পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা । প্যারীশঙ্করবাবু অষ্টমবর্ষীয় কন্যাসম্প্রদান করিয়া “গোরাদানের" ফললাভ করিবেন। ( 0 ) ভবিতব্য কে খণ্ডন করিবে ? আমাদের বিবাহ বাসর উপস্থিত হইল। শুভলগ্নের প্রায় পাঁচ ছয় ঘণ্ট। পূৰ্ব্বে আমরা ফুলহাট উপস্থিত হইলাম । সত্যকথা বলিতে কি আমার মনের ‘थप्लेकt' उश्वन७ जून इग्न नाइ ; ८दां५ इग्न পিতামহেরও নহে! সেই জন্তই কি তিনি বারংবার বিবাহের উজ্জল বেশপরিহিত পৌত্রের দিকে স্নেহপূর্ণ নয়নে চাহিয়া দেখিতে ছিলেন । আর আমি ? বালিকার আকর্ণচুম্বিত নয়ন ফুট কেন অামাকে মুগ্ধ করিতে পারে नांश्-उtशई उiविप्उछ्ञिान ;-१ध ३ई नाझे, उदू आभाcमग्न दिदांश् इहेtब ; मिथा। সেই জ্যোতিষীর কথা ; মিথ্যা গণনা— ! প্রায় বারটার সময় অন্তঃপুর হইতে একটা যুবক বাহির হইয়া আসিয়া প্যারাশঙ্কর বাবুর কাণে কাণে কি কথা বলিল ; তিনি শুনিয়া, “কি সৰ্ব্বনাশ !” বলিয়া ব্যস্তভাবে অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন ! ভবিতব্য তাহার কঠোর হস্ত বিস্তার করিয়া আমাদিগকে আলিঙ্গন করিতে আসিতেছে কি ? একটা অস্ফুট ক্ৰন্দনের রোল উঠিল ; কোন অলক্ষ্য শক্তি যেন আমাকে ভিতর বাড়ীতে টানিয়া লইয়া গেল ! সঙ্গে সুরেশ ও পিতামহুও ছিলেন । কি দেখিলাম ? শুভ্রশষ্যার উপর বালকনখরছিন্ন পদ্ম কোরকের ন্তায় সেই ক্ষুদ্র বালিকা পড়িয় রছিয়াছে ! সন্ধ্যার অন্ধকারে শুভদৃষ্টি । ৪৭১ পল্লীপথপ্রান্তে পতিত যুথিকাগুচ্ছের স্থায় সেই অতুল সৌন্দর্য্য পরিমান হইয়া পড়িয়াছে ! সেই আকৰ্ণ চুম্বিত নয়ন যুগগ অৰ্দ্ধনিমৗলিত ; সুবর্ণ বলয়াগষ্কৃত হস্ত দুই খানি দুগ্ধফেননিভ শয্যার উপর শিথিলভাবে বিস্তস্ত ! বালিকা দুরন্ত কলেরা-রোগ আক্রান্ত ! সেই উজ্জল মালোকোত্তাসিত গৃহের মধ্যে যখন আমি আসিয়া দাড়াইলাম, তখন বালিকার মাত অবগুণ্ঠনের ভিতর দিয়া আমার দিকে একবার চাহিলেন ; তার পর তিনি অস্কট স্বরে ক্ৰন্দন করিয়া উঠিলেন । পিতামহ নিমেষশূন্ত লোচনে বালিকাকে দেখিতেছিলেন, স্নেহুকোমল বৃদ্ধের অশ্রী যেন বাধা মানিতেছিল না ! তিনি বলিয়া উঠিলেন-- “প্যার বাবু আমি সমস্তই বুঝিতে পারিতেছি ; জ্যোতিষীর গণনা মিথ্যা হুইবার নহে ; শিশিরের সহিত ইহার বিবাহ আশা ত্যাগ করিলাম। আমি বলিতেছি, নারায়ণের কৃপায় আপনার কম্ভা নিশ্চয়ই রক্ষণ পাইবে।” সেই অত্যুজ্জল আলোকে, রোগ শয্যাশায়িত বালিকার পরিমান মুখচ্ছবি আমাকে নিতান্তই ব্যথিত করিয়া তুলিতেছিল ! আমার পরিহিত উজ্জ্বল বিবাহ-বেশ যেন আমাকে তীব্র কষাঘাত করিয়া উপহাস করিতে লাগিল ! আমি একবার সুরেশের মুখের দিকে চাছিলাম, সেই অৰ্দ্ধাবগুষ্ঠিত দেবীকে দেখিলাম ; সর্বশেষে সেই রোগ শষ্যাশায়িতা অনাস্ত্ৰাত কুসুম-কোরক-তুল্য ক্ষুদ্র বালিকার দিকে চাহিয়া মনে মনে তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বাহিরে আসিলাম !