পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া ছিলেন যে বঙ্গসাহিত্যের সেবা ও উন্নতি সাধনে মহাত্মা প্যারীচাদ তাহাকে পথ প্রদর্শন পূৰ্ব্বক যথেষ্ট উৎসাহ দান করিয়াছিলেন। তিনি স্বয়ং সুকৃতিপুরুষ ছিলেন, সুতরাং গুণের আদর করিতে তিনি অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করিতেন—তিনি প্যারীচাঁদের মন্ত্র শিষ্য রূপে র্তাহার প্রতিভা ও ক্ষমতা স্বীকার করিতে বিন্দুমাত্র কুষ্ঠিত হইতেন না। গত ১৩০১ সালের আষাঢ় মাসের ভারতীতে মৎলিখিত বঙ্কিমচন্দ্র শীর্ষক প্রবন্ধে এ বিষয়ের উল্লেখ আছে। প্রায় ৪ মাস গত হইল বঙ্গসাহিত্যের অন্ততর ভক্ত উপাসক স্বৰ্গীয় দীনবন্ধু মিত্র মহাশয়ের বাটতে রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে বঙ্গসাহিত্যানুরাগী ব্যক্তিগণের যে একটা সন্মিলন হইয়াছিল, তাহাতে যোগ্য পিতার যোগ্যপুত্র শ্ৰীযুক্ত বঙ্কিমচন্দ্র মিত্র স্বরচিত রাস-মিলনশীর্ষক একটা সুমধুর কবিতাময় প্রবন্ধে পরলোকগত প্রধান প্রধান সাহিত্যসেবিগণের প্রতি সন্মান প্রদর্শন উপলক্ষে দুই ছত্র মধুর ভারতী । ভাদ্র, ১৩১৭ কবিতায় মহাত্মা প্যারীচাঁদের সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছিলেন তাহীর মধুর ঝঙ্কার এখনও আমার হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হইতেছে। “ভুলনা পিয়ারীচাঁদে—দুলাল সে বাংলার, জননীর কণ্ঠে দিল গৃহ-জাত দিব্য হার । বর্তমান প্রবন্ধে আমি কেবলমাত্র মহাত্মা প্যারীচাঁদের বঙ্গ-সাহিত্যে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়াছি-ইহাতে র্তাহার সমুন্নত জীবনের অন্তান্ত মধুময় কাহিনীর পরিচয় দেওয়া হয় নাই। আমি উক্ত মহাত্মার সুবিস্তৃত জীবনচরিত লিখিতে প্রবৃত্ত হইয়াছি— নানাবিধ প্রতিকূল ঘটনায় আমি এতদিন তাহা শেষ করিতে পারি নাই। মঙ্গলময় বিশ্বনাথের কুপায় আমি তাহ শেষ করিয়া উঠিতে পারিলে, উক্ত মহাত্মা সমাজনীতি, রাজনীতি ও ধৰ্ম্মনীতিক্ষেত্রে কিরূপ প্রতিভা ও ক্ষমতার পরিচয় দান করিয়াছিলেন, বঙ্গসাহিত্যানুরাগী মহাশয়গণ তাহার বিস্তৃত পরিচয় পাইবেন। ঐবিজয়লাল দত্ত। চিত্রব্যাখ্যা । বিবাহ-খেল—শ্ৰীযুক্ত পূর্ণচন্দ্র ঘোষ অঙ্কিত চিত্র হইতে । ফাল্গুন মাস, নব বসন্তের হিল্লোলে বৃক্ষপত্র মৰ্ম্মর করিতেছে। প্রফুটিত আম্রমুকুলের মুগন্ধে চতুর্দিক আমোদিত হইয়া উঠিয়াছে। কোকিল পাপিয়া দিগন্ত ছাপিয়া ঝঞ্চার তুলিয়াছে। সেই মলয়হিল্লোলিত বসন্তপক্ষীকুজলিত পরিমলাকুল কাননতলে, বালিকা সখী চারিজন-রাজারাণী খেলা খেলিতেছিল ; এমন সময় বালক রাজকুমার গণেশদেব সেইখানে আসিয়া দাড়াইলেন। কুসুম জিজ্ঞাসা করিল—“আচ্ছা রাজকুমার তুমিই বল— কে রাণী ; শক্তি না নিরুপমা ?” রাজকুমার কহিলেন—“কার রাণী ? রাজা কে ?” দুজনে হাসিয়া বলিল-রাজ আবার কে ? রাজা তুমি —” “আমি রাজা আর রাণী কে ?”—নিরূপম৷ এতক্ষণ ধরিয়া যে বকুল ফুলের মালাগাছি