পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28ծՀ పిసి . শান্ত চিত্ত। কোন ভাবনা নাই, দ্বিধা মাই ! জেলের কর্তা আসিয়া দেখিয়া গিয়াছেন —তাহার সহিত সাক্ষাতের পর-মুহূৰ্ত্ত হইতেই ভালো আছি! পুৰ্ব্বে মনে যে আশাটুকু রাখিতাম, এখন সেটুকুও যে ছাড়িতে পারিয়াছি, ইহা শুধু তাহারি বচনে! সাড়ে ছয়টা—কি পৌনে সাতটা—এমন गभग्न श्रांभांब्र कcभन्न दांब्र भूङ झ३८পলিত-কেশ একটি লোক তিতরে প্রবেশ করিলেন ; আসিয়াই, তার প্রকা গু ভারী কোট খুলিয়া, বসিলেন-পোষাক হইতে বুঝলাম, ইনি আচাৰ্য্য মহাশয় ! বন্দীদিগের আচাৰ্য্য নন, অবশু ! আমার সম্মুখে তিনি বসিলেন। মাথ৷ নাড়িয়া আকাশের দিকে চাহিলেন । এ দৃষ্টির অর্থ বুঝিতে আমার বিলম্ব হইল না ! তিনি কহিলেন, “তুমি প্রস্তুত হয়েছ, বৎস ?” অমুচ্চ কণ্ঠে আমি কহিলাম, “প্রস্তুত ঠিক হই নাই,—তবে, ই, এখনি উঠিতে সন্মত আছি।” আমার দৃষ্টি ক্ষীণ হইয়া আসিাছিল। কপালে বিজুবিন্দু ঘাম হইতেছিল ! প্রস্তুত,— একেবারে প্রস্তুত,—কিন্তু কিসের জন্ত ? আমার বুকটা কঁাপিয় উঠিল! প্রাণের মধ্যে কি-একটা বিকট শব্দ ধ্বনিত হইতেছিল ! আচাৰ্য্য অনেক কথাই বলিতেছিলেন— র্তাহার ঠোঁট নড়িতেছিল, হাত পা ঘাড়ও সেই সঙ্গে নড়িতেছিল । কি বলিতেছিলেন, তাহা জানিন, কারণ, অামার মনে কোন কথাই পৌছিতেছিল না । उांव्रउँौ । ভাদ্র, ১৩১৭ আবার দ্বার খুলিল। এইবার জেলকর্তা স্বয়ং সশরীরে উপস্থিত । গায় দীর্ঘ কালো-- কোট, হাতে এক বাগুিল কাগজ—জোর করিয়া তিনি মুখে বিষাদের দাগ টানিবার চেষ্টা করিতেছিলেন। জেলকৰ্ত্ত কহিলেন, “আদালত হইতে ংবাদ আসিয়াছে।” একটা তড়িতশিখা আমার হৃদয়ের ভিতর দিয়া বহিয়া গেল । আমি কহিলাম, “কি ? আদালত কি এখনি আমার মাথাটা চাহে ? সে-ত আমার পক্ষে গৌরবের কথা ! এ মাথাটার উপর সরকারী উকিলের বিলক্ষণ লোভ—তা জানি —বেশ—আমিও প্রস্তুত !” তিনি কাগজের ভাজ খুলিয়া পড়িতে লাগিলেন,-আদালতের চির-জটিল অস্পষ্ট বর্ণাক্ষরমালা-কতকগুল৷ বিকট দীর্ঘ শব্দের ঝঙ্কার—অনেক কষ্টে অর্থ বাহির করিতে হয় । আধঘণ্টা কাগজ ঘাটিয়া, অর্থ বুঝা গেল,—আমার আপীল প্রত্যাখ্যাত হইয়াছে ! বেশ ! তিনি কাগজ হইতে মাথা না তুলিয়৷ এক নিশ্বাসেই বলিয়া গেলেন,—“প্লে দি গ্রাভে ফাসি হইবে ! সাড়ে সাতটায় আমরা কাসিয়ারজারি জেলে যাইবে ! অনুগ্রহ করিয়া অমুসরণ করিবেন।” কয়েক মুহূৰ্ত্ত অবধি কাহারে কথায় আমি কাণ দিই নাই। জেলের কর্তা ও আচার্য্যে বেশ গল্প জমিয়াছিল—দেশেরও দশের কথায় তাহার: মাতিয়া উঠিয়াছিলেন । এমন সময় দ্বার খুলিয়া চারিজন সশস্ত্র প্রহরী ভিতরে আসিল ! যেন যমদূত । অভিবাদন কুরিয়া তাহারা জানাইল, “সময় হয়েছে।”