পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । বার আন মাত্র। এখানি উপন্যাস । গ্রন্থের প্রথম পরিচ্ছেদে দ্বাদশ বর্ষীয়া বালিকা কমল “পোড়ারমুখে৷ গোকুল’কে ডাকিয়। গ্রস্থারস্ত করিয়াছেন । তৃতীয় পরিচ্ছেদে 'ইচড়ে-পাক’ কমল চতুর্দশবর্ষীয় উষার সহিত ছড়া কাটিতে বসিয়াছে’-বর্ণণায় বিষয়, সেই উপহাস-বাজারের একচেটিয়া বেসাতি, প্রেম । একুশ বছরের ছোকর নরেন্দ্র অসিয়া ‘অশোক তরুর অন্তরালে লুকাইয়া তাহাদিগের ছড়া শুলিতে লাগিলেন। এসব মামুলী গৎ অসহ ! তারপর ‘ফাজিল’ ছোকরা, —ইণি উপন্যাসের নায়ক, কিন—তাই অার কি করেন,~-সন্ধ্যার পর ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে বলিয়। নিরাশ প্রেমের soliloquy লইয়া ব্যস্ত হইয় পড়িলেন— কারণ, তার চিরঈপ্সিত উধার অপরের সহিত বিবাহ হইবে 1 পর পরিচ্ছেদে উধারাণী, মনের দুঃখে, “ম, অtiম নদীগর্ভে প্রাণত্যাগ করিলাম" বলিয়া অদৃষ্ঠ হইলেন ! আপদ চুকিল । এমন মেয়ের নদীগর্ভে প্রাণত্যাগ করাই উচিত । আর পড়িবার প্রবৃত্তি হইল না । গ্রন্থের যেমনি, ভাষা বিন্যাস, ঘটনা-স্মৃষ্টিতেও তেমনি অসামঞ্জস্য —“কারে রেখে কারে দেখি ।” মেঘদূত । ঐনিতাইচাঁদ শীলকর্তৃক অনুবদিত। চুচুড়, শালগলি । মূল্য আট আনা । মেঘদূতের বিস্তর পদ্যানুবাদ হইয়াছে—তাহার মধ্যে সহজ ভাব এবং সরলতায় কয়েক খালি বাঙলা কাব্য সাহিত্যে বিশিষ্ট আসন অধিকার করিয়াছে। ৰওঁধান অনুবাদে বিশেষত্ব কিছুই নাই—নিতান্ত প্রাণহীন রচনা। চর্চার উদ্দেশ্বে, নিভৃতে, এমন কবিতা রচনা করা যাইতে পারে, কিন্তু যাহা লেখা যায়, তাহাই যে, ছাপিতে হইবে এমন কি আইন আছে ? বীর বালক । ( কাব্য ) : শ্ৰীমতী প্রফুল্লময়ী দেবী প্রণীত । ৫নং কলেজষ্ট্রট সেন ব্রাদার্স এও কোং কর্তৃক প্রকাশিত। মূল্য আট আন স্বনামপ্যাত লেখক শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রলাল রায় মহাশয় ভূমিকায় লিবিয়াছেন, “এই রচনা পাঠ করিয়! আমি বিস্মিত ইয়াছি । তিনি যে এই অল্প বয়সে মাইকেলের সমালোচনী । 88: ছন্দোবন্ধ ও ভঙ্গী কিরূপে অগ্নিক্ত করিয়াছেন” ইত্যাদি। দুঃখের বিষয়, আমরা পাঠ করিয়া বিস্মিত হইলাম না। চর্চা করিলে লেখিকা কালে ভালো লিখিতে পরিবেন, সে অাশা অসঙ্গত নহে, তবে বীর বালকে iমর এমন কিছু প্রতিভার পরিচয় পাইলাম না। অনেক স্থলেই অবাস্তুর ও অসঙ্গত উচ্ছ (সের প্রাবল্য আছে । অর্থাৎ, অনেক প্রথম রচনা যে শ্রেণীর হইয়া থাকে, ইহাও সেইরূপ । তবে ভাষাটুকু গম্ভীর। ছন্দে একটা সহজ প্রবাহ নাই-কষ্ট কল্পনার ভারে বহুস্থলই নিপীড়িত। বঙ্গসাহিত্যে মহিল৷ কবির আসঞ্জাব নাই ; সেই জন্তই বীরবালকের কবির অতিরিক্ত প্রশংসা করিতে পারিলাম না। রচনায় বহু দেtয রহিয়া গিয়াছে । বেদান্তের আমি । শ্ৰী ভগবৎদাস প্রণীত। মূল্য আtট অন৷ মাত্র। গ্রন্থের সমস্ত স্বত্ব লেখক কর্তৃক বৈদ্যনাপন্থ ‘খাক চক’ আখড়ায় উৎসর্গীকৃত। গ্রন্থখানিতে ‘আমি', 'ত্রিত্ব', 'অদৃষ্টবাদ’ 'আহার', 'শয়ন প্রভৃতি অনেক প্রয়োজনীয় কথার সংক্ষিপ্ত আলোচনা আছে । সাধারণের পক্ষে সেগুলি সুবোধ্যও হইয়াছে লেখকের সহিত সৰ্ব্বত্র আমাদিগের মতের মিল না থাকিলেও, গ্রন্থখানি পাঠ করিয়া আমরা তৃপ্ত হইয়াছি । ইহাতে কোথাও পাণ্ডিত্যের হুঙ্কার নাই, ইহাই ইহার প্রধান বিশেষত্ব । পুরাণদৰ্শন-সূত্র উপক্রমণিকা— অথবা আয্যধৰ্ম্ম, হিন্দুধৰ্ম্ম ত্রীরামচন্দ্র ও শ্ৰীকৃষ্ণ । শ্ৰীভুবনমোহন শৰ্ম্ম৷ কাশপ্রেসে, মুদ্রিত, বেনারস সিটি। গ্রন্থখানির উদেখ, সাকারত্ব ওপুরুষ প্রকৃতিতত্ত্ব, যুগাদির দৈব বা জ্যোতিধিক ও ঐতিহাসিক বাল-নিরূপণ, তাঁর্থাদি ও পাপপুণ্যের আলোচনা ইত্যাদি । গ্রন্থখনি পাঠ করিলে লেখকের সুগভীর অমুসন্ধিৎসা ও তাহার সুশৃঙ্খল বিস্তাস দেখিয়া মুগ্ধ হইতে হয়। ‘আত্ম।', ‘গুর’, ‘স্মৃতি' প্রভূতির আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যাগুলি সুন্দর, প্রাণম্পশী । সহজ করিয়া বলিবার লেখকের বেশ শক্তি আছে। তাহার অবতারিত তথ্যসমূহের যাথার্থ-নিরূপণের তার বিশেষজ্ঞেরা গ্রহণ করুন। তবে আমরা এখালি পাঠ করিয়া