পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা। পিন্ধুৰ গম্ভীর গর্জনটুকু অবধি যেন স্বরের মধ্যে ধ্বনিত হইয়া উঠিয়াছে ! সিন্ধু-সঙ্গীত শুনিয়া কবি বায়রণকে মনে পড়ে। ভাবে ভাষায় তেমনি তরঙ্গ উচ্ছসিত इहेब्रां ऊँठिंब्राह्छ् ! ‘বাণী’তে বিশ্বরাজের সন্ধান-রাত কবির কাতর চিত্তের পরিচয় পা ওয়া যায়। “কল্যাণী”তে সে পরিচয় ফুটিয়া উঠিয়াছে। বিশ্ব রাজ এখন আর দূরে নহেন—কুহেলিকার মধ্যে তিনি নাই, তিনি এখন মনে সচ্চিদানন্দস্বরূপমূৰ্ত্তিতে বিরাজমান ! এই ঐশী ভাব সনাতন ধৰ্ম্মের ছায়াপাতে দিব্য স্নিগ্ধ মনোরম ৷ ‘বাণী'তে তিনি গাহিয়াছেন,— “( মম ) সুপ্ত হৃদয় করি নয়ন নিমীলন, না করিল তব করুণ অনুশীলন ; মোহ ঘিরিল মোরে রহি চির ঘুমঘোরে ব্যর্থজীবন গেল ফুরাইয়ে হায় ।” ‘কল্যাণী’তে কবি র্তাহার হারানিধি ফিরিয়া পাইয়াছেন—তাহার প্রাণ ভর তৃষা ব্যাকুলতার শাস্তি হইয়াছে—তাই ‘কল্যাণী'তে বিভূস্বষ্টির দর্শনে মুগ্ধ কবি গাহিয়াছেন, “তুমি মুন্দর তাই তোমারি বিশ্ব সুন্দর শোভাময়, তুমি উজ্জল তাই নিখিল দৃশু নন্দন প্রভাময় ! তুমি অমৃত বরোধি হরি হে, তাই তোমারি ভুবন ভরি হে— পূর্ণচন্দ্ৰে পুষ্পগন্ধে সুধার লহরী বয় ; ঝরে সুধাজল ধরে পুস্পফল পিয়াস ক্ষুধা না রয়। তুমি সৰ্ব্বস্ব গতিমুল হে তাহে শৃঙ্খলা কি বিপুল হে ! যে যাহার কাজ নীরবে সাধিছে উপদেশ নাহি লয় ; নাহি ক্রম-ভঙ্গ পূর্ণ প্রতি অঙ্গ নাহি বৃদ্ধি অপচয় ! তুমি প্লেমের চিরনিবাস হে, তাই প্রাণে প্রাণে প্রেমপাশ হে, उोई भधूममठाग्र वि$fश्र-लडाब्र মিলি প্রেম কথা কয় ; কবি রজনীকান্ত । ○○○ জননীর স্নেহ, সতীর প্রায় গাহে তব প্রেমময় !” এই গানে আমাদিগের সর্বাপেক্ষা মধুর লাগিয়াছে ‘জননীর স্নেচ,’ ‘সতীর প্রণয়’ ! এই দুষ্টটিই প্রাচ্য কবির বিশেষত্ব ! এ বিশ্ববাজকে বুঝতে কষ্ট হয় না ! ইনি তার্কিকের কুট তর্কজালের অক্ষরালে প্রচ্ছন্ন নছেন, বিজ্ঞ দার্শনিকের পুপির পৃষ্ঠায় আবু ত নছেন, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষেব ধূমে অস্পষ্ট নহেন, সারা বিশ্ববাসীর হৃদয়ই ইহার পূজার মন্দির ! ভালের গাম্ভীর্য্যে, ভাষার সৌন্দর্য্যে ও সহজ স্পষ্ট অভিব্যক্তিতে ‘বাণী’ ও ‘কল্যাণী রবীন্দ্রনাথের “নৈবেদ্য” গ্রন্থের অনুরূপ। তবে ‘কল্যাণীতে আর একটু বিশেষত্ব আছে, সেটি ইহার সহজ সরল সুর — ইহা পড়িলে প্রাচীনকালের বাঙালীর রাম প্রসাদকে বারবার মনে পড়ে ! ‘রহস্তে" ও রজনীকাস্তের অসামান্ত প্রতিভা ! মাঝে মাঝে হাসি ও অশ্রুতে মিশিয়া এমন সৌন্দর্য্য বিকশিত করিয়া তুলিয়াছে যে তাছা উপভোগ্য । হাস্তের সহিত নয়নে অশ্রুত বঙ্গ উছলিত হইয় উঠে ! রজনীকান্ত গাহিয়াছেন, “আছত বেশ মনের সুখে ! র্তাধারে কি না কর, আলোয় বেড়া ও বুকটি কে ! দিয়ে লোকের মাথায় বাড়ি, আনলে টাকা গাড়ী গাড়ী প্রেয়সীর গয়না সাড়ী হলো, গেল লেঠা চুকে ! সমাজের নাইক মাথা কেউ ত আর দেয় না বাধা, সবি টের পীবে দাদা সে রাখছে বেবাক টুকে ! 橡 嫌 球 “এর মজা বুঝবে, সেদিন, যেদিন যাবে সিঙ্গে ফুকে ।” পুরাতত্ত্ববিৎ’ ’বুয়ার যুদ্ধ “মেীতাত”