পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

را برای ۹ ভারতী । ভাদ্র, ১৩১৭ পোষ্যপুত্র। ఫి సె জল খাবারের কাছে দাড়াইয় রজনীনাথ যখন প্রধ্যাশা পূর্ণ উৎমুকনেত্ৰে চাহিয়া দেখিলেন তখন সে ঘরের চারিদিককার অসম্পূর্ণত র্তাহাকে প্রায় বিহবল করিয়া তুলিল। কিন্তু সেই মূহুর্তেই এক হাতে একটা পাথরের গ্লাসে বরফ দেওয়া জল ও অপর হস্তে পুত্রের হাত ধরিয়া শিবানী সেই ঘরে প্রবেশ করিল, রজনীনাথ তাহাদের দিকে সস্নেহে একবার চাহিয়া দেখিয়া আসলের উপরে বসিলেন । মরুভূমি বলিয়া মনে একটা সন্দেহের আতঙ্ক জাগিয়া উঠিয়ছিল সেট। যদি হঠাৎ নদীতীরের বালুক বলিয়া জানিতে পারা যায় তাহা হইলে তৃষ্ণাৰ্ত্ত যেমন আরামের নিশ্বাস পরিত্যাগ করে তাছার ও সেই রকম একটা নিশ্বাস বাহির হইল । শিবাণী জলের গ্লাসটা নামাইয়া দিয়া রজনী নাথের পায়ের কাছে প্রণাম করিল । ছেলে ও মায়ের দেখাদেখি মাটিতে মাথা ঠুকিয়া একটা দীর্ঘচ্ছন্দের প্রণাম করিয়া অভ্যাস মতন এই অপরিচিতের সম্মুখে চুম্বনের দাবীতে মুখ বাড়াইয়া দিল। প্রণাম প্রাপ্তির পর চুম্বন প্রত্যপণ যে একটা অকাট্যনীতি সে বিষয়ে তাহার কিছুমাত্র সন্দেহ ছিল না। হাসিয়া রজনীনাথ বিনোদের পুত্রকে কোলে তুলিয়া লইলেন। মুখের ভাব গায়ের রং চোখের দীপ্তি র্তাহার স্মৃতিসাগর মথিত করিয়া আবার একটা নিশ্বাস বহন করিয়া আনিল। কিছুই ফুরায় না ; পুরাতন নুতন হইয়া দেখা দেয় মাত্র ! শিশুর দাবী মিটাইয়া দিয়া তাহাকে নিজের যেখানটাকে রেকীব হইতে ফল ও মিষ্টান্ন দিয়া বশ করিবার চেষ্টায় তাহাকে ব্যর্থ হইতে হইল। ন্তায়পরায়ণ হাকিমের মতন সে ঘুষের প্রলোভন জয় করিয়া নিজের পাওনাটি মাত্র আদায় করিয়া লইয়া মার কাছে ফিরিয়া আসিল । রজনীনাথ ও তখন ভাল করিয়া সেই দিকে একবার চাহিয়া দেখিলেন। একি ! তপস্তাপরায়ণী উমার সজীব যোগিনী মূৰ্ত্তি কোন সুনিপুন চিত্রকর এখানে সাজtষ্টয়া রাখিয়া গিয়াছে ? এই কি বিনোদকুমারের অনাহুত পত্নী ! রজনীনাথ অত্যন্ত বিস্ময় অনুভব করিলেন । বিনোদকে তিনি জানিতেন, মুধু তাহার বাহিরটা নয় তাহার অন্তঃপ্রকৃতির সহিতও তাহার কিছু কিছু পরিচয় ছিল। তাই কল্পনায় যে ঈষৎ স্তুগাঙ্গী গেীরবর্ণ লজ্জাসস্কুচিত অশ্রুমান নারীমূৰ্ত্তি কোন এক অজ্ঞাত সময়ে আপনা আপনি তাহার মনে চিত্রিত হইয়া গিয়াছিল—এখন অত্যন্ত সঙ্কস এষ্ট রমণী তাহাকে ধিক্কারের সহিত বিদূরিত করিয়া সেইখানে ফুটিয়া উঠিল । অবিচার করিয়া কাহার ও দণ্ড বিধান করিবার পর তাহাকে নির্দোষ বলিয়া জানিতে পারিলে বিচারক যেমনতর একটা উৎপ ট আত্মগ্লানি অনুভব করিতে থাকেন রজনীনাথ সেই রকম এই স্বামী ত্যক্ত রমণীর দিকে চাহিয়া মাথা নীচু করিলেন। এতে উপেক্ষিত মুখ নয় ! এ দৃষ্টির নির্ভীকতা, আয়নির্ভরশীলতা ও একান্ত দৃঢ়ভাব র্তাহার মানব চরিত্র সম্বন্ধে পূর্ণ অনভিজ্ঞতার কথাই