পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা । নিয়েচে, যে পেটই ভ'রল না।” ব্রাহ্মণ চৰ্ম্মকারপত্নীকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন “কেন গো বাছা, চারটি চাল বেশি নিলেই ত হ’ত ; ভাত যদি বেশি থাকতে ভিজিয়ে রেখে খেতে !” চৰ্ম্মকারপত্নী তখন প্রহারের যন্ত্রণায় অস্থির। ব্রাহ্মণর প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর ন দিতে পরিলে পাছে অtরে প্রহর থাইতে হয় এই ভয়ে সে আসল কথা বলিয়া ফেলিল । সে বলিল “ঠাকুর মহাশয়, চাল ঠিকই নিয়েছিলাম ; আপনার ভাতের কাছে যখন পাহারা দিচ্ছিলাম তখন ছেলেটা কেঁদে উঠল ; ভাবলাম টপ ক’রে ছেলেটাকে বিছানা থেকে তুলে এনে কোলে করে আপনার ভাতের কাছে বসি । ছেলে আনতে গেছি, এর মধ্যে ঐ যে পোড়ারমুখো কুকুরটা দাওয়ায় শুয়ে আছে, আপনার ভাতের অদ্ধেক থেয়ে ফেল্লে । আমি ভাবলাম যে, যদি চামার জানতে পারে তবে, আমার ঘাড়ে মাথ৷ রাখবে না । আমি তাড়াতাড়ি আমার হাড়ি থেকে ভাত বার করে এনে আপনার ভাতে মিশিয়ে দিলাম। ভাবলুম আমার ভাগটাই গেল, আমি না হয় রাত্রে উপোস করে থা কব । এখন দেখচি চামারের ও ভাত কম হয়ে গেছে । ঠাকুর মহাশয় এক দিন এক মুঠো কম খেলে কি আর চলেনা।” ব্ৰাহ্মণ অবাক ; অস্পৃশুম্পৰ্শজনিত পাপ মোচনের জন্ত গঙ্গীমানে যাইতেছেন ; পথিমধ্যে আরো গুরুতর পাপ সঞ্চয় করিলেন । শুধু যে কুকুরভুজ্ঞাবশিষ্ট অল্প আহার করিলেন তাহা নহে ; চৰ্ম্মকার-রমণী-পঙ্ক অল্প ও উদরস্থ করিলেন । ইtয়, হায়, এ পাপ মোচন করিতে গঙ্গামানে গেলে তো চলিবে নী--কাশী যাইতে হইবে । क्लग्नन-कीि यदि कि भक्ल शांव । ○> @ পর দিবস প্রত্যুষে চৰ্ম্মকার-গৃহ পরিত্যাগ করিয়া ব্রাহ্মণ বারাণসী অভিমুখে চলিলেন। পথে এক ব্রাহ্মণ-কন্যার গৃহে অতিথি হইতে হইল। ব্রাহ্মণ-কন্ত নানা অল্পব্যঞ্জন পাক করিয়া অতি পরিতোষের সহিত র্তাহীকে খাওয়াইল । আহারান্তে ব্রাহ্মণ তামাকু সেবন করিতেছেন, এমন সময় ব্রাহ্মণ-কন্যা অবগুণ্ঠন টানিয়া তাহার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । ব্রাহ্মণ কহিলেন “কি মা ?” ব্ৰাহ্মণকন্ত কহিল “বাবা, আপনার কাছ থেকে একটা ব্যবস্থা নিতে এসেচি।” ব্রাহ্মণ কহিলেন—“কি মা ?” “বাবা, আমার ঐ যে ছেলেটি, ওটির বাপ ছিল একজন মুসলমান। আমি ব্রাহ্মণের মেয়ে ; আমাকে সেই মুসলমানটা ভুলিয়ে নিয়ে এসেছিল। ঐ ছেলেট যখন আমার গর্ভে তখন সেই মুসলমানটার মৃত্যু হয়। সেই অবধি আমি ব্রাহ্মণের মতই আছি। এখন ভাবচি ছেলেটা তো তীর, তবে ওর পৈতে দিব কি ওকে মুসলমান করবে।” ব্রাহ্মণ মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন ; মুখ দিয়া কথা সরিল না। ব্রাহ্মণ-কন্ত। ভাবিল যে,—সে কঠিন প্রশ্ন করিয়াছে কিনা, তাই ব্রাহ্মণকে ভাবিতে হইতেছে। অনেকক্ষণ ব্রাহ্মণকে নীরব দেখিয়া ব্রাহ্মণ-কন্ত। আবার কহিল “বলুন না, কি ক’রব ।” তখন ব্রাহ্মণ রাগিয়া কহিলেন “তুই যা জানিস তা করগে। আমি ভাবচি, আমি কি ক’রব ? আমি এখন কাশী যাব कि भक्र शांद ?” ব্যবস্থা, শ্ৰীশশিভূষণ বিশ্বাস।