পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8 মধুর ঝঙ্কার শ্রবণে পুলকিত হইয়া যেন তাহারি কণ্ঠের সহিত সুর মিলাইয়া গাহিতে ব্যাকুল হইয় উঠে ! ‘co assifi-In Memoriam বলিলে কবির প্রতি অবিচার করা হয় কিনা জানিন, তবে নিবিষ্ট চিত্তে পাঠ করিলে নিশ্চয়ই দুখানির মধ্যে একটি স্বমধুর সাদৃশু লক্ষিত হইবে ! দুখানিরই উদ্দেশু এক-ই । যে ব্যথার অসহ তীব্রতায় হৃদয়-বীণার তন্ত্রী গুলি প্রায় ছিড়িয়া যায়, যে ব্যণায় পরিদৃশুমান বাহিরের কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না, —অথচ রুদ্ধ অস্তরের দ্বার আপনা আপনি খুলিয়া যায়, রেণু সেই ব্যথারই গান। যে ব্যথায় দৃশু ও অদৃশু এক হইয়া যায়, স্বৰ্গকে মৰ্ত্তের কাছাকাছি আনিয়া দেয়, ‘রেণু সেই দিব্য ব্যথার, অমর শোকের গান ! șēt 5 offzg. In Memoriam fithst মহাকবির স্বগীয় বন্ধুর স্বৰ্ম্ম কারু-খচিত সমাধি স্তম্ভ, আর "রেণু’ একটি দুৰ্ব্বল বাঙ্গালী নারীর কম্পিত হস্ত-রচিত ক্ষুদ্র দেবমন্দির । বিলাপ-দুখানিরই প্রাণ ; এ বিলাপ পার্থিব বিচ্ছেদ-ব্যথার নামান্তর মাত্র নহে ; এ বিলাপ অন্তরের নিভৃততম প্রদেশে দেবতার প্রতি আত্মসমর্পণ হেতু ব্যাকুলতা ; বিপুল নিখিলের তোরণদ্বার রুদ্ধ করিয়া ক্ষুদ্র হৃদয়-প্রকোষ্ঠে দেবতার জন্ত ভক্তের বিরামহীন বননি । মোটের উপর অসঙ্কোচে বলিতে পারা যায়, রেণু বঙ্গভাষায় একখানি উচ্চশ্রেণীর কবিতাগ্রন্থ। বিচ্ছিন্নভাবে না দেখিয়া সমগভাবে পাঠ করিলে গ্রন্থখানির মাধুর্য্য ও মূল্য সকলেরই হৃদয়ঙ্গম হইবে। ভারতী । বৈশাখ, ১৩১৭ লেখিকার স্বপ্নজীবনী নিম্নে প্রদত্ত হইল । লেখিকা -মাতৃকুল হইতে যে কবিত্ব শক্তির উত্তরাধিকারিণী হইয়াছেন সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । ‘বনলতা’ রচয়িত্ৰী শ্ৰীমতী প্রসন্নমুয়ী দেবী লেখিকার জননী । বাল্যকালে কৃষ্ণনগর বালিকা বিদ্যালয় হইতে শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া বৃত্তিলাভ করেন এবং দশ বৎসর বয়সে ১৮৮২ সালে বেথুন স্কুলে প্রবিষ্ট হন। ১৮৮৮ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় সসন্মানে উত্তীর্ণ হইয়া বৃত্তিলাভ করেন । ১৮৯০ সালে এফ,এ ও ১৮৯২ সালে বি, এ, পাশ করিয়া, বিশেয পারদর্শিতার জন্য রৌপ্যপদক পুরস্কার পান । ঐ বৎসরেই তিনি সংসারে প্রবেশ করেন, ১৮৯২ সালে আষাঢ় মাসে স্বৰ্গীয় তারা দাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহিত র্তাহার বিবাহ হয় । লেখিকার স্বল্পস্থায়ী দাম্পত্য জীবন ষে অতি সুখময় হইয়াছিল তাহ রেণুর পাঠক বা পাঠিকাকে না বলিলেও চলে। : বিবাহের পর স্বামীর সহিত শ্ৰীমতী প্রিয়ম্বদা দেবী মধ্য প্রদেশের অন্তর্গত রায়পুরে গমন করেন। তারাদাস বাবু রায়পুরের প্রধান উকিল ছিলেন । র্তাহার দানশীলতা, বদান্তত ও সহৃদয়তায় রায়পুরবাসিগণ মুগ্ধ ছিল । তিনি কৃষ্ণনগরের এক সন্ত্রাস্তবংশে জন্মগ্রহণ করেন । এবং বাল্যকাল হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষায় বৃত্তি পাইয়াছিলেন। বালাকাল হইতেই তারাদাস বাবু দানশীল। বৃত্তির টাকাগুলি তিনি সহপাঠিগণের প্রতিভেজে ও গ্রন্থ ক্রয় করিয়া ব্যয় করিতেন। উপার্জনক্ষম হইয়াও তাহার সে স্বভাব পরিবর্তন হয় নাই। ১৮৯৪ সালে প্রিয়ম্বদা দেবী তাহার একমাত্র