পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

يان جنيه সঙ্গীতটি যখন নিজের ও অন্তের কাছে বন্ধ হয়ে এল তখন আস্তে আস্তে উৎসবের প্রণীপটিও নিবে এল । অামার বা অার কারে কাছে এর আর কোন প্রয়োজনই ছিল না। . এমন সময় আজ তোমর: যখন আমাকে এই জন্মোৎসবের সভা সাজিয়ে তার মধ্যে আহবান করলে তখন প্রথমট আমার মনের মধ্যে সঙ্কোচ উপস্থিত হয়েছিল। আমার মনে হল, জন্ম ত আমার অৰ্দ্ধ শতাব্দীর প্রান্তে কোথায় পড়ে রয়েছে, সে যে কবেকার পুরাণে কথা তার আর ঠিক নেই—মৃত্যুদিনের মুৰ্ত্তি তার চেয়ে অনেক বেশি কাছে এসেছে—এই জীর্ণ জন্মদিনকে নিয়ে উৎসব করবার বয়স কি আমার ? এমন সময় একটি কথা আমার মনে উদয় হল—এবং সেই কথাটাই তোমাদের সাম্নে আমি বলতে ইচ্ছা করি। পূৰ্ব্বেই আভাস দিয়েছি, জন্মোৎসবের ভিতরকার সার্থকতাটা কিসে ? জগতে আমরা অনেক জিনিষকে ‘ চোখের দেখা করে দেখি, কানের শোনা করে শুনি, ব্যবহারের পাওয়া করে পাই ; কিন্তু অতি অল্প জিনিষকেই আপন করে পাই । অাপন করে পী ওয়াতেই আমাদের অনিন্দ –তাতেই আম বা আপনাকে বহু গুণ করে পাই । পৃথিবীতে অসংখ্য লোক ; তারা আমাদের চারিদিকেই আছে কিন্তু তাদের আমরা পাইনি, তারা আমাদের আপন নয়, তাই তাদের মধ্যে আমাদের আনন্দ নেই । তাই বলছিলুম, আপন করে পাওয়াই হচ্চে একমাত্র লাভ, তার জন্তেই মামুষের যত কিছু সাধনা। শিশু ঘরে জন্মগ্রহণ खांबजैौ। ভাদ্র, ১৩১৭ করবামাত্রই তার মা বাপ এবং ঘরের লোক এক মূহুর্তেই আপনার লোককে পায়,— পরিচয়ের আরম্ভকাল থেকেই সে যেন চিরন্তন। অল্পকাল পূৰ্ব্বেই সে একেবারে কেউ ছিল না—না-জানার অনাদি অন্ধকার থেকে বাহির হয়েই সে আপন-করে-জানার মধ্যে অতি অনায়াসেই প্রবেশ করলে ; এজন্তে পরম্পরের মধ্যে কোনো সাধনার, কোনো দেখাসাক্ষাৎ আনাগোনার, কোনো প্রয়োজন হয়নি । যেখানেই এই আপন করে পাওয়া আছে সেইধানেই উৎসব। ঘর সাজিয়ে বাশি বাজিয়ে সেই পাওয়াটকে মানুর মুন্দর করে তুলে প্রকাশ করতে চায়। বিবাহেও পরকে যখন চিরদিনের মত আপন করে পাওয়া যায় তখনো এই সাজসজ্জা এই গীতবাদ্য। “তুমি আমার আপন” এই কথাটি মানুষ প্রতিদিনের স্বরে বলতে পারে না –এতে সৌন্দর্য্যের সুর ঢেলে দিতে হয় । শিশুর প্রথম জন্মে যেদিন তার আত্মীয়ের। আনন্দধবনিতে বলেছিল তোমাকে অমিঃ, পেয়েছি—সেইদিনে ফিরে ফিরে বৎসরে বৎসরে তারা ঐ একই কথা আওড়াতে চায় যে, তোমাকে আমরা পেয়েছি । তোমাকে পাওয়ায় আমাদের সৌভাগ্য, তোমাকে পাওয়ায় আমাদের আনন্দ, কেননা তুমি যে আমাদের আপন, তোমাকে পাওয়াতে আমরা আপনাকে অধিক করে পেয়েছি। আজ আমার জন্মদিনে তোমরা যে উৎসব করত তার মধ্যে যদি সেই কথাটি থাকে, তোমরা যদি আমাকে আপন করে পেয়ে থাক, আজ প্রভাতে সেই পাওয়ার আনন্দ