পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 الاليا চৰ্ম্মকারের বাটীতে প্রবেশ করিলেন ; চৰ্ম্মকার ব্রাহ্মণকে দেখিয়া আহলাদিত হইল ; ভক্তিভরে প্রণত হইয়া তাহাকে বসিবার আসন দিল । ব্রাহ্মণ বলিলেন “বাপু, আমি তোমার ঘরে কোন জিনিস স্পর্শ করিব না ; আমি কেবল ७क मांथ सछिदांब #ाहे कांहे-दङ्ग दू४ि কাটিয়া গেলে স্বস্থানে চলিয়া যাইব ।” চৰ্ম্মকার কহিল “ঠাকুর সে কি হয় ? আমার বাটতে যখন পায়ের ধূলা পড়িয়াছে তখন পাক করিয়া খাইয়া না গেলে আমি ছাড়িব না ।” ব্রাহ্মণ ভাবিলেন—সৰ্ব্বনাশ ! আমি অস্পৃষ্ঠ বস্তু স্পর্শের পাপ ক্ষালন করিবার জন্ত গঙ্গাস্নানে যাইতেছি ; পথিমধ্যে এ কি বিপদ ! চামারের অন্ন গ্রহণ করিতে হইবে ! আমার চোঁদ পুরুষে এমন কাজ কখনো করে নাই ! প্রকাশু্যে কহিলেন “ন হে বাপু , আমি একাহারী রাত্রে কিছুই খাই না।” চৰ্ম্মকার কহিল “ঠাকুর । অপরাধ লইবেন না— আমার গৃহে অতিথি উপবাসী থাকিবে, এ পাপ আমি গ্রহণ করিতে পারিবনা--আপনি অন্তত্র আশ্রয় লউন।” তখন মুষলধারে বৃষ্টি পড়িতেছে ; ঘন ঘন বজ্রপাত হইতেছে। ঘরের বাহির হয় কাহার সাধ্য ! চৰ্ম্মকণর কহিল, "যা হয় একটা কর—হয় থাও দাও ঘুমোও, নয় অন্ত জায়গা খোজ *ांकूब्र ! मैंड़ि८ग्र उांदप्श कि श्tत् ।” ব্রাহ্মণ বলিলেন “আচ্ছ, বাপু , তোর কথাই থাকৃল ; তোর খুব পুণ্যবল ! আমি রাধ বাড়া করিয়াই খাব ; তবে নুতন পাত্র চাই।” চৰ্ম্মকার সেই দিবসই হাট হইতে নুতন রন্ধনপাত্র আনিয়া রাখিয়াছিল ; গৃহে চাল ডাল তৈল লবণ ইত্যাদি ছিল। চৰ্ম্মকার ব্রাহ্মণকে छाम्नउँौ । শ্রাবণ, ১৩১৭ একটি পরিষ্কার ঘর দেখাইয়া দিল। ব্রাহ্মণের আজ্ঞায় চৰ্ম্মকার-পত্নী তাহাতে পুনরায় গোময় লেপন করিয়া তাহ শুদ্ধ করিয়া দিল । ব্রাহ্মণ ভাবিলেন, স্বহস্তে সমস্ত দ্রব্যের আয়োজন করিয়া লইব তাহাতে বিশেষ দোষ ঘটবে না। যথাসময়ে ব্রাহ্মণ নিকটস্থ পুষ্করিণী হইতে জল আনিয়া নু স্তন পাত্রে সিদ্ধ-পক্ক চড়াইয়া দিলেন। যথাসময়ে পাক সমাধা হইল। ব্রাহ্মণ এক কদলিপত্রে অন্ন রাখিয়া দেখিলেন যে জল ফুরাইয়া গিয়াছে। স্বতরাং তাহাকে পুনরায় জল আনিতে যাইতে হইবে। চৰ্ম্মকার কহিল, আমি সঙ্গে সঙ্গে আলো লইয়া যাইতেছি ; অন্ধকারে অপরিচিত পথে যাইবেন না। ব্রাহ্মণ বলিলেন “চলত বাপু ” চৰ্ম্মকার আপনার পত্নীকে ডাকিয়া ব্রাহ্মণের ভাতের পাহারায় রাখিয়া দিয়া প্রদীপ লষ্টয়া ব্রাহ্মণের সঙ্গে সঙ্গে পুষ্করিণীর ঘাটে গেল। যথাসময়ে উভয়ে ফিরিয়া আসিলেন । ব্রাহ্মণ ভোজন সমাধা করিয়া আপনার উত্তরীয়টি বিছাইয়া শয়ন করিলেন । কিছুক্ষণ পরে তিনি গুলিতেছেন যে চৰ্ম্মকার তাহার পত্নীকে ভয়ানক প্রহার করিতেছে সে যন্ত্রণায় ঘোর চীৎকার করিতেছে। ব্রাহ্মণ তাড়াতাড়ি দৌড়িয়া গিয়া চৰ্ম্মকারকে কহিলেন “হা, হুঁ, কর কি কর কি ; স্ত্রীহত্য করবে না কি ?” চৰ্ম্মকার কহিল “ঠাকুর মশায়, এ রকম স্ত্রীর মরণই ভাল ; ওর মুখ দেখিতে নাই।” ব্রাহ্মণ ব্যগ্ৰ ভাবে কহিলেন—“কেন ? কেন ? কি হয়েচে, ?” চৰ্ম্মকার তখন ক্রোধে ফুলিতেছে। সে কহিল "দেখুন এত মশায়! চামারণির কাজ দেখেচেন, আমি সারাদিন খেটে খুটে রাত্রে