পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*సెళ్లి চারিদিকের শোভা অপূৰ্ব্ব । কোথাও দুরপ্রগার বালুকা প্রান্তর, কোথাও নবহরিং ধান্য ভূমির মাধুরিম, কোথাও কুমুমিত বনকুঞ্জের রাঙিম, কোথাও মেঘচ্ছায়া সুপ্ত বনান্তের শুামলিম, উপরে আকাশের নবঘন নীলিমা এবং মধ্যে পরম শাস্তির নিভৃত তপোবন প্রতিম উদয় ও ললিত গিরির শাশ্বত শিল্প মহিমা ! এই পাহাড়ের উদয়গিরি নাম হইবার কারণ আছে। সমগ্র উড়িষ্যার মধ্যে এই স্থান হইতেই প্রাচী’র তোরণে ভাস্করের মুকুট ছটা সৰ্ব্ব প্রথম দেখিতে পাওয়া যায় । ইহার অপর নাম আলতিগিরি। অনেকে বলেন, এই পাহাড়ের তলদেশ দিয়া আগে সাগরের তরঙ্গ-ভীষণ ফেনায়িত বিশাল বারিরাশি বহিয়া যাইত। পাহাড়ের পূর্বদিকে এখনো সাগর-তট পৰ্য্যন্ত এক বৃহৎ বালুকাভূমি দেখা যায়। উদয়গিরির প্রধান মন্দিরটা বুদ্ধদেবের । ইহা তিনভাগে বিভক্ত। প্রথমভাগে বুদ্ধের একটা বৃহৎ প্রস্তরমূৰ্ত্তি আছে। মুক্তিটা এখন আ-বক্ষ-প্রোথিত। ইহা মুল হইতে উচ্চতায় দশ ফুট । ইহার সম্মুখে, একটা চাদনী ছিল, তাহার ধ্বংসাবশেষ এখনো দেখা যায়। ১৮৭০খৃঃ অব্দ পর্য্যস্ত ইহা বৰ্ত্তমান ছিল। কতকগুলি সমভুজ (rectangular) স্তম্ভ ইহার ভার-বহন করিত। মন্দিরের শেষভাগে একটী ইষ্টক প্রাচীর এবং পূর্বমুখী একট দ্বারপথ ছিল । এখন একটী বঁধ, তাহাদের শেষচিহ্ল স্বরূপ বৰ্ত্তমান আছে । মন্দিরের উত্তরদিকে বোধিসত্বের দুটা প্রকাণ্ড মূৰ্ত্তি আছে। মূৰ্ত্তি য়ের কার্য্য ভারতী | শ্রাবণ, ১৩১৭ নিপুণভাবে সম্পাদিত। আশেপাশে আরো কতকগুলি ক্ষুদ্রতর মূৰ্ত্তি। তাহার ভিতরে, একটীর উচ্চতা চারিহাত। কিছু উত্তরে, কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে আবিষ্কৃত আরো দুটা মূৰ্ত্তি। তন্মধ্যে একটী পুরাতন ইষ্টকরাশির ভিতর হইতে তোলা হইয়াছিল, এবং অপরটা জঙ্গল পরিষ্কার করিবার সময়ে দৃষ্টিপথে পড়িয়া যায়। উভয়মূৰ্ত্তিই বোধিসত্বের এবং উভয়েরই উচ্চতা এক,—ছয় ফুট । পশ্চিমদিকে, শৈলাঙ্গে একটা বৃহৎ বাপী । সেটি চতুর্দিকে ২৩ ফুট এবং গভীরতায় ২৮ ফুট । খণ্ডগিরির ‘আকাশগঙ্গা’ এত বড় ন হইলেও—তাহার গভীরতা ইহার অপেক্ষ অধিক । ইহার চারিপাশে একটা পাথরের চাতাল। ৯৪২ ফুট লম্বা ও ৩৯ ফুট চওড়া। চাতালে যাইবার পথে ছুটি ভগ্ন স্তম্ভ আছে। ইহার কিছু দূরে একটা সোপান,—তাহার ৩-টা ধাপ । ধাপগুলি পূৰ্ব্বোক্ত কুণ্ডের জলের দিকে নামিয়া গিয়াছে । সকলের নীচের ধাপ ও প্রাচীরের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে, শৈলাঙ্গ খিলানের আকারে কন্তিত হইয়াছে। তাহার উপরে লিখিত আছে, “স্বস্তি বালক শ্রীব্রজনীগন্ত বাপী ।”. ইহা দ্বারা জানা যায় শ্ৰীব্ৰজনাগ নাম কোন ব্যক্তির দ্বারা এই কুণ্ড খনিত হইয়াছিল । প্রবেশপথে দ্বিহুস্ত পদ্মপাণি বোধিসত্বের একট প্রস্তরমূৰ্ত্তি আছে। মূৰ্ত্তিটা দণ্ডায়মান। উচ্চে আট ফুট। মিঃ জে বিম্স্ সি এস, এসিয়াটক সোসাইটীর মাসিকপত্রে ইহাকে আট ফুটই বলিয়াছেন ; কিন্তু শ্ৰীযুত চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায় বলিয়াছিলেন—