পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&a* একটা করিয়া পদ্ম। উক্ত অষ্টমূৰ্ত্তির মধ্যে একটা স্ত্রীমূৰ্ত্তি। শিখরের সৰ্ব্বোচ্চ স্থানে চাতাল-করা থানিকটা যায়গা। দেখিলে, মনে হয়, এখানে আগে কোন মন্দির অথবা প্রহরিগণের গৃদ্ধ ছিল । এই যায়গাটির পশ্চাতে একটী অমুক্ত-অলকা রমণীমুৰ্ত্তি । শিল্পীর বাটালির মুখে, তাহার ভাবভঙ্গি বড় চমৎকাররূপে খোদিত হইয়াছে। পাহাড়ের পূর্বদিকে একটা দুর্গের ভগ্নাবশেষ নজরে পড়ে। তাহার নাম ছিল, অমরাবতী। দুর্গের প্রাচীর চতুষ্কোণবিশিষ্ট। পুৰ্ব্বদিকে, একটমাত্র প্রস্তরের প্রবেশ-পথ। একদিকে, একটী ভগ্নস্তম্ভবিশিষ্ট উচ্চস্থান (platform) রহিয়াছে। তাহ, শুনা যায়, আগে রাজার অন্তঃপুর ছিল। ন জানি, কোন অনিৰ্দ্ধারিত মধুর অতীতযুগে, এইস্থানে ভ্রভঙ্গিবিলাসের কত লীলাচঞ্চল অভিনয় হইয়া গিয়াছে ! সে যুগ নাই,— এবং সেই কটাক্ষচকিতনেত্রা, রত্নালঙ্কাররম্যা তম্বঙ্গিগণও আর নাই। আছে কি ? স্মৃতি । তাহাও আর কতদিন । আর একটী ক্ষুদ্রতম মঞ্চের উপরে একটা মন্দির ছিল । সম্প্রতি তাহ যাদুকর কালের কুহকদগুস্পর্শে অদৃপ্ত। এখানে, দেবরাজ ইন্দ্র এবং সুররাজপত্নী ইন্দ্রাণীর প্রতিমূৰ্ত্তিদ্বয় এখনো দেখিতে পাওয়া যায়। দুটা মূৰ্ত্তিই ভঙ্গিবঙ্কিম এবং চারু-শিল্প-কম। কেশরীরাজবংশের পাচটা প্রধান কটক ছিল । তন্মধ্যে আমাদের আলোচ্য অমরাবতীও একট। পশ্চিমদিকে একটা গুহ । আকৃতিতে ছোট। বারানা আছে। এই গুহাঁ জৈনগণের হস্তে খোদিত। ভারতী । শ্রাবণ, ১৩১৭ (List of Ancient Monuments of Bengal.) বাস্তবিক, ললিতগিরি দ্রষ্টব্য স্থান। —কিন্তু সকলের জন্ত নয় । যাহারা সুদূর অতীতের স্মৃতি ভালবাসেন এবং সেই বিষয় লইয়া চিন্তা করিয়া সুখী হন, র্তাহারা ললিতগিরিতে আমুন,--তৃপ্ত হইবেন । এই ভগ্নাবশেষ,—এখানে কোন পরাক্রান্ত রাজার অাবাস ছিল, এবং সেই রাজা বড় দরিদ্র ও ছিলেন না,—এই জনবিরল পৰ্ব্বতের উপরে তাহার দুর্গ ছিল,—প্রাসাদ ছিল, অন্তঃপুর ছিল, হস্তিশালী, অশ্বশীল ছিল, প্রহরীর জন্ত নিৰ্দ্ধারিত স্থান ছিল, আরাধনার জন্ত মন্দির ছিল এবং কৰ্ম্মচারী থাকিবীর জন্ত গৃহ ছিল, এস্থানে তিনি যেন একটী ছোট থাটো সহর গড়িয়া তুলিয়াছিলেন। পরস্তু, বলিতে কি—ইহাও সুনিশ্চয় যে আমাদের এই রাজাট কঠিন রাজকৰ্ম্মজীবী হইলেও কবির মতন পেলব প্রাণবিশিষ্ট ছিলেন । এমন মুক্ত আলো, এমন অনাহুত প্রশান্ত অম্বর, এবং এমন তট-তাল-তমাল-তল-মুপ্ত ভানুএস্তোতরমা তটিনী! এই স্থবিজন স্তব্ধতা ও এই অমল-মলয়-পরিমল বায়ু কবি না হইলে উপভোগ করিতে জানেন না । অকবির প্রাণ এখানে এক মূহূর্তের জন্ত তিষ্ঠিতে পারে না। যে দেশের রাজার প্রাণ এমন কোমল, সে দেশের শিল্প, সৰ্ব্বলোকের বিস্ময়ের কারণ না, হইবে কেন ? যে শিল্প কীর্তিগুলির কথা বলিলাম, তন্মধ্যে প্রথমটা অর্থাৎ ধোলির পৰ্ব্বত ভিন্ন সকলগুলিই প্রাচীন হিন্দুরাজত্ব কালে, নিৰ্ম্মিত । " কোনগুলিই এক সময়ে নিৰ্ম্মিত হয় নাই। এবং নিৰ্ম্মাণকাল সম্বন্ধে