনে হয় না।” অন্যমনস্ক ভাবে নিরুপমা “সন্ধ্যাকাশ* বলিল "তা