পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8@曾 ধরিয়া এই নরক যন্ত্রণ সহ করাইল সেই গৰ্ব্বকে ভূলুষ্ঠিত না দেখিলে বুঝি তাহার ভাগ্যবিধাতা প্রসন্ন হইবেন না। তবে তাই হোক, তবে তাই হোক | নীরদ একটা থামের গায়ে ভর দিয়া অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত চুপ করিয়া অনির্দেশু অন্ধকারে চাহিয়া রহিল । যদি সে এখনও এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত না করে তবে চিরজীবন শুমুতাপ করা ভিন্ন তাহীর আর দ্বিতীয় পথ নাই। একথান। পাতলা মেঘে র্চাদকে ঢাকিয়া ফেলিল,কোপের ভিতর হইতে শৃগাল ডাকিতে লাগিল,আকাশে নক্ষত্র দেখা যাইতেছিল না,--বৰ্দ্ধিতান্ধকারে গাছের গায়ে জোনাকির পুঞ্জ ঝকমক করিয়া জলিতেছিল ; নিশ্বাস যেন বুকের মধ্যে আটকাইয়া আসিতেছিল ; জোর করিয়া একটা দীর্ঘ নিশ্বান টানিয়া নীরদ অফুটধ্বনি করিয়া উঠিল “মা।” মা বলিতেই একসঙ্গে অনেক দিনের অনেক কথাই তাহার মনে জাগিয়া উঠিতে লাগিল, ক্রমে দুই চোখ জলে ভরিয়া আসিল; আবার সে মৃদুস্বরে বলিল *মা মা মা” ! এমন সময় কে তাহাকে স্পর্শ করিল, সে স্পর্শ কি স্নেহপূর্ণ কি সাস্বন মাথান ! নীরদ অভিভূত ভাবেই তাহার বাহুর মধ্যে আপনাকে ছাড়িয়া দিয়া মুদিতনেত্রে ক্ষীণকণ্ঠে কহিল "মাগে৷ ” সন্ন্যাসী ছোট ছেলেটির মতন তাহার মাথাটা নিজের কাধের উপর রাখিয়া কহিলেন “তোমার কি ম আছেন ?” নীরদের দুই চোখ দিয়া ঝর ঝর করিয়া জল ঝরিয়া পড়িতে লাগিল ; সে মাথ নাড়িয়া জানাইল যে “ন” । সেই সঙ্গে সঙ্গে তাহার বক্ষের ভারও অনেকখানি কমিং আদিতেছে বুঝিতে ভারতী । श्रांश्रेिन, ר מסיצ পারিয়া সন্ন্যাসী কোন বাধা দিলেন না, গম্ভীর মুথে সস্নেহে তাহার মাথায় পিঠে হাত বুলাইতে লাগিলেন । নীরদের মনে হইল যে, মাকে সে এই মাত্র প্রাণের দারুণ জালায় অস্থির হইয়া .ডাকিয়াছিল তিনিই তাহার ব্যাকুল আহবান অগ্রাহ করিতে না পারিয়া অদৃপ্ত লোক হইতে মাতৃহৃদয়ের সমস্তটুকু স্নেহধারা এই স্পর্শের মধ্যে ঢালিয়া পাঠাইয়া দিয়াছেন। প্রত্যেক অঙ্গুলীটি তাহার প্রতিশিরার ভিতর দিয়া একটি তাড়িত সঞ্চtলিত করিয়া দিতেছিল,—এ রকম স্পর্শ সে কতদিন অনুভব করে নাই । এই টুকুর জন্তই যে তাহার মনঃ প্রাণ নিদারুণ তৃষ্ণায় শুখাইয়া উঠিয়াছিল,—সমস্ত জীবনের বিনিময়েও সে যে শুধু এইটুই চাহিয়াছে ; শুধু এই টুকুই চাহিতেছে,—তাহ আজ সে জীবনে এই প্রথমবার যেন ভাল করিয়া বুঝিতে পারিল । সারাজীবনট বুঝি এই পাওনাটুকুর অভাবেই তাহার এমন ব্যর্থভাবে কাটিয়া গেল,—এইটুকু দাবীই বুঝি তাহার চিত্তে বাল্যাবধি দুর্জয় অভিমানরূপে জাগিয়া রহিয়াছিল। মাতৃকরতলের স্নেহ তাড়নায় তো তাহা প্রমুগু হইবার অবসর পায় নাই ; মাতৃ স্তম্ভের ক্ষীর ধারায় তো সে শুষ্ককণ্ঠ আৰ্দ্ৰ হইবার সময় পায় নাই, তাই সে বুঝি এতদিন বিশ্বস্তহৃদয়া বালিকার কল্যাণময় প্রীতি স্পর্শেও সস্কুচিত সন্দেহে কেবল নিক্তির কাটার দিকেই বদ্ধ দৃষ্টিতে লক্ষ্য রাথিয়াছে, ওজনের ফাকি ধরিয়া লড়াই করিয়া বেড়াইয়াছে, বিশ্রামের সুখ চিনে নাই । কেমন করিয়া চিনিবে ? সে যে সন্মাঙ্ক, অভাব ও আকাজ হৃদয়ের কানায় কানায় ভরিয়া আছে, অথচ জানে না যে সে কিসের আকাঙ্ক্ষা ;