পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩২ চারিধারটা চোখের সম্মুখে নীল গোলার মত ভাসিয়া ভাসিয়া উঠিতে লাগিল ! যদি পলাইতাম ! আহ, তাহাতে ইহাদেরই বা কি এমন ক্ষতি হইত ! আপিলে যদি মুক্তিলাভ করি! কিন্তু সস্তাবনাই বা কোথায় ? সাক্ষীর দল হলপ করিয়া সকল কথা বলিয়াছে—শুনানির छूज्जाउ श्ब्र গিয়াছে। এখন আপিলে কি লাভ হইবে ? কিছু না ! হায়, সকলি বৃথা ! নাই, কোন আশা নাই ! ফাসির রজুই আমার শেষ নিশ্বাসবায়ু টুকু ছিনাইয়া লইবে । আপিলের ক্ষীণ আশাস্বত্রটুকু—কোথায় তার বল ! যদি আজ ক্ষমা মিলিয়া যায়! ক্ষম। কিন্তু কেন মিলিবে ! এই যে অসংখ হতভাগ্যের দল —মোট বহয়, বেড়ি টানিয়া জেলে দিনযাপন করিতেছে-কদর্য্য অন্নে ক্ষুধার শান্তি হইতেছে, কোথায় তাহীদের স্ত্রী, পুত্র, বন্ধু ; কোথাই বা তাহদের গৃহ । তাছারা এই যাতন সমানে ভোগ করিবে আর আমি ক্ষম লাভ করিয়া সানন্দে গৃহে ফিরিব ! কেন, কি কারণে তাহারা আমাকে ক্ষমা করিবে ? অন্যায় দৃষ্টাস্তে দেশের লোকের বিপদ যে আসন্ন হইয়া উঠিবে ! ক্ষমা নহে, ফসি— ফুলিই আমার মুক্তির একমাত্র উপায় ! Y (R যদি পলাইতাম ! সবুজ মাঠের উপর দিয়, ছোট পাহাড় ঘুরিয়া বননদী অতিক্রম করিয়া কোথায় কোন অজানা দেশের অভিমুখে ছুটিয়া চলিভtম ! কাহারে মুখের দিকে চাহিব না, কাহারে দ্বারে আশ্রয় মাগিব ন}, এক মুষ্টি অন্ন ও ন—গাছের ফলে ক্ষুধা, নদীর ভারতী । শ্রাবণ, ১৩১৭ জলে তৃষ্ণ দুর— পাখীর গানে বিশ্রাম, তরুর তলে নিদ্রা–লোকালয়ে না— যদি কেহ সন্দেহ করে । আবার যদি ধরে । ছুটিব না—তাহাতে সন্দেহ জন্মাইতে পারে । মৃদ্ধ শান্ত পাদক্ষেপে কত গ্রামনগর অতিক্রম করিয়া যাইব, তাহার সংখ্যা নাই ! একটা ছদ্মবেশ সংগ্ৰহ করিয়া লইতে হইবে ! গ্রামের প্রাস্তে একটা নিবিড় ঝোপ আছে—সেখানে গিয়া প্রথমে বিশ্রাম লইব ! সেই ঝোপে কত শুiম সন্ধ্যা, কত শাস্ত প্রভাত কাটাইয়া দিয়াছি । শৈশবেলুকোচুরি খেলা, সঙ্গীর দলে কি সে আনন্দের হুড়াহুড়ি পড়িয়া যাহঁত! আঃ কি সে মুখের দিন । আজ তাহার একটি মুহূৰ্ত্ত, যদি নিমেষের জগু কুড়াইয়া পাই ! আবার ধখন আঁধার নামিবে, তখন পথে दाश्द्र ३ई६ ! eिcनcन याईद ! न ! १८५ নদী অাছে, পরে হইবার সময় বিঘ্ন ঘটতে পারে ! আপ জনে যাইব ! বোধ হয়, সেন্ট জামেণে যাইলেই ভালো হয়—সেখান হইতে হুেভার, হুেভার হইতে ইংলণ্ড ! কিন্তু সে সময় যদি পুলিশে ধtaয় ফেলে, যে যখন ছাড়পত্র চাহিবে । তবেই ত বিপদ ! ই রে হতভাগ্য, স্বপ্নপ্রাস্ত জীব, এই তিনফুট মোট দেয়ালটা অতিক্রম করাই যে দুঃসাধ্য ব্যাপার, অসম্ভব! তাহ হইলে, আর উপায় নাই,—মৃত্যু, মৃত্যুই আমার প্রিয়মুহৃদ ! সোণার শৈশবের কথা মনে পড়িতেছে! যখন বালক ছিলাম, তখন কতবার এই জেলের ধারে ফাঁসি দেখিতে আসিয়াছি, কি সে ভিড় ! আর আজ! ১৬ দীপের আলো ক্ষীণ হইয়া আসিয়াছে !