পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা । "অশ্রীকণা’র পর “অভিাষ” । কবি ভূমিকা প্রসঙ্গে বলিয়াছেন,— “হৃদয়ে উথলে মম যে সিন্ধু-উচ্চাস, ‘অভিাষ’ তাহার মাত্র প্রকাশে আভাষ ।” আভাষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কবিতাগুলি ভাবরসে আগাগোড়া ভরিয়া রহিয়াছে । কবির একটি করুণ উক্তি, “বসে ওই মেঘের’পরে সাধ করে সই যাইলে ভেসে, হৃদয়ের ধন, প্রাণের রতন আছে যেথায় যাই সে দেশে ॥” ইহার মধ্যে সমগ্র ‘মেঘদূত’ খানি যেন এক অভিনবভাবে প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে ! "শিখা” র্তাহার এই পতি-যজ্ঞের উজ্জল হোমাগ্নি শিখা ! তার পর কবি “অর্ঘ্য নিবেদন করিয়াছেন, পতিদেবতার পূজার জন্ত ! অর্ঘ্যের কবিতাগুলি এমন ওজোগুণসম্পন্ন যে,তাহ অর্ঘ্যপাত্রস্থিত রক্তজবার মতই সুস্পষ্ট ফুটিয়া উঠিয়াছে ! "হৃদিছেড়া রক্তফুলে’ কবি পতির পূজা করিয়াছেন ! তাহার পর "সিন্ধুগাথা” । ইহা কবির পতিস্তুতি-উদ্বেলিত হৃদয়সিন্ধুর গম্ভীর ধ্বনিতে প্রতিধ্বনিত। ভাবে ছন্দে যেন তরঙ্গ খেলিয়া যাইতেছে—তাহার মধ্যেও সেই আৰ্ত্তচিত্তের করুণ স্বর— - “দূরে নীল আকাশের কোলে ভেসে আসে শুভ্ৰ পোতখানি,— ওপারের সংবাদ কাহার আনিছে এ প্রভাতে না জানি ।” গিরীশ্রমোহিনীর কাব্যের সহিত পরিচয় সাধন করিতে হইলে দুই এক ছত্র কবিতা উদ্ধৃত করিয়া দিলে বক্তব্য অসম্পূর্ণই রহিয়া "অশ্রুকণা’-রচয়িত্রী। & Rot যায়। এতগুলি উৎকৃষ্ট কবিতা লিখিয়া যশস্বিনী হইয়াছেন, এমন কবি বাঙ্গালাদেশে বিরল। গিরীন্দ্রমোহিনীর সর্বাপেক্ষ আধুনিক রচনা, “স্বদেশিনী” । সরল ভক্তি ও স্বদেশপ্রেমের এমন মিশ্র ডালি বাণীদেবীর চরণ শোভা যে সমধিক বদ্ধিত করিয়াছে, সে বিষয়ে অণুমাত্র সন্দেহ নাই ! এক্ষণে সংক্ষেপে কবির জীবনীর পরিচয় দিয়া আমরা প্রবন্ধের উপসংহার করিব । সন ১২৬৫ সালে ৩রা ভাদ্র কলিকত। ভবানীপুরে মাতুলালয়ে গিরীন্দ্রমোহিনীর জন্ম হয়। গিরীন্দ্রমোহিনীর পিতা ৮ হারাণচন্দ্র মিত্রের আদিনিবাস কলিকাতার চারি ক্রোশ উত্তরে, গঙ্গাতীরবত্তী পাণিহাটি গ্রামে । মজিলপুরগ্রামে গিরীন্দ্রমোহিনীর শৈশব অতিবাহিত হইয়াছিল। বাটিস্থ বালিকা বিদ্যালয়ে ইনি প্রথম শিক্ষা লাভ করেন । দিনের অধিকাংশ সময়ই গ্রন্থপাঠে অতিবাহিত হইত। শিক্ষার প্রতি গিরীন্দ্রমোহিনীর অকৃত্রিম অনুরাগ ছিল। খেলাধূলার সময় খেলা করিতে তিনি বড় একটা ভাল বাসিতেন না । বিদ্যালয়ে সৰ্ব্বদাই তিনি রৌপ্যপদকাদি সৰ্ব্বোচ্চ পুরস্কার লাভ করিয়াছেন। শৈশব হইতেই তাহার চিত্ত পরদুঃথকাতর, শাস্তিপ্রিয়, তিনি যখন বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করিতেন, তখন তাহার সহপাঠিনী এক দরিদ্র বালিকা একদিন কাণ বিধাইয়া, কাণে স্থত পরিয়া বিদ্যালয়ে আসিয়াছিল। কাণে সুত পরিবার কারণ জিজ্ঞাস করতে বালিকা বলিল,“আমরা গরিব মানুষ, সোণীর মাকড়ি পাব কোথা, ভাই, তোমাদের মত ।” কথাটা ৰলিবার সময় বলিকার চোখ ছলছল করিয়াছিল, তাহাতে সহৃদয়া গিরীন্দ্রমোহিনী এমন ৰিচলিত। হইলেন যে তদণ্ডেই আপনার কর্ণ হইতে মুক্তার মাকড়ি খুলিয়া তিনি বালিকার কর্ণে পরাইয়া দেন । এমন কfরয় বিস্তর দরিদ্র বালিকাকে তিনি নূতন বস্ত্র জামা প্রভূতি দান কল্পিতেন । এ दिशन् बाडब्रां