পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । অসভ্য ছিল। কিন্তু দ্রাবিড়িগণ যে সুসভ্য ছিলেন আধুনিক প্রত্নতত্ত্ববিদগণ তাহার প্রমাণ পাইয়াছেন। দ্রাবিড়ীয়গণ ও প্রাচীন মিশরিয়গণ একজাতি ভুক্ত ছিলেন বলিয়া তাহারা অম্বুমান করেন। বেবিলনীয়গণ একপ্রকার মসলিন ব্যবহার করিত, তাহার নাম ছিল "সিন্ধু” । সিন্ধুনদের তীরবর্তী স্থান হইতে রপ্তানি হইত বলিয়া উহার সিন্ধু নামকরণ হইয়াছিল। তখনও আর্য্যগণ ভারতবর্ষে আগমন করেন নাই । এত প্রাচীন কালে যে জাতি মসলিন বয়ন করিতে শিখিয়tiছল তাহারা যে সুসভ্য ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। দ্রাবিড়ীয়গণ স্বনিৰ্ম্মিত জাহাঙ্গে তাঁহাদের বাণিজ্য দ্রব্য বেবিলনে রপ্তানি করিত । দ্রাবিড়ায় সভ্যতা বহুল পরিমাণে গ্রহণ করিয়াছিলেন। দ্রাবিড়ায়গণ ও উন্নততর আর্য্যধৰ্ম্মনীতি গ্রহণ করিয়া কালে জ্ঞানে ও ধৰ্ম্মে আর্য্যদিগেরই সমকক্ষ হইয়াছিলেন । বেদ ভাৰ্য্যকার সায়নাচার্য্য ও বৈদাস্তিক শঙ্কর ও রামামুজ এই দ্রাবিড় বংশে{ৎপন্ন । মাঞ্জাজী ছাত্রদিগের মধ্যে একটি বহরমপুরের একজিকিউটিভ, এঞ্জিনিয়ারের ভাগিনেয় ও তাহার কস্তাকে বিবাহ করিয়াছেন । মাতুলকন্তু বিবাহ বঙ্গদেশে নিষিদ্ধ কিন্তু আর্য্যরীতি বিরুদ্ধ নহে । সিদ্ধার্থ স্বীয় মাতুল কণ্ঠ বিবাহ করিয়াছিলেন । বহরমপুর ও ছত্রপুর মান্দ্রাজ প্রেসিডেন্সির গঞ্জাম জেলার সদর সহর । রাজকীয় কাৰ্য্যালয় অৰ্দ্ধেক বহরমপুরে ও অদ্ধেক ছত্রপুরে স্থাপিত। রাত্রি নয়টার সময় গোশকটে যাত্রী খনা মহল ভ্রমণ । ভার ৩৭র্যে আসিয়ু আৰ্য্যগণ । ৩৬৭ করিলাম। পরদিন বেলা নয়টার সময় আস্কায় পৌছিলাম । আস্কায় একটা মদ ও চিনির কারখানা আছে। অবশু সাহেবের । আস্কার বাংলায় তাহারাদি সমাপন করিয়া সন্ধ্যfকালে পুনরায় শকটে আরোহণ করিলাম। রাসেনকান্দা আস্কা হইতে ২৫ মাইল । পরদিন বেলা নয়টার সময় তথায় পৌছিলাম । গঞ্জাম জেলার পথিকদিগের জন্ত কি চমৎকার বনেদাবস্ত | প্রত্যেক সহরে ধরমশালা অথবা চেীণটা আছে। তথায় থাকিতে এক পয়সা ব্যয় নাই। চাউল ডাল কিনিয়া রাধিয়া খাইলেই হইল। বাংলা দেশ হইতে অতিথি সংকার ক্রমে উঠিয়া যাইতেছে। গৃহস্থের বাটীতে অতিথির আগমন হইলে আজিকালি গৃহস্থের মুখভার হয় । পল্লীগ্রামে গৃহস্থের বটী হইতে অতিথিকে এখনও বড় ফিরিতে হয় না ; কিন্তু নগরে অতিথির নাম করিবার যো নাই। সমস্ত কলিকাতা সহরে .বিদেশী লোকের দুই এক বেলা থাকিবার স্থান নাই । পূৰ্ব্বে যখন অভ্যাগত সৰ্ব্বত্র গুরুবং পূজনীয় ছিলেন তখন ধরমশালার প্রয়োজন ছিলনা। বর্তমানে প্রতি সহরে ধরমশালার প্রতিষ্ঠা হওয়ার প্রয়োজন । রাসেন নামক এক ইংরাজ রাসেনকান্দার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক খনদিগের মধ্যে নরবলি বন্ধ করিতে প্রেরিত হইয়াছিলেন। রাসেনকান্দ আমাদের সাধারণ জেলা সহর অপেক্ষা বড় সহর। ইহা গঞ্জাম জেলার একটি মহকুমা । রাত্রিতে রাসেনকান্দ হইতে যাত্রা করিয়া পরদিন বেলা দশটার সময় কলিঙ্গা নামক স্থানে পৌছিলাম। এক “ঘাটি” (পাহাড় )