পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪৭ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । অরণ্যের মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পল্লী অবস্থিত। প্রকাণ্ড প্রকা ও শাল তরু মস্তক উত্তোলন করিয়া অাছে—তাহদের দৈর্ঘ্য ও বিস্তার অত্যধিক । বঙ্গদেশে অত বড় শাল গাছের আমদানি দেখি নাই । খন্দগণ নিৰ্দ্দয় ভাবে সে অরণ্যের ধবংস সম্পাদনে ব্যাপৃত । কিন্তু সে অক্ষয় অরণ্য ধ্বংস হইবার নছে । যুগযুগান্তর হইতে খন্দকুঠারাঘাত সহ করিয়া তাহা এখনও তেমনি বিপুলই আছে । অনেক অরণ্যে বোধহয় এখনও পর্য্য স্ত খন্দকুঠার প্রতিধ্বনিত হয় নাই—সেগুলি মহা-ভীষণ । বোধ হয় পাচ সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে আর্যগণ যখন সমতল ক্ষেত্র হইতে খন্দদিগকে তাড়াইয়া দিয়াছিলেন তখন ও ইহারা বর্তমান ছিল । খন্দগণ গৃহনিৰ্ম্মাণে এই বৃক্ষ বহুলপরিমাণে ব্যবহার করে। বিপুলকায় বৃক্ষ থও থও করিয়া উদ্ধভাবে মৃত্তিক প্রোথিত করে । খণ্ডগুলি আতি ঘনঘন পরস্পর সংলগ্ন হইয়। প্রোথিত হয় এবং বহুসংখ্যক বৃক্ষখণ্ডদ্বারা গৃহের দেয়াল নিৰ্ম্মিত হয়। অনেকে এই কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত দেয়ালের উপবিভাগে রক্তবর্ণ মৃত্তিকার লেপ দিয়া থাকে। স্বত্রধরের যন্ত্রের মধ্যে কুঠারেব ব্যবহার মাত্র খন্দগণ অবগত অtছে । ক রাতের ব্যবহার সম্পূর্ণ অপরিজ্ঞাত। নাতিস্থল বৃক্ষ কুঠার দ্বারা তিনখানি অথবা চারিথানি তক্তায় বিভক্ত হয় এবং সেই পুরু তক্তার দ্বারা গৃহের দরজা নিৰ্ম্মিত হয় । দরজায় লৌহের কল্প অথবা ই সকল নাই। কাঠের মধ্যে ছিদ্র করিয়া এক প্রকার ই{সকল নিৰ্ম্মিত হয় তদার চৌকাঠে কপাট সংলগ্ন হয় । খন্দগণ খন্দ মহল ভ্রমণ । פלטא "א বোধহয় সভ্য প্রতিবেশীদিগের নিকট হইতে কিছুই শিক্ষালাভ করে নাই। স্বত্রধরের যন্ত্রের অভাবে যে বিপুল পরিশ্রম অযথা ব্যয়িত হয় তাহ দেখির মনে বড়ই কষ্ট হয় । খন্দমহলের সবডিভিসন্তাল অফিসার মিঃ ওলেন ব্যাকের চেষ্টায় সম্প্রতি দুইএকজন খন্দ করাত ও অষ্ঠ দুই একটি যন্ত্রের ব্যবহার শিথিয়াছে। ওলেনব্যাক সা-হব ফুলবাণীতে একটি টেকনিকাল স্কুল স্থাপনের চেষ্টায় আছেন । কৃতকার্য্য হইলে খন্দদিগের শিল্পরাজ্যে যুগান্তর উপস্থিত হইবে। দুই একটি খন্দ ইষ্টক নিৰ্ম্মাণ ও শিথিয়াছে। খন্দমহল অস্কুল জেলার একটি মহকুমা। কিন্তু অঙ্গুল ও খন্দমহলের মধ্যদেশে বেীধরাজ্যের একাংশ বিস্তৃত । খন মহাল ও জেলার সদর মহকুমা পরস্পর সংলগ্ন নহে। খন্দমহল পূর্বে বোধরাজ্যেরই অন্তভূক্ত ছিল। উড়িয্যায় অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করদরাজ্য আছে, বোধ তাহাদিগের অন্ততম। খন্দদিগের মধ্যে নরবলি প্রথা প্রচলিত আছে— এই সংবাদ ভারত গভর্ণমেণ্টের গোচর হইলে র্তাহারা বোঁধরাজকে উক্ত জঘন্ত প্রথা রহিত করিতে আদেশ করেন। রাজ্য অনেক চেষ্টা করিয়াও কৃতকার্য হইতে পারেন নাই । গভর্ণমেণ্টকে অগত্যা খন্দমহলে একটি সৈনিক মিশন প্রেরণ করিতে হয় । খন্দগণ চতুর ইংরাজ সেনাপতি বহুকৌশলে যৎসামান্ত রক্তপাতের পর উক্ত প্রথা রহিত করিতে সমর্থ হন। কিন্তু র্তাহার প্রত্যাবর্তনের পরে আবার খন্দগণ পূর্ব প্রথা অবলম্বন করে। এবং পুনরায় তাহাদের বিরুদ্ধে সৈন্ত প্রেরণ করিতে হয়। অস্ত্ৰধারণ করে ।