পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা । করিতেছেন, এ কথা মনে করাও পাপ। বর্তমান গ্রন্থখনি অঘোর বাবুর বহুদৰ্শিতার অমূল্য ফল । পাঠ করিয়া আমরা আনন্দিত ও মুগ্ধ হইয়াছি । বালকগণের শিক্ষা, শাসন, শরীর পালন, নীতি, ধৰ্ম্ম প্রভূতি সমস্ত প্রয়োজনীয় কথা, গ্রন্থকার এই পুস্তকে বলিয়াছেন । এই গ্রন্থ সাধারণ্যে প্রকাশ করিয়া গ্রন্থকার ও প্রকাশক, ৰঙালী মাত্রেরই কৃতজ্ঞ তা ভাজন । বালক বালিকা, অধ্যাপক, অভিভাবক সকলের পক্ষেই গ্রন্থখানি অতুলনীয় সামগ্রী । সকলেরই পাঠ করিয়া দেখা উচিত। গ্রন্থখানি গৃহ পঞ্জি চার মত বাঙালীর গৃহে বিরাজ করুক, ইহাই আমাদি.গর প্রার্থন।। জাপানী ফানুস । শ্ৰীযুক্ত মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় প্রণীত । দ্বিতীয় সংস্করণ মূল্য অট আন । কান্তিক প্রেসে মুঞ্জিত ও ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস হইতে প্রকাশিত ৷ এক বৎসরের মধ্যেই এদেশে যে গ্রস্থের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় তাছার আবার নূতন করিয়া পরিচয় দেওয়া নিম্প্রয়োজন । ইংtয় গল্পগুলি মনোরম-শিশুসাহিত্যের গৌরব । দ্বিতীয় সংস্করণে গ্রন্থের ভাষা বর্ষ । vඵ8 ? স্থানে স্থানে পূৰ্ব্বাপেক্ষ সহজ করিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং বাধা টুকুও চমৎকার হইয়াছে। অথচ মুল্য বাড়ে নাই । টাক্‌ ডুম ডুম ডুম। প্রকাশক শ্ৰীমণিশল গঙ্গোপাধ্যায়, ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ২২ কর্ণওয়ালিস স্ট্রট। কাস্তিক প্রেসে মুদ্রিত। এখানিও শিশুপাঠ্য গ্রন্থ । গ্রন্থ কারের নাম, অজ্ঞাত । শিশুসাহিত্য রচনায় তিনি প্রভূত দক্ষতার পরিচয় দিয়াছেন । বেগুন-ক্ষেতে শৃগালের নাসিকায় কাটা ফুটিয়া যাওয়ার পুরাতন চিরস্থদের গল্পটি নাট্যাকারে পরিণত করা সহজ নহে । লেখকের প্রয়াস সার্থক হইয়াছে। সাতটি দৃশ্যে শিয়ালের অদৃষ্ট্রের অপুৰ্ব্ব গতিপৰ্য্যায় সুন্দরভাবে বর্ণিত হইয়াছে । গ্রন্থের ভাষা সহজ এবং মিষ্ট—শিশুহৃদয় নিমেষেই তাহাতে আকৃষ্ট হইবে । শিশুগণ টাকু ডুম ডুম্‌ ডুম্‌ পাইয় যে আনন্দে উৎফুল্ল হুইবে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। আটপানি উৎকৃষ্ট চিত্রে সোনায় সোহাগা মিশিয়াছে । গ্রন্থের মূল্য চার গান । শ্ৰীসত্যব্রত শৰ্ম্ম । বর্ষ। ঐ দেখ গে অাকে আবার পাগুলি জেগেছে, ছাই মাথা তার মাথার জটায় আকাশ ঢেকেছে ! भलिन झi८ङ छू":प्रtछ् cम छूtश:झ नद ठे"tई । পাগল মেয়ের জ্বালায় পরিচ্ছন্ন কিছুই নাই । মাঠের পারে দাড়িয়েছিল ঈশান কোণেতে, বিশাল শাখা পাতায় ঢাকা শালের বনেতে : হঠাৎ হেসে দৌড়ে এসে খেয়ালের ঝে কে ; ভিজিয়ে দিলে ঘরমূখে ওই পায়রা গুলোকে । বজু হাতের হাততালি সে বাজিয়ে হেসে চায়, বুকের ভিতর রক্তধার। লাচিয়ে দিয়ে যায় ; ভয় দেখিয়ে হাসে আৰায় ফিক ফিকিয়ে সে, আকাশ জুড়ে চিক্‌ মিকিয়ে চিক্‌ মিকিয়ে রে । } Y ময়ুর বলে কে গে৷ ” এসে আকুল করা রূপ, ভকেরা কয় নাহিক ভয়, জগৎ রহে চুপ্‌ ; পাগলি হাসে আপন মনে পাগলি কঁী:দ হায় চুমার মত চোখের ধারা পড়ছে ধরার গায় । কোন মোহিনীর ওড়ন। সে আজ উড়িয়ে এনেছে, পূবে হাওয়ায় ঘুরিয়ে আমার অঙ্গে হেনেছে ; চম্কে দেখি চক্ষে মুখে লেগেছে এক রাশ ঘুম পাড়ানো কেয়ার রেণু, কদম ফুলের বাস । বাদলু হওয়ায় আজকে আমার পাগলি মেতেছে ; ছিন্ন কাথা সুৰ্যশশীর সভায় পেতেছে। আপন মনে গান গাহে সে নাই কিছু দুকূপীত, মুগ্ধ জগৎ, মৌন দিব, সংজ্ঞাহার রাত। শ্ৰীসত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ।