পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । “গ্রাম মালিক” ও একজন সর্দার অাছে। সমগ্ৰ মুঠায় মুঠামালিক ও মুঠাসর্দারের যে প্রতিপত্তি, গ্রামে গ্রামমালিক ও গ্রামসর্দারেরও তদ্রুপ । খন্দগণ তাহীদের মালিক ও সর্দারের অজ্ঞানুবৰ্ত্তা,--প্রায়ই তাহদের বিরুদ্ধাচরণ করেন । খন্দদিগের শপথ করিবার প্রথা একটু নুতন রকমের । শস্ত ও দুগ্ধাদি মাপিবার জন্য তাহার একপ্রকার মৃত্তিকাভাও ব্যবহার করে তাহাকে তামলি বলে । এই তামলির মধ্যে কিয়দংশ ব্যাঘ্ৰ চৰ্ম্ম, কিছু ধান, লবণ, কয়েকটী তুলসীপত্র ও “সবিনো” নামক গাছের কয়েকট পত্র ও অন্ত দুই একটা দ্রব্য রাখিয়৷ শপথকারীর হস্তে তামলিটি প্রদান করা হয় ; এবং তামলি ও তৎস্থিত প্রত্যেক পদার্থের নাম করিয়া আদালতে তাহাদিগকে শপথ পড়াল হয় । অন্তক্র মদ্য স্পশ করিয়া শপথ করিবার নিয়ম ও প্রচলিত আছে । আমি খন মহলে ছিলাম তখন কতক গুলি খন্দ শপথ করিয়া মদ্য ত্যাগ করিয়াছিল । শুনিয়াছি ওষ্ঠদ্বারা মদ স্পর্শ করিয়াই তাহারী মদ ত্যাগের শপথ করে । খন্দগণ অপরিমিত মদ্যপায়ী । মুখের বিষয় তাহদের স্ত্রীলোকের মদ খায় না, তাহা ন হইলে মদ্যের প্রভাবে এতদিনে খন্দ अङि ८बा६ श्ध्र दिलूखं श्ध्रा बाई ङ । भग খাইবার পূৰ্ব্বে তাহারা কিয়দংশ মৃত্তিকার উপর ফেলিয়া “তুকীপেখু”কে নিবেদন করে । তাছাদের বিশ্বাস মদ্যদানে পৃথিবীকে তুষ্ট না করিলে তিনি রুষ্ট হইয়া শস্তাদি কিছু দান করিবেন না। পূর্বে থনাগণ নিজেই মদ্য প্রস্তুত করিত। অধুন খনা মহল ভ্রমণ । ©ዓ » গবমেন্টের আবকারী আইনানুসারে খোল ভাটীতে মদ প্রস্তুত হয়। খন্দগণ বলে শোণ্ডিকহস্ত কলুষিত মন্ত পৃথিবী তত তৃপ্তির সহিত গ্রহণ করেন না এবং তজ্জষ্ঠ পূৰ্ব্বমত শস্তাদি দান করিতেছেন না। তুর্কীপেলুকে মদ না দিলে যখন চলিবে না তখন তাহারাই বা মদ ত্যাগ করিবে কেন ? করিলে তুর্কীপেশুর পূজার ব্যাঘাত হইবে। থন্দ মহালের অধিবাসীগণ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত, উড়িয় ও খন্দ । উড়িয়াদিগের অধিকাংশই মহাজন । অত্যধিক সুদে টাকা পার দিয়া খন্দদিগের সব্বনাশ সাধনে তাহার বড়ই পটু ৷ খন্দ মহলের অধিকাংশ জর্মী অধুনা তাহদেরই হস্তগত । মদ্য পিপাসা যখন প্রবল হইয়া উঠে তখন খন্দগণ শস্ত ও জমী বন্দক দিয়া সে পিপাসা নিবৃত্তি করিতে কুষ্ঠিত হয় না। মহাজনদিগের অত্যাচার হইতে খন্দদগকে রক্ষা করিতে সরকারী কৰ্ম্মচারীগণ অাজ কাল বিশেষ চেষ্টিত আছেন। খন্দমহলে প্রচুর পরিমাণে হলুদ উৎপন্ন হয় ; গাড়া করিয়া উড়িয়া মহাজনগণ তন্ত্যুত্ৰ রপ্তানী করে । কোন ও রকম তরকারী ব্যবহার খন্দগণ অবগত নহে। ফুলবাণীতে যে কয়েকট রাজকুৰ্ম্মচারী আছেন তাহারা স্বীয় ব্যবহারের জন্ত কলিকাতা হইতে বীজ লইয়া তরকারীর চাষ করেন । সম্ভবতঃ তাহদের দৃষ্টাস্তে তরকারীর ব্যবহার ধনাদিগের মধ্যে প্রচলিত হইবে । মৎস্ত একপ্রকার অপ্রাপ্য। বহুকষ্টে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৎস্ত দুই একট পাওয়া যায়। খন্দুদিগের বাসগৃহে জানালা নাই ; একমাত্র দরজা । গৃহ অনবরত ধূমে পরিপূর্ণ থাকে ।