পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা । অর্থাৎ তিন সহস্ৰাধিক টাকা সাহায্য করিয়া থাকেন। তিন বৎসর পূৰ্ব্বে সমিতির মজুত তহবিল ছিল ৭১৪৯৬২॥০ টাকা, উহা এখন দ্বিগুণ হইয়া উঠিয়াছে। সমিতির প্রত্যেক মহিলা বার্ষিক ৩y০ তিন টাকা জুই আন হারে চাদ দিয়া থাকেন। ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে বহির্দেশ হইতে এই সমিতি ৭৮১২৫ টাকা অর্থ সাহায্য পাইয়াছে। জনৈক চীন অধিবাসী ১৫৬২৫ টাকা পাঠাইয়াছিলেন। বৃদ্ধ ওকুমুরার মিতব্যয়িতা সম্বন্ধীয় বক্তৃতায় অনেক মহিলা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইয়া কবরী- ভূষণ ও রুমালের ব্যয় সংক্ষেপ করেন । এইভাবে সংগৃহীত অর্থ দ্বারাই সমিতির ভাণ্ডার চয়ন—ঘবদ্বীপে। vరిe లీ স্থাপিত হয়। যুদ্ধে নিহত স্বামীপুত্র শোকাতুর কত শত অসহায় আজ এই সমিতির সাহায্যে প্রতিপালিত। একবার সমিতির বার্ষিক উৎসব দেখিয়াছি । এক ময়দানে লক্ষাধিক মহিলার সমাগম হইয়াছিল । তখন বৃদ্ধ মহিলার কি অপার আনন্দ ! - আজকাল সম্রাট পরিবারের প্রিন্সেস খান্নিন ঐ সমিতির পেট্রন, প্রিন্সেস ইওয়াকুর প্রেসিডেণ্ট এবং ইচিজো, তোকুগাওয়া, কোণেরে,শিমাজু, দাওয়াগার, গ্রিন্সেস মোরি, ওইয়াম প্রভৃতি প্রিন্সে গণ ম্যানেজার অর্থাৎ পরিচালিকা এবং বৃদ্ধ মহিলা ওকুমুর হ্যাডভাইসার-- পরামর্শদাতা । ঐযদুনাথ সরকার। চনল । যবদ্বীপে । বুধবার—৪ ডিসেম্বর একটা “কাহার” আমার জন্য অপেক্ষা বৎসরের এই সময়ে, ভ্রমণে বাহির হইতে হইলে, খুব সকালে ছাড়িতে হয় । কেননা, এখন বর্ষাকাল । প্রাতঃকালে আকাশ বেশ পরিষ্কার থাকে, কিন্তু প্রায়ই দশটার সময়, মেঘগুল সমুদ্র হইতে উঠিয়া জমিতে থাকে এবং সমস্ত আকাশকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলে। মধ্যাহ্ন সময়ে ঝড় উঠে ; প্রায়ই অপরাহ্লে, প্রবল বেগে জল বর্ষণ হয় ; ঠিক্‌ মনে হয় রাস্তার উপর দিয়া নদী বহিয়া যাইতেছে। আমার ভূ ত্যকে ৪॥০ টার সময় আমাকে জাগাইয়া দিতে হুকুম দিয়াছিলাম। পাছে হুকুমের ব্যত্যয় হয়, সে আমাকে এক ঘণ্টা আগে জাগাইয়া দিয়াছে। উদ্যানের দ্বারদেশে করিতেছে ; এই “কাহার” একটা ছোট গাড়ী, —তিনটা ঘোড়ায় টানে ; গাড়ীর উপর সমান্তরালে দুইটি কাষ্ঠাসন ; একটি গাড়োয়t. নের জন্ত, আর একটি আরোহীর জন্ত । আমরা ৪॥৫টার সময় ছাড়িলাম। অন্ধকার রাত্রি। দিনমানে খুব গরম ছিল, এখন আবার প্রায় শীতকালের মত ঠাণ্ড । আমার সাদা পরিচ্ছদের উপর একটা বড় -শাল জড়াইয়া লইলাম । দিনের আরম্ভেই, আমার গাড়ী একট সরু পথ ধরিয়া খুব দ্রুত চলিতে লাগিল । পথের দুই ধারে, সরু সরু উচ্চ পাছ; কোথাও কোথাও হরিৎ তৃণপুঞ্জ। লণ্ডনের “দ্যাশানাল