পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లీసెe পড়ল তার হস আছে ! যা ছেলেকে চেয়ে আনাগে ; যদি ছেলে বাচাতে চাস তে ওঠ।” শিবানী শক্ত হইয়া পা দিয়া মাটী চাপিয়া দাড়াইল । তাহার শীতল হতে পা গরম হুইয়া আসিল ; কঠিন কণ্ঠে সে কহিল “না মা আমি ছেলে চেয়ে আনাব না ! কেন তুমি অমন করে কেবলি ওঁদের অপমান কর । কেন তুমি ওসব কথা বল!” বলিতে বলিতে সহসা সে রুদ্ধবাকৃ হইয়া দ্রুতপদে ঘর ছাড়িয়া চলিয়া গেল । সিদ্ধেশ্বরী অবাক হইয়া দাড়াইয়া রহিলেন । শ্ৰীহরি । এত করিয়াও মেয়ের মন পাইলেন না ! এমন বোকা এক গুয়ে মেয়েও গর্ভে ধরিয়াছিলেন ! একেই বলে “যার বে তার মনে নেই পাড়াপড়সির ঘুম নেই! চুলোয় যাক—তোর যদি পেটের পোর ওপোর দরদ নেই তবে আমারই বা কিসের গরজ এত ! আমার তোরা কি করবিরে বাবু! বড় কল্লেন পেটের পে আর কৰ্ব্বেন নাতি! আমার যা আছে তাই কে খায় ঠিক নেই! হরি বল মন !” অভুক্ত আহাৰ্য্য পত্রটার দিকে চোখ পড়ায় এবং বারীন্দtয় মাসির গলার সাড়া পাইয় তাহকে শুনাইয়া বলিলেন “মিনূসের দেমাক দেখেচে, ওমা মেয়েট এতট থেটেখুটে খাবার তৈরি করলে গে। একটু খুঁটেও মুখে দিয়ে দেখলে না ! হিংসে মুধু হিংসে ! পোড়া মেয়ে আtবর ওদের জন্যেই মরেন !” মাদিমাতা চিন্তা রক্ষা পূর্বক এক হাতে হরিনামের মা ও অন্ত হস্তে বস্ত্রপ্রাস্ত ধরিয়া উকি দিয়া ঘরের মধ্যে চাহিয়া দেখিয়া একটুখানি হাসিয়া কহিলেন, “কলকেতার লোকদের বেন ধরণই ঐ!” डtझडी । ו"כפיל ,iaס তাহার মনে পড়িল এই ঘরেই রজনীনাথকে তিনি নিজে কাছে বসিয়া কত যত্ন করিয়া খাওয়াইয়াছেন। তাহার পুরাণ রসিকতায় যোগ না দিয়া রজনীনাথ মেয়ের সামনে কুষ্ঠিত হইয়া পড়ায় বেরসিক বলিয়া সে দিনও কত উপহাস করিয়াছিলেন । র্তাহার রন্ধনের মুথ্যাতি শুনিবার জন্ত, “তোমার খাবার কষ্ট হল—এ রান্না খাবে কি করে” এই রূপ কত কথা বলিয়া নানা ছলে অজস্র প্রশংসালাভ করিয়া মন খুলিয়া সার্টিফিকেট দিয়াছেন,—খাইয়ে এমন মুখ কিন্তু কারকে হয় না বাবু ! আজি তাই সেই রজনীনাথের রুচি হইতে চরিত্র পর্যন্ত ম{সলিপ্ত করিসূরি পক্ষে সাক্ষ্য দিতে র্তাহার মনেও একটু বিধল, তাই ঠিক সায় দিয়া যাইতে পারিলেন না । সেদিন বাড়িবন্ধনের মন্ত্রটি মাসিমার পরিবর্তে মমিমাকে শিখাইবার প্রতিজ্ঞ করিয়া সিদ্ধেশ্বর অপ্রসন্ন নীরসমুখে সন্ধ্যা করিবার জন্ত ঠাকুরঘরে যাইবার সময় তুলসীতলায় প্রণাম করিয়া কস্তার মতি গতি পরিবর্তনের মুল্যস্বরূপ সওয়া পাচ টাকার হরিরলুট তুলসী ঠাকুরকে মানত করিয়া গেলেন। নিজের দ্বারা যাহা সাধন করা যায় না মানুষমাত্রেই সেখানে দেবতার সাহায্য প্রার্থনা করিয়৷ থাকে । সিদ্ধেশ্বরী এতখানি বয়সের অশ্রাস্ত চেষ্টদ্বারাও যখন তাহার এই একরোখা জেদী মেয়েটিকে নিজের আয়ত্তগত করিয়া উঠিতে পারিলেন না তখন আত্মশক্তিতে বিশ্বাস হারাইয়া ফেলিয়। এবাস্ত অসংtয় ভাবে দেবতার শরণাপন্ন হইয়া পড়িয় তাহাকে ডাকিয়া বলিলেন “দেখি তুমি কত জাগ্রত