পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ধ, পঞ্চম সংখ্যা । জীবের প্রতি আরও সহৃদয়ত প্রকাশ করিতে পারে । অনেকগুলি খুটিনাটি কাজ বেশ বুঝিতে পারা যায়, বহুপরবর্তী শিয্যের এই মন্দিরটি করে । তাহীর আবির্ভাব এবং তাহার স্মৃতির উদ্দেশে এই কীৰ্ত্তি স্থাপন—এই দুয়ের মধ্যে বহু কালের ব্যবধান । কলিক্রমে ধৰ্ম্ম পুরোহিত-তন্ত্রের অধীন হইয়া পড়িয়াছে ; বর-বোদোরের এই ধৰ্ম্ম-কীৰ্ত্তি, এক্ষণে পৌরোহিতিক কীৰ্ত্তি হইয়া দাড়াইয়াছে । যে সকল উৎকীর্ণ মূৰ্ত্তি, বুদ্ধের মানবজীবন স্মরণ করাইয়া দেয় তাহার সংখ্যা কম এবং যে সকল দৃশ্বে ভগবানের মহিমা কীৰ্ত্তিত হইয়াছে তাহারই সংখ্যা সমধিক । বুদ্ধজীবনের অনুকরণের গৌরব ক্রমশ কমিয় আসিয়াছে, তাহার স্থলে বুদ্ধরূপ ভগবানের নাম কীৰ্ত্তনের গৌরব বৃদ্ধি পাইয়াছে । পুরোহিত সম্পদায়, এই কীৰ্ত্তিব মধ্যে আভিজাত্যের ভাব ও রাজকীয় ভাব আনিয়া ফেলিয়াছেন। সব মানুষই সমান---এই যে বৌদ্ধভাব, এই দেখিয়া বুদ্ধের নিৰ্ম্মাণ ভাবটি উহার দ্বারা ক্ষুণ্ণ হইয়াছে ; যে সকল । নৃপতি এই মন্দিরটি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন, র্তাহীদের মূৰ্ত্তির সংখ্যা ও ভগবানের মূৰ্ত্তির ংখ্যা প্রায় সমান । আমাদের বর্তমান ক্যাথলিক খৃষ্টসম্প্রদায়ও, যিনি দুঃখী জনের নিকট ও পতিত রমণীদের নিকট প্ৰেমধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন সেই দ্যাজারেথের স্বত্রধরের স্মৃতিরক্ষার জন্ত যত না আগ্রহান্বিত, তদপেক্ষা খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের একটা সৰ্ব্বশক্তিমান সমাজ সংগঠনের জন্য, খৃষ্টসমাজের মিত্রদিগের, মুলধনীদিগের, ও छब्रन-शददौ८° । 83の রাজীদিগের লালায়িত••• হঠাৎ একটা ঝড় উঠায়, আমি এই ভগ্নাবশেষ হইতে পলাইয়া উহার সন্মুখস্থ একটি ক্ষুদ্র হোটেলে অtশ্রয় লইতে বাধ্য হইলাম। প্রাতরাশের সময়, প্রাচীন হোটেল-কৰ্ত্ত আমাকে বলিলেন,—এই দশ বৎসরের পূৰ্ব্বে তিনি এখানে একটিও ফরাসী দেখেন নাই ; আজ-কাল, প্রতিবৎসরেই ফরাসীরা বর-বোদোর দেখিতে আসেন ; “ফরাসীরা নাকি ভ্রমণ করিতে আরম্ভ করিয়াছেন ?”–এই কথা বৃদ্ধ ওলন্দাজ আমাকে জিজ্ঞাস করিলেন । ভোজনের পর,আমি আবার বর-বোদোরে ফিরিয়া গেলাম—এবার অtর সঙ্গে পাণ্ড লইলাম না। পাণ্ড সঙ্গে থাকিলে স্বাধীনতার বড়ই ব্যাঘাত হয় । সমস্ত এক সঙ্গে দেখিয়া যে মন্দিরে আমি নিরাশ হইয়াছিলাম, এক্ষণে সমস্ত খুটিনাটি গুলি পৃথকৃভাবে দেখিয়া মন্দিরটি আমার ক্রমেই আরও ভাল লাগি তেছে । এই বহুস্মৃতিপূর্ণ ভগ্নাবশেষের প্রতি আমার অন্তরে একটা অপুৰ্ব্ব সহানুভূতির ভাব বৰ্দ্ধিত হইতেছে বলিয়া বেশ অনুভব করিতেছি । এই সকল অলিদের উৎকীর্ণ মূৰ্ত্তির মধ্যে একাকী বিচরণ করিয়া,সৰ্ব্বোচ্চ গম্বুজের চুড়াদেশে আরোহণ করিয়া আমার বড়ই আনন্দ হইতেছে। এখান হইতে, এই পরিত্যক্ত মন্দিরটির শোচনীয় জরাজীর্ণতা আরও ভাল করিয়া উপলব্ধি করা যায়। যবদ্বীপবাসীরা মুসলমান হইয়া গিয়া, তাহদের পুরাতন ধৰ্ম্ম একেবারে বিশ্বত হইয়াছে। যবদ্বীপে বৌদ্ধধৰ্ম্ম মহিমাকীৰ্ত্তনের জন্য অধিক