পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

36 8 অভিপ্রায়ে, বৎস! আমাকে আদর্শ করেন ; আমরা মহাজনের পদামুসরণ করতেই উপদিষ্ট হয়ে থাকি।” - “গুরুদেব সেই উপদেশ তো “শক্রে মিত্রে পুত্রে বন্ধেী মাকুরু যত্নং বিগ্রহ সন্ধেীঃ” । তাতো অামায় বলচেন না ।” “নীরদ ! তুমি যে ভুলপথ ধরে বসে আছে । তোমার যাবার দরকার কোন্নগর তুমি পঞ্জাবমেলে চড়ে বসলে । এখন অগত্যাই সেইখান থেকে ফিরে আবার পেসেঞ্জারে চাপতে হবে। তোমাদের মহাজন ভগবান শঙ্কর নহেন। নরশ্ৰেষ্ঠ রামচন্দ্রই হিন্দু গৃহস্থের আদর্শ।" শিষ্য ঈষৎ চমকিয়া উঠিল, কিছুক্ষণ স্তব্ধ হইয় থাকিয়া কণ্ঠোখিত দীর্ঘ নিশ্বাসটা অল্পে অল্পে পরিত্যাগ করিয়া অৰ্দ্ধ ফুটম্বরে আপনআপনি বলিল “রামায়ণের রামচন্দ্র, পিতৃবৎসল পত্নী-প্রেমের আদর্শ। গুরুদেব যে পথে মামুষের মুক্তিমার্গে পৌছবার শত বাধা সেই পথকেই আপনি কিজন্তে শ্রেষ্ঠ পথ বলচেন ? গুরুদেব হাসিয়া বলিলেন, “ভরত ও রামচন্দ্র দুজনকেই “বিশ্বামিত্র জিজ্ঞাস করেছিলেন একটা পথ বিপদসঙ্কুল কিন্তু সেই পথেই শীঘ্র পৌছন যায়,—আর একটা পথ নিরাপদ কিন্তু গম্যস্থানে পৌছতে বিলম্ব হয়। ভরত কি বলেছিলেন তাত জান ?” তার পর একটু গম্ভীর মুখে বলিতে লাগিলেন “বৎস ! মনে কর তুমি আমি সকলেই আমরা সংসার ত্যাগী হইয়া কেীপীন গ্রহণ করিয়া এই বিরূপাক্ষের দুই তীরে যোগাসনে বসিয়া রছিলাম, কিন্তু তাহার পর ? আমাদের আহার যোগাইবে কে ? তখন যদি ধাৰ্ম্মিক ভারতী আশ্বিন, ১৩১৭ গৃহস্থ আমাদের ডাকিয়া আহার না দেন তবে আমাদের সাধন ভজন যোগ উপাসনা সমুদয়ই তো নদীগর্ভে বিসর্জন দান করিয়া আহাৰ্য্যান্বেষণে ছুটিতে হইবে ? তবেই দেখ যে নিজে নিষ্কাম নিলিপ্ত থাকিয়া অন্তের ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মের সহায় হয় সে বড়–ন যে অষ্ঠের উপরে নিজের ভার চাপাইয়া দিয়া নিজের ভাবনা মাত্র লইয়া রহিল সে বড় ?” শিষ্য इ१ করিয়া ভাবিতে লাগিলেন, কথা কহিলেন না। গুরু পুনশ্চ কহিলেন “আমার নিজেরি উদাহরণ দেখ, পূৰ্ব্বে আমি দশজনকে অন্ন দিতাম, নিজের সঙ্গে অদ্য পাচজন আত্মীয় স্বজনের শুদ্ধ জীবিকার উপায় করতাম,–কিন্তু এখন আমি কি করছি ? নিজের আহার অবশু বন্ধ হয়নি তা অন্ত পাঁচজনে যোগাচ্চে ; কিন্তু অষ্ঠের আহার যোগাবার আমার যেটুকু ক্ষমতা ছিল সেইটুকুই ত্যাগ করেছি। গৃহীই যথার্থ স্বার্থত্যাগী ; সে যা কিছু করে সকলি প্রায় অন্তের জন্ত –পিতামাতা পত্নীপুত্র আত্মীয়পর কারও ন কারও জন্ত ; কিন্তু সন্ন্যাসী যা কিছু করে সে সমুদয়ই তার নিজের জন্ত । গৃহীর ধৰ্ম্ম কি বড় নয় ?” নীরদ কুষ্ঠিত হইয়া কহিল,“কিন্তু সেরকম গৃহস্থ এখন আর কৈ ?” গুরু কহিলেন, “আছে বৈ কি বেটা অনেক আছে। অধাৰ্ম্মিক গৃহস্থ ও ভণ্ড সন্ন্যাসী উভয়েরি সংখ্যা নিতান্ত কম নয়, কিন্তু তুলনায় বোধ হয় ভণ্ড সাধুর সংখ্যাই অনেক বেশি। বৎস তোমীর সঙ্গে আমার তো এ বিষয়ে অনেক বারই কথাবাৰ্ত্ত হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণরূপী ভগবান বলিয়াছেন “কৰ্ম্মযোগ ব্যতীত সন্ন্যাস