পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

있8 ভারতী । প্রশস্ত পথ অবগত হইয়া ভারতবর্ষের সহিত বাণিজ্যে ব্ৰতী হইলেন । বৎসর বৎসর তাহারা তরী সজ্জিত করিয়া মালাবারের ভিন্ন ভিন্ন বন্দরে প্রেরণ করিতে লাগিলেন । এই বাহিনী নয় কি দশ সপ্তাহে তাহাদের গন্তব্য স্থানে পৌছিয়া নিজেদের দেশজাত দ্রব্য অথবা অর্থ বিনিময়ে ভারতীয় দ্রব্য সম্ভারসহ দেশে প্রত্যাগমন করিত। নৌকা সকল ইউফ্রেটিস নদী তীর হইতে আসিরিয়া এবং মেসোপটেমিয়ায় যাতায়াত করিত এবং সেই জন্ত কনষ্টাণ্টিনোপলের অধিবাসিগণ বিন পরিশ্রমে ভারতীয় দ্রব্যাদি প্রাপ্ত হইতেন । এইরূপে বিপদসঙ্কুল বাণিজ্য প্রবৃত্তি র্তাহাদের লুপ্ত হইল। এই সমস্ত কারণে সপ্তম শতাব্দীতে পারসিক এবং আরবিকগণই ভারতীয় বাণিজ্য অনেকট একচেটিয়া করিয়া তুলিলেন ; বিশেষতঃ পারসিকের রেশমের ব্যবসায় সম্পূর্ণ করায়ত্ত করিয়া ফেলিলেন । তাহারা চীনের রেশম লঙ্কায় খরিদ করিয়া দেশে চালান দিতে লাগিলেন । এই সময় পারসিকদিগের কনষ্টাfণ্টনোপলের সম্রাটদিগের সহিত যুদ্ধ ঘটাতে, তাতারদেশের মধ্য দিয়া গ্রীসে যে চীনের রেশম যাইত তাহাও তাহারা আটক রাখিয়া এই সমস্ত দ্রব্যাদির মূল্য ইচ্ছামত । ধার্য্য করিতে লাগিলেন । সম্রাট জষ্টিনিয়ান নানাবিধ উপায়ে ইহার প্রতিকারের চেষ্ট করিয়াও কিছুতেই কৃতকাৰ্য্য পারিলেন না । অবশেষে এক অসম্ভাবিত উপায়ে তাহার ইচ্ছা কার্য্যে পরিণত হইল । দুই জন যতি ( monks ) প্রচার কাৰ্য্যে চীনে হইতে বৈশাখ, ১৩১৭ এবং ভারতবর্ষে প্রেরিত হইয় গুটিপোকা (Silk worm) রক্ষণ এবং কি উপায়ে রেশম প্রস্তুত হয় তাহা জানিতে পারেন । ইহারা স্বদেশে প্রত্যাগমন পূৰ্ব্বক জষ্টিনিয়ানকে এই বৃত্তান্ত অবগত করিলে পর সম্রাট তাহাদিগকে পুনরায় চীনে প্রেরণ করেন। কয়েক বৎসর চীনে , থাকিয় তাহার রেশম প্রস্তুত প্রণালী উত্তমরূপে শিথিয়া, ফিরিবার সময় গুটিপোকার ডিম • কতকগুলি একটি শূন্ত গর্ভ বেতের অভ্যস্তরে লুক্কায়িত করিয়া আনেন। এই সমস্ত ডিম তা দিয়া ফুটনি’ হইল, এবং পোকাগণ তুতগাছের কচিপাতা দ্বারা পালিত হইতে লাগিল । ইহাদের পর্য্যবেক্ষণ কল্পে রীতিমত প্রহরী নিযুক্ত হইল এবং আশাজনক সুফল লাভ করায় সম্রাট, পিলোপনিসাস এবং আর কয়েকট গ্রীসীয় দ্বীপে রেশম প্রস্তুতের কারখান। স্থাপিত করিলেন । এই রূপে গ্রীসে, চীনের রেশমের চালান বন্ধ হওয়াতে পূৰ্ব্ব দেশের সহিত রোমের বাণিজ্য সম্পর্ক অনেক পরিমাণে কম হুইয়া গেল তত্ৰাপি হিন্দুস্থানের দ্রব্যসম্ভার মিসর এবং তথা হইতে ইতালি এবং গ্রীসে পৌছিতে লাগিল। কিন্তু পরবর্তী কয়েক' শতাব্দীর যুদ্ধ বিগ্রহে ক্রমে ক্রমে ইহাও লোপ পাইয়া আসিল । আমরা পূর্বেই বলিয়াছি যে মহম্মদের প্রচলিত ধৰ্ম্ম আরববাসীদিগকে এক নূতন জীবনে সঞ্জীবিত করে। মহম্মদের মৃত্যুর পর ওমর অনেক মুসলুমান সৈন্তসহ পারস্ত বিজয় এবং তথায় ইসলাম ধৰ্ম্ম প্রবর্তন করিয়া থলিপ রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। এই