পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা। হাঙ্গরের কবল হইতে রক্ষা পাইবার একটি মাত্র উপায় আছে। যদ্যপি কোন প্রবল পরাক্রান্ত নরমাংসভোজী হাঙ্গর ঘটনাক্রমে অভিনয় স্থলে সমুপস্থিত হয় তখন ডুবুরীকে মৃতের ন্তায় স্থির ভাবে সমুদ্রগর্ভে পড়িয়া থাকিতে হইবে ; তাহাতেই তাহার প্রাণ বাচিয়া যাইতে পারে। কারণ হাঙ্গরের সিংহ ভল্লুকের স্তায় মৃত প্রাণী ভক্ষণ করে না। কিন্তু একজন গ্ৰীক দেশীয় সুবিখ্যাত ও অভিজ্ঞ ডুবুরী এইরূপ বলিয়াছে, “দশম হস্ত পরিমিত একটি ক্ষুধাৰ্ত্ত হাঙ্গরের সম্মুখে নিশ্চলভাবে রহুক্ষণ, সমুদ্র গর্ভে মৃত প্রায় পড়িয়া থাকিতে মমুষ্যের পক্ষে অস্বাভাবিক স্নায়বিক শক্তির আবগুক । এই কার্য্যে অনেকেই অক্ষমতা প্রকাশ করিয়া প্রাণ হারাইয়া থাকে। একটি প্রকাগু হাঙ্গর যখন মনুষ্যটিকে ঘেরিয়া ফেলিয়া অবিশ্রান্ত লাঙ্গুলাঘাত করিতে থাকে তখন কাহার সাধ্য তথায় স্থিরভাবে অবস্থিতি করিতে পারে ?” সংগ্রহের পর স্পঞ্জ গুলিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৌকা হইতে বড় জাহাজে তোলা হয়— এবং উহার অন্তর্গত দ্রব্য গুলি বাহির হইয়া ন। যাওয়া পৰ্য্যস্ত গুদাম-জাহাজের পাটাতনে সেগুলি পড়িয়া থাকে। এই স্পঞ্জয়াপী জীব গুলির দেহ হইতে প্রথমে তীব্র য়্যামোনিয়ার ( Ammonia গন্ধ বহির্গত হইতে থাকে। এবং অল্পদিন পরে তাই হইতে উখিত সামুদ্রিক বৃক্ষ বিশেষের স্থায় অপেক্ষাকৃত সুমিষ্ট গন্ধে চারিদিক মুখরিত হইতে থাকে। অতঃপর স্পঞ্জবাহী জাহাজ উপকুণাভিমুখে প্রত্যাবর্তন করিলে সেই মুমুং, স্পঞ্জগুলিকে লৌহগরাদে দ্বারা প্রস্তুত চয়ন--স্পঞ্জসংগ্রহ প্রণালী । శ్రీ సి খোয়াড়ের মধ্যে রাখিয়া দেওয়া হয়। উক্ত খোয়াড়ে সমুদ্রের উপকূলস্থিত জল আসিয়া ক্রমাগত সেগুলিকে বিধৌত করিতে থাকে। এক সপ্তাহকাল ধোঁত ক্রিয়ার পর স্পঞ্জগুলি ক্রমশঃ গুটাইয়। আইসে এবং আকারে ক্ষুদ্র হইয়া পড়ে ; তখন তাহার উপর দণ্ডের দ্বারা ক্রমাগত আঘাত করা হয় । এই প্রকারে তন্মধ্যস্থিত জীবস্তু দ্রব্যাদি সমূলে নষ্ট হইয়া যায়। ইহার পর জাহাজ পুর্ণ হইয়ু স্পঞ্জরাশি নিলামে বিক্রয়ার্থ প্রেরিত হয় । তথা হইতে প্যাককারী এজেণ্টগণ উহা ক্রয় করিয়া লইয়া যায় এবং বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করিয়া ব্যবসায়ের প্রসার বৃদ্ধি করে। স্পঞ্জ প্যাক করিবার পূৰ্ব্বে উহা পুনরায় চূণমিশ্রিত সামুদ্রিক জলে ধৌত করিতে হয়। যদ্যপি এই জলের মধ্যে চুণের অংশ অধিক হইয় পড়ে তবে স্পঞ্জ অমম্বণ হইয়া পড়ে এবং সহজেই ছিন্ন করতে পারা যায় । ইহা সত্ত্বেও বহু ব্যবসায়া চুণের অংশ আধক দিয়াই স্পঞ্জ ধৌত করে । কারণ অত্যধিক চুণ দ্বার স্পঞ্জ ধৌত করিলে তাহার ভার অধিক হইয়া থাকে । এবং তাহা হইলেই উহা অধিক মূল্যে বিক্রীত হইতে পারে। বিভিন্নজাতীয় স্পঞ্জ জগতে তুর্ক দেশীয় স্পঞ্জ সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট। প্রায় অদ্ধসের তুর্কম্পঞ্জ - এক শত ছাপার টাকা চারি অান ( ১৫৬০ আন! ) মূল্যে বিক্রয় হয়। দ্বিতীয় শ্রেণীর স্পঞ্জ উলের মত বলিয়া উহাকে মেষ-লোম জাতীয় স্পঞ্জ বলা হয় । মেষের লোমের পশমের দ্যায় ইহা অত্যন্ত কোমল ও মনোরম,