পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা । সোসাইটি নাম ধারণ করে । উক্ত সোসাইটি কারলশ্রীর চতুর্থ অন্তর্জাতিক সভায় প্রতিনিধি প্রেরণ করে। ১৮৯৪-৯৫ চীন জাপান যুদ্ধে এবং ১৯০০ খৃষ্টাব্দের বক্সার যুদ্ধে জাপানের রেড ক্রশ সোসাইটীর নাম ও সুষণ জগৎবিখ্যাত হইয় উঠে । জাপানের রেড ক্রশ সোসাইটর একটা প্রধান আফিল এবং ৪৮ট শাখা অফিস আছে, প্রধান অফিসের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে নর্শ ( পরিচারিক ) দিগকে তিন বৎসর এবং শাখা হাসপাতাল সমুহে নাশদিগকে দুই বৎসর পুস্তকগত এবং কাৰ্য্যকারী বিদ্যায় শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে । ১৯০৪ খৃষ্টাব্দে ৪৩৫৫ জন লোক এই সোসাইটর হাসপাতালে কাৰ্য্য করিতেছিল। উপরিউক্ত সংখ্যার ৬ জন ম্যানেজার, ৩৮• জন ডাক্তার ১৮০ জন কম্পাউণ্ডার, ১৫৪ জন কেরাণী, ২৩৮ জন প্রধান নাশ, ২৪৯০ জন সাধারণ নাশ, ১০১৮ জন চাকর, পাচক, পরিচারক ইত্যাদি এবং ১৪৩ শিবিক বাহক ছিল। রুস-জাপান যুদ্ধের সময় উহার সংখ্যা অনেক বাড়িয়াছিল, এবং পূৰ্ব্বে দুই খান জাহাজে সোসাইটীর কাজ চলিত ; ১৯০৭ খৃষ্টাব্দে চারি খান জাহাজ সোসাইটীর কায করিত। যুদ্ধের সময় সোসাইটার কাৰ্য্যে ৭৫৩৮২৮১২ টাকা খরচ হয়, কিন্তু ১৯০৭ খ্ৰীষ্টাব্দের হিসাবে দেখা যায় ইহা সত্ত্বেও তহবিলে ৯,৮৪৩,৭৫•N টাকা মজুত। গত যুদ্ধে সোসাইটীর তিন জন ডাক্তার, ৩ জন কমপাউণ্ডার, ২ জন কেরাণী, ২৫ জন নাশ, ৩৫ জন সহকারী নাশ এবং ১০ জন শিবিক বাহকের মৃত্যু হইয়াছে। এবং সোসাইট জাপানের সভাসমিতি। రివీ ১•১৫২২৯ জন জাপানী এবং ২৮৩৭৯ জন রুসিয়ান আহত ব্যক্তির সেবা শুশ্ৰষ করিয়াছে। সোসাইটর জাহাজ ঐ যুদ্ধে ৬১৪ বার আহত ব্যক্তির জন্ত নানা স্থানে চালিত হইয়াছিল । ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে সোসাইটীর মেম্বর সংখ্যা ১১০৩৭২১ জন ছিল ; দুই বৎসর পর ১৯ • ৭ খৃষ্টাব্দে ঐ সংখ্যা ১৩৩০ ০০০ জনে পরিণত হইয়াছে। সমিতির মহন্ধুদ্দেন্তে যাহার যেমন সাধ্য সাহায্য করিতেছেন । ১৯০৬ খষ্টাবে মোট ৪৬৩৯৬০৭৭, টাকা চাদ উঠিয়াছে কিন্তু ঐ বৎসর খরচের বরাদ্দ মোট ২৮৮৯৫৭২২ টাকা মাত্র ছিল । আমাদের রামও নাই রহিমও নাই। প্রায় সকল সদনুষ্ঠানই কিছুদিন পরে অর্থ এবং উৎসাহী লোকের অভাবে মৃত বা মুমুযু হইয়া পড়ে। কয়েক মাস পূর্বে যখন আমাদের মহিলাগণ নিপীড়িত, বিপন্ন এবং দুর্দশাগ্ৰস্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতবাণীর সাহায্য কল্পে কলিকাতা লাহোর প্রভৃতি স্থানে সমিতি স্থাপন করেন তখন আমার জাপান-মহিলা সমিতির কথা মনে পড়িল । সকল কার্য্যেই দশ জনের সমবায় চেষ্টা এবং সহানুভূতির দরকার। দুই একজনে হাবুডুবু খাইলে কি হইবে ? এত অসুবিধার মধ্যেও আমাদের কারাগারে আবদ্ধ মেয়েরা যাহা কিছু করিতেছেন তাহাই তাহদের পক্ষে বাহাদুরী বলিতে হইবে। সাৰ্ব্বজনীন হিতকর কার্য্যে জাপানী মেয়ের কত পন্থাই অবলম্বন করিতেছেন । তাহাদের কনসার্ট পাটি, থিয়েটার এবং প্রদর্শনীর যেন অবধি নাই। কার্য্যনিৰ্ব্বাহক