পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\}о е ři ټل : ': ר לסיצ ,"sts জাপানের সভাসমিতি । জাপানে সভাসমিতির অন্ত নাই। স্কুল কলেজের ছেলেদের, মেয়েদের ভদ্র অভদ্র সকল লোকের কত সমিতি রহিয়াছে ইয়ত্ত করা যায় না। কৃষক, ধোপা, নাপিত, দুধওয়াল, তরকারিওয়ালা, দরজি, কামার, চামার প্রভৃতি বিভিন্ন ব্যবসায়ীরই বা কত সমিতি ! কলেজে আমাদের এক শ্রেণীতেই কতগুলি সমিতি বসিত শুনিলে এখানকার লোকে আশ্চৰ্য্য হইবেন। আমাদের বি, এ ক্লাশে যেমন কেন্তু এ কোর্স, কেহ বি, কোর্স, কেহ বিশেষ বিষয়ে অনার কোস লইয়া থাকে, তেমনি তথাকার একশ্রেণীরই ছাত্র কেহ কেহ রসায়ন বিস্কা কেহ কেহ উদ্ভিদবিদ্যা, কেহ বা ধনবিদ্যা, কেহ বা কৃষিবিদ্যা কেহ কেহ ভূতত্ত্ব, কেহ পশুচিকিৎসা, কেহ রেশম কৃষি, প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা করিয়া থাকে । ঐ ঐ বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্রদের ভিন্ন ভিন্ন সমিতি, তারপর এক কলেজে এবং এক-শ্রেণীতে ভিন্ন - জেলার যে সকল ছাত্র আছে তাহাদের পৃথক পৃথক জেলা সমিতি। অধ্যাপকগণ আপন আপন জেলা এবং আপন অপেন বিষয়ের সমিতিতে যোগদান করিয়া ছাত্রদিগকে উৎসাহিত করিয়া থাকেন। আমাদের দেশের অনেক সভাতেই অমুরোধ করিয়া বক্তাকে উঠাইতে হয় । জাপানের সভাসমিতিতে দেখিয়াছি এক বক্তা বক্তৃতা শেষ করিতে না করিতেই অপর বক্তা উঠিয়া দাড়ান। প্রত্যেকেই বলিবার জন্ত যেন উদগ্রীব, কোন দিনই সময়ে সস্কুলান হইয় উঠে না । কিন্তু স্কুল কলেজের সভাসমিতির স্তায় সাধারণ ভদ্র লোকের সভাসমিতিতে বক্তৃতার ছড়াছড়ি অতি বিরল। পরস্পর মেলামেশা, আলাপ প্রসঙ্গ, গীতবাদ্য খাওয়াদাওয়াই অধিকাংশ সভার প্রধান কাজ। অনেকটা আমাদের দেশের নিমন্ত্রণ সম্মিলনের মত। সভাসমিতি হইলেই বুঝিতে श्रदcय उथाब्र ८डांप्छब्र बळकांबख इहेबारह এবং তজ্জন্ত চাদ দিতেই হইবে । পুরুষদের দ্যায় স্ত্রীলোকদের ও অসংখ্য সভাসমিতি । আবার স্ত্রীপুরুষে পরিচালিত সভাসমিতিরও অভাব নাই, জাপানের বিখ্যাত রেডক্রশ সোসাইট স্ত্রীপুরুষ পরিচালিত । গত যুদ্ধে এই সোসাইটর কার্য্যাবলী জগৎকে স্তম্ভিত করিয়াছে। অনেক রাজকুমারী এই সোসাইটির মেম্বর। প্রধান সেনাপতি মার্শাল ওইয়ামার পত্নী প্রিন্সেস ওইয়াম (তৎকালে মার্সিওনেস্ ওইয়াম। ) তাহার যুদ্ধ বিবরণীতে লিখিয়াছেন “যে সকল রাজকন্ত রুমালের চেয়ে ভারী জিনিষ কখনও বহন করেন নাই, র্যtছারা ২৩ জন পরিচারিকা ব্যতিরেকে কখনও ঘরের বাহির হন নাই, র্যাহার দুধ সর, নবনী ভোজনেও অনিচ্ছাপ্রকাশ করিতেন, আজ সেই সকল রাজকন্ত। একাকিনী ব্যাগ হস্তে অনশনে, অনিদ্রীয় বিজন অরণ্যে বা পাৰ্ব্বত্য দেশে ঘুরিয়া ঘুরিয়া আহত সৈন্তদের সেবাশুশ্রুষায় নিয়োজিতা ।” ১৮৭৭ খৃঃ অব্দে জাপানের রেডক্রশ সোসাইটীর প্রথম স্বত্রপাত হয় । এই সময়কার গৃহ বিবাদে অনেক লোক হত এবং আহত হওয়াতেই তখন একটা সমিতির আবগুক উপলব্ধি হয়। ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে জাপানের এই সমিতি জেনেভা কনফারেন্সে যোগ দেয় এবং এই সময় হইতে রেডক্রশ