পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । ব্যক্ত করিতে লাগিল । মনে মনে পরাজয় স্বীকার করিয়া বলিলেন, “আশ্চৰ্য্য ! আমি আশ্চৰ্য্য হইলাম, বিনোদ কি তবে আমি যেমন মনে করি তেমন নয় ? সাধারণ লোকের মত একজন খেয়ালি যুবক মাত্র ?” রজনীনাথ যে পরিমাণে বিনোদের পরিত্যক্ত স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা মমতা পরিপূর্ণ হুইয়া উঠিলেন সেই পরিমাণেই বিনোদের চরিত্রের লঘুত তাহার প্রতি র্তাহাকে শ্রদ্ধাহীন করিয়া তুলিল। এমন রত্ন পাইয়া ও তাহার মর্য্যাদা বুঝিল না সে এমনি পাষ গু ? এমনি সময় শিবানী তাহার আনত নেত্রদ্বয় তুলিয়া একটু অমুযোগের স্বরে কছিল “আপনি বসলেন না ?” রজনীনাথ শিবানীর কথায় ও স্বরে একটু খানি কুষ্ঠিত হইয়া পড়িলেন, কিন্তু বিস্ময় বোপ করিলেন না,—এই রকমই স্থর যেন এ রকম মুখ হইতে ঠিক মানায়,— অনুযোগ পূর্ণ আদেশের স্বর। হাত ধুইয়া রেকাবটা একটু খানি কাছে টানিয়া লইলেন ও তারপর একটু খানি কি ভাবির হঠাৎ মুখ তুলিয়। শিবানীর অকুষ্ঠিত মুথের দিকে চাহিয়া কহিলেন “ আমার ছোট মেয়ে তার দিদির কাছে যে দোষ করেছে তার ক্ষমা পেতেও বোধ হয় বেশি দেরি হয়নি, নয় মা ?” শিবানী কখনও পিতৃস্নেহ জানিত না ; শ্বশুরের নিকট আসিয় অবধি সে র্তাহার স্নেহোম্বেলিত হৃদয়ের যথেষ্ট পরিচয় পাইয়াছিল বটে, কিন্তু সে স্নেহে সে যেন সত্ত্বেন খুজিয়া পাইত না । যেখানে অধিকাবের অকুষ্ঠিত গৰ্ব্বে সে স্থান পায় নাই, সেখানে চোরের মতন প্রবেশ করিয়া পৰ্য্যন্ত সে অপরাধকুষ্ঠিত হইয়া আছে। পরেব পূর্ণ অধিকারকে থৰ্ব্ব পোষ্যপুত্র । ©ፀጫ করায় সে দারুণ আত্মগ্লানি অনুভব করিতেছিল—তাই তাহাকে এখানকার কোন পাওনাই হাসিমুখে লইতে দেয় না । কিন্তু রজনীনাথের কথা কয়ট তাহকে তাজ অ প্রত্যাশিত ভাবে চকিত করিয়া তুলিল। কে জানে কেন সহসা তাহার সৰ্ব্ব শরীরকে কণ্টকিত করিয়া আনন্দের একটা তড়িৎ শিরার ভিতর দিয়া দিয়া বহিয়া গেল ও আচমকা তাহার কঠিননেত্র অশ্রুজলের একটা প্রবল উচ্ছাসে স্পদিত হইয়া উঠিল। শিবানী এক মুহূৰ্ত্তকাল আবেগ রুদ্ধ কণ্ঠে চুপ করিয়া রহিল ও তার পর নতনেত্রে কম্পিতকণ্ঠে উত্তর করিল “দিদি আমার কাছে আসবার জন্তে কত ব্যগ্র হয়ে রয়েছে তা কি আমি জানি ন বাবা ? কিন্তু ঠাকুরপো আমার সঙ্গে বাস করতে ইচ্ছুক নন। আপনি আমার একটা কিছু বন্দোবস্ত করে দিন । আমার জন্তে এতবড় সংসারটা ন নষ্ট 落び邪 項国ー শিবানী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়া আসিলেও শত বার সঙ্কোচ ও আত্মাভিমান আসিয় তাহার মুখ চাপিয়া ধরিতে লাগিল ও সমস্ত শরীরের ভিতর মেন হিম হইয়া আমিতেছিল তথাপি কোন বtধাই আজ সে গ্রাহ করিল না । শিবানীর কথাগুল। কিন্তু রজনীনাথের কানে একটু অদ্ভুত রকম শুনাইল। কি যেন একটা অজানিত আশঙ্কার আভাসে র্তাহার চিত্ত স্পনীত হইয়া উঠিল। এক মুহূৰ্ত্ত চুপ করিয়া তার পর ধীরে ধীরে মস্নেহকণ্ঠে বললেন,— “ম, জগতে ন্যায় সত্য ও ভালবাসারই জয় ছয়ে থাকে। অন্তায়ের প্রশ্রয় বা পুরস্কার