পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وهن نفي ষেন ছাত্র অবশেষে নিজেই রত্বরাশি সংগ্ৰহ করিয়া লইতে পারেন। প্রথম দুই বৎসর আনুষঙ্গিক বিষয় ও নিৰ্ব্বাচিত বিষয়ের প্রাথমিক ভাগ সংগ্ৰহ করিয়া লইতে হয় । তৃতীয় বৎসর হইতে বিশেষ শিক্ষা আরম্ভ হয়। প্রথম উপাধির জন্ত চারি বৎসর vittsi l sistą są filsēț (research work) গ্রাজুয়েট হইবার পর আরম্ভ হয়। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন বিচিত্র আনন্দ ও উৎসাহে পূর্ণ। ইহার দ্বার সকলের জন্তই উন্মুক্ত। আমাদের দেশের দ্যায় নিয়ম-কঠোর, নীরস ও প্রাণহীন নহে। এখানে কচিৎ কেহ বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় বিফলমনোরথ হন। এমন কি শতকরা ৯০ জন শিক্ষা শেষ করিয়া বাহির হন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় কেবলমাত্র পরীক্ষাকেন্দ্র নহে তাহ শিক্ষার স্থান—মানুষ তৈয়ারির স্থান । এদেশের সৰ্ব্বোচ্চ শাসনকৰ্ত্ত (President) ও সকল বিখ্যাত লোকই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র । আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলি সাধারণতঃ পরীক্ষা দ্বারা আমাদের মুখ তার পরিমাপেই ব্যস্ত থাকেন এদেশে প্রকৃত শিক্ষা দেওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাৰ্য্য। সাধারণতঃ একই স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত ও জ্ঞানের নানা বিভাগ, —সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, বিজ্ঞান (ফলিত ও বিশুদ্ধ ) রাজনীতি, সমাজনীতি, কলা, সঙ্গীত ইত্যাদি নানা বিষয়ের এক একটি কলেজ লইয়া বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত। দুই হইতে তিন শত বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয় । অধ্যাপক সংখ্যা দুই শত হইতে চারি শত ৷ ছাত্র দেড় হাজার হইতে পাচ হাজার। এত ছাত্র ডিগ্রী পান ইহাতে মনে হইতে उंब्रडौ । শ্রাবণ, ১ : ১৭ পারে যে এখানে পরীক্ষা ব্যাপারটি একেবারেই নাই । কিন্তু পরীক্ষ যথেষ্ট আছে ; তাহ কেবল সেকেলে ধরণের ইংরাজী আদশে চালিত নহে । ক্লাসের প্রতিদিনের পড়া নিদিষ্ট থাকে ও তাছা না পড়িলে উপায় নাই। কারণ ক্লাসে আমাদের দেশের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রের মত সকলকে প্রশ্ন করা হয় এবং প্রতি মাসে একটি কখনও বা দুইটি বেশী পরীক্ষা হয় । ক্লাসের পড়া ও পরীক্ষার ফল ভাল ন হইলে ঐ বিযয়টি ছাড়িয়া দিতে বাধ্য করা হয় । শেষ পরীক্ষায় তেমন কড়াকড়ি নাই, সারা বৎসরের ফলের উপর ছাত্রের উন্নীত অধোগতি নির্ভর করে । মোটের উপর পড়ায় অমনোযোগী হইলে কলেজ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দেয় । যিনি সববদ অধ্যাপনা করেন তিনিই পরীক্ষক,–ছাত্রের গুণাগুণ বা উপযুক্ততার বিচার তিনিই করেন। কারণ তিনিই প্রকৃত বিচার করিতে সমর্থ। এই নিয়মটি জন্মেণ হইতে এদেশে প্রচলিত হইয়াছে ও ইহার সাফল্য যথেষ্টরূপে প্রমাণিত হইয়া গিয়াছে । ইহার তুলনায় আমাদের দেশের আধুনিক পরীক্ষ প্রণালী বুদ্ধিহীন ও অর্থশূন্ত বলিয়া মনে হয়। আমাদের পুরাতন শিক্ষণ প্রণালীর সহিত ইহার অনেকটা সাদৃশ্য আছে। পূৰ্ব্বে গুরু শিস্যকে বিস্তাদানে নিজে নানা গুণে গড়িয়া তুলিতেন ও উপযুক্ত বিবেচনা করিলে কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশের অমুমতি দিতেন । আমাদের বিকৃত রুচির আর এক পরিচয়,—সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্ধঅমুকরণে সংস্কৃত উপাধি ও পণ্ডিতি পরীক্ষাগুলি ! • এখানে অধ্যাপক ও ছাত্রগণের মধ্যে